West Bengal Government : রাজ্যের ঝুলিতে এল ৬৫১ কোটি, পঞ্চায়েত স্তরে উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকা পেল বাংলা
Mamata Banerjee : ঋণের পরিমাণ বাড়ার জন্য রাজ্যের তরফে বারবার দায় চাপানো হয়েছে কেন্দ্রের দিকে। পাল্টা রাজ্য সরকারের দায়-খয়রাতির জেরেই রাজ্যের ঋণের ভার বাড়ছে বলেই ক্রমাগত আক্রমণ বিরোধীদের।
কলকাতা : রাজ্যের ঝুলিতে এল আরও বকেয়া প্রাপ্য। এবার ৬৫১ কোটি। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের (Fifteenth Finance Commission) ৬৫১ কোটি ১৪ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা পেল বাংলা। যে টাকা প্রাপ্য ছিল রাজ্য সরকারের (West Bengal Government)। প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবর্ষে প্রথম ত্রৈমাসিকে পঞ্চায়েত স্তরে উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দের অর্থ এল রাজ্যের কোষাগারে।
কেন্দ্রের থেকে বরাদ্দের ভিত্তিতে সবথেকে বেশি অর্থ পাওনা ছিল বাংলার। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বরাদ্দের ২২৫ কোটি পেল ছত্তীসগঢ়, ২৮৬ কোটি পেল তেলঙ্গানা। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে ও তার পরে নবান্নে (Nabanna) এসে পৌঁছেছিল দিল্লি থেকে বরাদ্দ টাকা।
একশো দিন থেকে শুরু করে একাধিক অন্য প্রকল্প, কেন্দ্র সরকারের (Central Government) কাছ থেকে বকেয়া টাকা না পাওয়ার অভিযোগ বারবার করেছে রাজ্য সরকার। বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠান থেকেও যে নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Chief Minister Mamata Banerjee)। তৃণমূলের কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক নেতা-নেত্রীও যা নিয়ে সরব হয়েছেন বারবার।
একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ থেকে যা নিয়ে দিল্লিতে তাঁদের দাবি পৌঁছে দেওয়া ডাকই দিয়েছিল তৃণমূলের (TMC) শীর্ষ নেতৃত্ব। মমতা-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা আগামী গান্ধী জয়ন্তীতে রাজধানীতে রাজ্যের বকেয়া আদায়ের জন্য ধর্না দেবেন বলেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন। লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election) মাঝে আর বেশিদিন বাকি নেই। যার প্রাক্কালে রাজ্যে বকেয়া প্রসঙ্গ সামনে তুলে ধরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণের ধার বাড়াবে বলেই মত ওয়াকিবহাল রাজনৈতিক মহলের। সেই আবহেই পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা পেল রাজ্য।
প্রসঙ্গত, বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যের ঘাড়ে ক্রমশ ভারী হচ্ছে ঋণের বোঝা। বাম জমানার পরে যে পরিমাণ ঋণ নিয়ে সরকার পরিচালনা শুরু করেছিল তৃণমূল সরকার, তা লাফিয়ে বেড়ে আপাতত প্রায় দ্বিগুণ। ঋণের পরিমাণ বাড়ার জন্য রাজ্যের তরফে বারবার দায় চাপানো হয়েছে কেন্দ্রের দিকে। একাধিক বরাদ্দ না মেলার জন্য বারবার দরবারও করা হয়েছে। পাল্টা রাজ্য সরকারের দায়-খয়রাতির জেরেই রাজ্যের ঋণের ভার বাড়ছে বলেই ক্রমাগত আক্রমণ বিরোধীদের।
আরও পড়ুন- দুর্গাপুজোর বিসর্জন করা যাবে কোন দিনগুলোতে, কবে কার্নিভাল, জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন