Calcutta High Court:পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্ত চ্যালেঞ্জ করে মামলার শুনানি শেষ, আপাতত স্থগিত রায়দান
Municipality Scam: রাজ্য সরকার সওয়াল করেছিল, হাইকোর্টে মামলার শুনানি চাই। তাই সুপ্রিম কোর্ট থেকে মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে আবেদন লেখায় ত্রুটির কথা স্বীকার করেও সওয়াল করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে (Municipality Scam) সিবিআই তদন্ত (CBI Investigation) চ্যালেঞ্জ করে মামলার শুনানি শেষ। আপাতত রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালত। রাজ্য সরকার সওয়াল করেছিল, হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলার শুনানি চাই। তাই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) থেকে মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আবেদন লেখায় ত্রুটির কথা স্বীকার করেও সওয়াল করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
কী ঘটেছিল?
কলকাতা হাইকোর্টের পাল্টা মন্তব্য , আশা করি এই নিয়ে আরও কোনও বিভ্রান্তি তৈরি হবে না। এদিকে হাইকোর্টে সিবিআইয়ের সওয়াল, 'তল্লাশি, জেরায় নতুন তথ্য মিলেছে। যে নথি মিলেছে তা সিবিআই তদন্তের জন্য যথাযথ।' রাজ্য সরকারের পাল্টা প্রশ্ন, 'আগেই মামলা কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দেওয়ার যুক্তি নেই। রাজ্য পুলিশ কি ব্যর্থ?'
রবিবারই সিদ্ধান্ত...
পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে আবেদন প্রত্যাহারের ঘটনা গত কাল অর্থাৎ রবিবারই প্রকাশ্যে এসেছিল। জানা যায়, স্পেশাল লিভ পিটিশন প্রত্যাহার করেছে রাজ্য সরকার। প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে চিঠি দেন রাজ্যের আইনজীবী। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও আবেদন করে রাজ্য। মূলত যে কারণ দেখানো হয়েছে, সেখানে খুব স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, যেহেতু এই মামলা ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন এবং কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর এজলাসে গত বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি হয়েছে এবং আগামীকাল শুনানির জন্য দিন ধার্য্য করা হয়েছে, তাই এই মামলা প্রত্যাহার করতে চেয়ে রাজ্য সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী গত বৃহস্পতিবার যখন শুনানি করেন, সেই সময় এই শুনানিপর্বের দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা পর জানা যায়, একই মর্মে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। ফলে, পুর নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা বা লিভ পিটিশন সেটা সুপ্রিম কোর্টে পেন্ডিং বা বিচারাধীন রয়েছে। ফলে, একই মর্মে দু'টি মামলা দু'টি আদালতে বিচার্য হতে পারে না। সেই কারণে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী বলেন, তাহলে এই মামলাটি নিয়ে তিনি আর এগোবেন না বা শুনানি করবেন না। সুপ্রিম কোর্টের অবস্থান স্পষ্ট হওয়ার পর তিনি যা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। তখন সরকারের তরফ থেকে বলা হয়, তারা সুপ্রিম কোর্টে এই যে মামলা বা স্পেশাল লিভ পিটিশন করেছে, সেটা প্রত্যাহার করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ফলে, সেই কারণে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী মামলার শুনানি পিছিয়ে দেন। তার পরেই দেখা গেল, সরকারের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্ট থেকে স্পেশাল লিভ পিটিশন প্রত্যাহার করা হল।
আরও পড়ুন:সুস্থ শরীরে আয়ু বৃদ্ধি করতে চান? পাতে রাখুন এই খাবার