Kaligaung Death : ফের রাজ্য পুলিশে অনাস্থা আদালতের, নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ থেকে সিট গঠন, এক ঝলকে কালিয়াগঞ্জ কাণ্ড
Calcutta High Court : নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে, দোষীদের শাস্তির দাবিতে দফায় দফায় উত্তাল হয় কালিয়াগঞ্জ।
সৌভিক মজুমদার, সুদীপ চক্রবর্তী, কলকাতা : রাজ্য পুলিশে (Police) কার্যত অনাস্থা প্রকাশ করে কালিয়াগঞ্জে (Kaliagung) নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগের তদন্তে SIT গঠন করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)।
ঘটনা ঘিরে উত্তাল হয় কালিয়াগঞ্জ
গত ২১ এপ্রিল নিখোঁজ হওয়ার পরের দিন, কালিয়াগঞ্জে কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের আত্মীয় এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃতদেহ নিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ-অবরোধ করেন তারা। নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে, দোষীদের শাস্তির দাবিতে দফায় দফায় উত্তাল হয় কালিয়াগঞ্জ।
মৃতদেহ টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে বিতর্কে জড়ায় পুলিশ। থানায় ভাঙচুর-আগুন, পুলিশকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হয়। কালিয়াগঞ্জের ঘটনা নিয়ে সরব হয় কেন্দ্রীয় মহিলা কমিশন থেকে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন যখন সেই নাবালিকার বাড়িতে তথ্য সংগ্রহে যান, সেই সময় কমিশনের সমালোচনা করে একের পর এক টুইট করা হয় রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের তরফে।
রাজনৈতিক চাপানউতোর
কালিয়াগঞ্জের ঘটনাকে হাতিয়ার করে, আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগে পথে নামে বিজেপি। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টের উল্লেখ করে, নাবালিকার মৃত্যুর নেপথ্যে বিষক্রিয়া বলে দাবি করেন রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার। কিন্তু পুলিশের দাবি মানতে চায়নি মৃতার পরিবার। এরপরই, CBI তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মৃতার বাবা। এই মামলায়, রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশে বলেন, ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি সংরক্ষণ করতে হবে। FIR, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও সুরতহাল রিপোর্ট দিতে হবে পরিবারকে। ২৮ জুন ফের এই মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টে।
আরও পড়ুন- শুভেন্দুর সভায় পুলিশি অনুমতি না মেলার অভিযোগ, হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি
এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত হতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন শুভেন্দু অধিকারী। ঘটনায় আগেই পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল হাইকোর্ট। বুধবার এই মামলায়, বিচারপতি মান্থা বলেন, প্রচণ্ড চাপের মুখে কাজ করতে পারছে না পুলিশ। সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের সময়ের মধ্যে সন্দেহজনক পার্থক্য রয়েছে। তাই এই সিট গঠন। নিয়ম অনুযায়ী, ইনকোয়েস্ট বা সুরতহালের সময় পরিবারের সদস্য়কে উপস্থিত থাকতে হবে। বিচারপতি জানিয়েছেন, এই ক্ষেত্রে পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। তাই এক্ষেত্রে প্রয়োজন মনে করলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করতে পারবে।