বাংলায় গুটখা-পান মশলা বিক্রি করা যাবে না! ফের বাড়ল নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা
২০১১ সালের ‘খাদ্য সুরক্ষা ও গুণমান বিধি’র ‘বিক্রয় সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণ এবং নিষেধাজ্ঞা’-র বিভিন্ন ধারা মেনেই এই পদক্ষেপ

সন্দীপ সরকার, কলকাতা: গুটখা এবং পান মশলা উৎপাদন, মজুত, বণ্টন ও বিক্রির উপর এক বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা বাড়াল স্বাস্থ্যভবন। ২০১২ সাল থেকে গুটখা, পান মশলা এবং চিবিয়ে খাওয়া হয় এমন তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন থেকে বিক্রি সবটাই নিষিদ্ধ ছিল।
প্রতি বছর নিষেদ্ধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধি করে নোটিফিকেশন জারি করে স্বাস্থ্যভবন। ২০১১ সালের ‘খাদ্য সুরক্ষা ও গুণমান বিধি’র ‘বিক্রয় সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণ এবং নিষেধাজ্ঞা’-র বিভিন্ন ধারা মেনেই এই পদক্ষেপ। ৭ নভেম্বর থেকে নতুন নিষেদ্ধাজ্ঞা কার্যকর হবে, চলবে আগামী বছর ৬ নভেম্বর পর্যন্ত।
২০০৬ সালের কেন্দ্রীয় ‘খাদ্য সুরক্ষা ও গুণমান আইন’-এ তামাক তথা নিকোটিনযুক্ত পদার্থগুলি ‘ক্ষতিকারক’ বলে চিহ্নিত। তাই তাদের ক্রয়-বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা আরও বৃদ্ধি হচ্ছে বলেই জানান হয়েছে।
দেশের একাধিক রাজ্যে তামাকজাত পান মশলা, গুটখা ক্রয় ও বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পশ্চিমবঙ্গেও গুটখা বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। এরপর থেকে সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও বাড়ানো হল। আগামী একবছর গুটখা, তামাকজাত পান মশলা রাজ্যের কোথাও বিক্রি, তৈরি এবং মজুত রাখা যাবে না বলে ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
চিকিৎসকরা বলছেন, এই সব জিনিসের নেশার কবলে পড়ে বাড়ছে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা। রাস্তাঘাটে অনেককেই দেখা যায় গুটখা বা পান মশলা খেলে যত্রতত্র থুতু ফেলছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্যালাইভা বা লালারসের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ায়।
সম্প্রতি গুটখা, পানমশলা নিষিদ্ধ হয়েছে ঝাড়খণ্ডে। ২০০৬ সালের খাদ্য সুরক্ষা এবং মানোন্নয়ন আইনের ৩০ (২) (এ) ধারায় এই নির্দেশিকা কার্যকর করা হচ্ছে, ঝাড়খণ্ডে। নোটিসে বলা হয়েছিল, সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকে নজর দিয়ে গুটখা, পানমশলা কেনাবেচা এবং সরবরাহের উপর নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছিল।
ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে গুটখা নিষিদ্ধ। তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহারে গুটখা বিক্রিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ২০১২ সালের মে মাস থেকে কেরলে গুটখা বিক্রি বন্ধ। ২০১২ সালের এপ্রিলে মধ্যপ্রদেশ সরকার গুটখা বিক্রি এবং সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।






















