Covid Vaccination: টিকাকরণে পিছিয়ে বাংলা? পরিসংখ্যান প্রকাশ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের
West Bengal Corona Vaccination: করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভ্যাকসিনই যখন ভরসা, তখন কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য বলছে, ১৫ থেকে ১৮ বয়সীদের ভ্যাকসিনেশনে পিছিয়ে আছে বাংলা।
বিজেন্দ্র সিংহ, ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিনেশনের ক্ষেত্রে পিছনের সারিতে বাংলা। এখনও অবধি বাংলায় কিশোর-কিশোরীদের ৫৩ শতাংশের ভ্যাকসিনেশন হয়েছে। আজ এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, করোনার বৃদ্ধির মধ্যে ভ্যাকসিনেশনে গতি বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে প্রশাসনকে।
সুনামির চেহারা নিয়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ পার। বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার ১২ শতাংশ বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ। একদিনে মৃতের সংখ্যাও ৫০০-র দোরগোড়ায়। রাজ্যেও দৈনিক সংক্রমণ ১০ হাজারের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অ্যাকটিভ কেসের নিরিখে গোটা দেশে পঞ্চম স্থানে বাংলা।
এই মুহূর্তে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভ্যাকসিনই যখন ভরসা, তখন কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য বলছে, ১৫ থেকে ১৮ বয়সীদের ভ্যাকসিনেশনে পিছিয়ে আছে বাংলা। গত ১৭ দিনে রাজ্যে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ৫৩ শতাংশ ভ্যাকসিন পেয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ বলেন, "ফার্স্ট ওয়েভে সেদিন ভ্যাকসিন ছিল ২ পারসেন্ট, আজ ডেথ যা আছে, তাতে ভ্যাকসিন হয়েছে ৭২ শতাংশ"।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশিত পরিসংখ্যান বলছে, ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিনেশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ওপরে আছে অন্ধ্রপ্রদেশ। ৯৩ শতাংশ ভ্যাকসিনেশন হয়ে গিয়েছে দক্ষিণের এই রাজ্যে। এরপর যথাক্রমে- হিমাচল প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি, গুজরাত, কর্ণাটকের মতো রাজ্য আছে। কেন্দ্রের তালিকায়, সবচেয়ে নীচে, এক সারিতে আছে বাংলা এবং দাদরা ও নগর হাভেলি। এই প্রেক্ষাপটেই কিশোর-কিশোরীদের ভ্যাকসিনেশনের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি সচেতন করতে হবে বলে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ জয়দেব রায় বলেন, "ওমিক্রনে সঙ্গে মিক্সচারও আসছে এখন, ফলে এই টিকা নিলে তাতে অবশ্যই উপকার হবে, সংক্রমণ হলে যে মাত্রায় ক্ষতি হচ্ছে, ততটা হবে না।" অপর জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কাজলকৃষ্ণ বণিক বলেন, "প্রচার করতে হবে, তাদের এগিয়ে আসতে হবে, অভিভাবকদের কাছে পৌঁছতে হবে।"
কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও অবধি সারা দেশে ৯৪ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন। ৭১ শতাংশ মানুষ পেয়েছেন দ্বিতীয় ডোজ। জাতীয় গড়ের তুলনায় এখনও পিছিয়ে আছে বাংলা।