Kolkata News: বাংলাকে কীভাবে হাতের তালুর মতো চিনল জঙ্গিরা? বঙ্গে রয়েছে কোনও নেটওয়ার্ক?
West Bengal News: প্রশ্ন উঠছে, কলকাতাকে কীভাবে হাতের তালুর মতো চিন বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণকাণ্ডে সন্দেহভাজন দুই জঙ্গি?
আবির দত্ত ও পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণকাণ্ডে উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। কলকাতায় (Kolkata) এসেছিল আরও এক জঙ্গি মোজাম্মেল শরিফ। ধর্মতলায় দেখা করে মুসাভির, আবদুলের সঙ্গে। সেই টাকা ও সিম কার্ডের জোগান দিয়েছিল। প্রাথমিকভাবে অনুমান গোয়েন্দাদের।
বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে (Rameswaram Cafe) বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃত দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি এবং আব্দুল মাথিন আহমেদ ত্বহা-ই শুধু নয়, গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কলকাতায় এসেছিল বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণকাণ্ডে জড়িত আরও এক সন্দেহভাজন জঙ্গি, মোজাম্মেল শরিফ।
বেঙ্গালুরুর ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় তাঁকেই প্রথম গ্রেফতার করেছিল NIA। কিন্তু চাঞ্চল্যকর বিষয় হচ্ছে, গ্রেফতারির কয়েকদিন আগে পর্যন্তও এই শহরেই ছিল মোজাম্মেল। NIA সূত্রের দাবি, পয়লা মার্চ বেঙ্গালুরুর কাফেতে বিস্ফোরণ ঘটানোর পর, প্রথমে চেন্নাই যায় ২ সন্দেহভাজন জঙ্গি। সেখানে থেকে একাধিক ট্রেন বদল করে আসে কলকাতায়। সূত্রের দাবি, ১২ মার্চ, ধর্মতলার এক হোটেলে ২ সন্দেহভাজন জঙ্গি উঠেছিল।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ধর্মতলা চত্বরেই, এই ২ জনের সঙ্গে দেখা করে তৃতীয় সন্দেহভাজন মোজাম্মেল। সূত্রের খবর, দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি মুসাভির ও ত্বহাকে টাকা ও প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম কার্ডের জোগান দেয় মোজাম্মেল। সূত্রের খবর, ১৯ মার্চ বাবুঘাট থেকে বাস ধরে রাঁচি পৌঁছয় ২ সন্দেহভাজন জঙ্গি মুসাভির ও ত্বহা। তাদের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশনও মিলেছে রাঁচিতে।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, তাদের সঙ্গে দেখা করতে রাঁচিও পৌঁছে যায় মোজাম্মেল। প্রাথমিকভাবে গোয়েন্দাদের অনুমান, ২০-২১ তারিখ চেন্নাই ফিরে যায় মোজাম্মেল। ২৬ মার্চ তাকে গ্রেফতার করে NIA। ধৃতকে জেরা করে ২ সন্দেহভাজন জঙ্গির সম্পর্কে একাধিক তথ্য মেলে। পাওয়া যায় মোবাইল নম্বর। তার ভিত্তিতেই মুসাভির হুসেন শাজিব এবং আব্দুল মাথিন আহমেদ ত্বহার খোঁজ মেলে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর।
কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, কলকাতাকে কীভাবে হাতের তালুর মতো চিন বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণকাণ্ডে সন্দেহভাজন দুই জঙ্গি? শহরের বুকে একের পর এক হোটেল বদলানো, কখনও তারা পৌঁছে গেছে হাজরায়। সেখান থেকে অটো নিয়ে খিদিরপুর। আবার কখনও চাঁদনি চক মার্কেটে মোবাইল ফোন সারাতে।
এখানেই গোয়েন্দাদের প্রশ্ন, তবে কি দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে কলকাতায় কেউ গাইড করছিল? বঙ্গে কি তাদের কোনও নেটওয়ার্ক রয়েছে? কোন জায়গা থেকে কোথায় যেতে হবে, সেই নির্দেশ কে দিচ্ছিল? টাকার জোগানও কি আসছিল সেই উৎস থেকেই? নাহলে সবটা এত মসৃণভাবে হচ্ছিল কীভাবে?
ভিন রাজ্যের বাসিন্দা হয়ে কলকাতা শহরে রাজ্য়টাকে হাতের তালুর মতো চিনল কী করে? কিন্তু, কী কারণে কলকাতাকেই সেফ প্যাসেজ হিসেবে বেছে নিল জঙ্গিরা? অপরাধ করে আত্মগোপন নাকি, নেপথ্যে অন্যকোনও ছক ছিল ধৃতদের? এখন সেটাই খতিয়ে দেখছেন NIA-এর আধিকারিকরা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে