SFI : বিধানসভায় পৌঁছে গেট টপকানোর চেষ্টা SFI সমর্থকদের, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, টানতে টানতে ওঠানো হল প্রিজন ভ্যানে
বিধানসভার মূল গেটের সামনে জলকামান সহ ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকলেও এসএফআই কর্মী-সমর্থকরা পৌঁছে যায় অন্য গেটে।
কলকাতা : পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বিধানসভার গেটে SFI সমর্থকরা। শুধু বিধানসভায় (Assembly) পৌঁছে যাওয়াই নয় মিছিল থেকে বেশ কয়েকজন সমর্থক বিধানসভার গেট টপকে ভিতরে ঢুকে পড়ার চেষ্টাও করেন। যে সময় কার্যত পুলিশের (Police) সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় তাঁদের। পুলিশ তাদের বাধা দেওয়া শুরু করলে এসএফআই সমর্থকদের বার্তা, মিছিল করে এসে কথা বলতে চেয়েছিলাম, সেটা করতে দেওয়া হয়নি। হাওড়া, শিয়ালদায় আমাদের কমরেডদের আটকে দিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে।
বিধানসভার মূল গেটের সামনে জলকামান সহ ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকলেও এসএফআই কর্মী-সমর্থকরা পৌঁছে যায় অন্য গেটে। বিধানসভার ওয়েস্ট গেটে শুধু পৌঁছে যাওয়াই নয়, সেটা টপকে ভিতরে ঢুকে পড়ার চেষ্টাও করেন SFI কর্মী-সমর্থকরা। যে চেষ্টার সামিল ছিলেন এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যও। যে সময় মিছিলটি এসে পৌঁছয় তখন বিধানসভার ওই গেটে খুব বেশি পুলিশি নিরাপত্তা ছিল না। তবে বিক্ষোভের খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে বিশাল পুলিশ বাহিী এসে হাজির হয়। যার কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয়ে যায় ব্যাপক ধরপাকড়। সৃজন ভট্টাচার্য সহ বাকিদের কার্যত মাটিতে ফেলে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে তোলা হয় পুলিশের প্রিজন ভ্যানে।
শিক্ষায় দুর্নীতি, রাজ্যের একাধিক স্কুল বন্ধের এবং ছাত্র সংসদ ভোট ও আনিসকাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছিল সিপিএমের ছাত্র সংগঠন SFI। যদিও পরীক্ষা থাকায় লালবাজার (Lalbazar) মিছিলের অনুমতি দেয়নি। কিন্তু সিপিএমের ছাত্র সংগঠন অবস্থানে অনড় ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শিয়ালদা স্টেশন চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। যেখানে এসএফআই সমর্থকরা জড়ো হতেই কার্যত বেঁধে যায় তুলকালাম পরিস্থিতি। পুলিশের পক্ষ থেকে বারবারই মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছিল। সামনে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (Uchha Madhyamik Exam), তাই মিছিল করা যাবে না বলেও জানানো হচ্ছিল তাদের পক্ষ থেকে। যদিও এসএফআই সমর্থকরা ছিলেন মিছিলের দাবিতে অনড়। তাই তারা জড়ো হয়ে মিছিল শুরু করার প্রস্তুতিই নিচ্ছিলেন। যে সময়ই তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। যা নিয়ে এসএফআই সমর্থকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ, মানুষের বক্তব্য রাখার সুযোগ কেড়ে নিতে মুখ্যমন্ত্রী কার্যত গোটা পুলিশ প্রশাসনকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছেন। হাওড়া স্টেশনের বাইরেও কার্যত দেখা গিয়েছে একই চিত্র।
আরও পড়ুন- অনুব্রত কন্যাকে দিল্লিতে তলব ED র, এবার মুখোমুখি বসানো হবে বাবা-মেয়েকে