West Bengal SIR Process: এনুমারেশন ফর্মের সঙ্গে কাদের জমা দিতে হবে নথি? কী কী ডকুমেন্ট লাগবে? জানাল নির্বাচন কমিশন
Enumeration Form: নির্বাচন কমিশনের তরফে জানান তথ্য অনুযায়ী,২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ভোটার কিংবা তাঁর মা-বাবা-ঠাকুরদা কারও নাম না থাকলে সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট করে দেওয়া নথি পেশ করতে হবে।

কলকাতা: মঙ্গলবার থেকে এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন বুথ লেভেল অফিসাররা। ফর্মে জন্ম তারিখ, আধার নম্বর, মোবাইল নম্বর, অভিভাবকের নাম, এপিক নম্বর। যে বাড়িতে কেউ থাকবে না, সেই বাড়িতে ৩ বার যাওয়ার কথা রয়েছে BLO-দের। কীভাবে এই এনুমারেশন ফর্ম ফিল-আপ করতে হবে? কী কী তথ্য দিতে হবে এনুমারেশন ফর্মে? তা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকছে।
এরই মধ্যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক, পশ্চিমবঙ্গ (Chief Electoral Officer West Bengal)- থেকে একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানান হয়েছে, ৪ নভেম্বর ২০২৫ থেকে শুরু হবে গণনা ফর্ম (Enumeration Form) বিতরণ এবং সংগ্রহের কাজ। চলবে ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত। গণনা পর্বে (Enumeration Phase) (৪ঠা নভেম্বর থেকে ৪ঠা ডিসেম্বর ২০২৫) পূরণ করা গণনা ফর্ম (Enumeration Form) সই করে জমা করলেই খসড়া ভোটার তালিকায় নাম উঠবে। এই পর্বে ফর্মের সঙ্গে কোনো নথি জমা করার প্রয়োজন নেই।
এর আগে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানান তথ্য অনুযায়ী, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ভোটার কিংবা তাঁর মা-বাবা-ঠাকুরদা কারও নাম না থাকলে সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট করে দেওয়া নথি পেশ করতে হবে। নির্বাচন কমিশন সেই নথি খতিয়ে দেখবে। তা বৈধ হলে ভোটার তালিকায় নাম উঠবে। ভোটারদের অনেকে জানতে চাইছেন, এনুমারেশন ফর্ম ফিলআপ করতে কি কোনও নথি লাগবে? এক বিএলও জানান, কোনও ডকুমেন্ট লাগবে না। এনুমারেশন ফর্মে কোনও ডকুমেন্ট লাগবে না। যদি কেউ নতুন ভোটার আসে ফর্ম-৬ ফিলআপ করে সেখানে ডকুমেন্ট লাগবে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক-এর সোশাল পোস্টে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র খসড়া তালিকা প্রকাশের পর নোটিস জারি হলে, সেই অনুযায়ী গণনা ফর্মে (Enumeration Form) উল্লিখিত যে কোনো নথি জমা করা প্রয়োজন।
https://voters.eci.gov.in/ ওয়েবসাইটে পূর্ববর্তী SIR নির্বাচক তালিকায় তাদের এবং সংশ্লিষ্ট আত্মীয়দের নাম যাচাই করতে পারেন। সহায়তার জন্য, নির্বাচকরা সংশ্লিষ্ট BLO-দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। যে সকল নির্বাচকদের গণনা ফর্মে প্রদত্ত পূর্ববর্তী SIR নির্বাচক তালিকার বিবরণ ডেটাবেসে উপলব্ধ নেই বা ডেটাবেসে মিলছে না তাদের কাছে ERO নোটিশ পাঠাবেন। নোটিশ পাওয়ার পর, নির্বাচককে নিম্নলিখিত বিভাগ অনুযায়ী নথি প্রদান করতে হবে:
ভারতে ০১.০৭.১৯৮৭ সালের আগে জন্মগ্রহণকারী:
জন্মতারিখ এবং/অথবা জন্মস্থানের প্রমাণস্বরূপ নিন্মোক্ত তালিকা থেকে নিজের জন্য যেকোনো একটি নখি জমা দিন।
ভারতে ০১.০৭.১৯৮৭ এবং ০২.১২.২০০৪ এর মধ্যে জন্মগ্রহণকারী:
জন্মতারিখ এবং/অথবা জন্মস্থানের প্রমাণস্বরূপ নিন্মোক্ত তালিকা থেকে নিজের জন্য যেকোনো একটি নথি জমা দিন। জন্মতারিখ এবং/অথবা জন্মস্থানের প্রমাণস্বরূপ নিম্মোক্ত তালিকা থেকে পিতা বা মাতার জন্য যেকোনো একটি নথি জমা দিন।
ভারতে ০২.১২.২০০৪ এর পর জন্মগ্রহণকারী:
জন্মতারিখ এবং/অথবা জন্মস্থানের প্রমাণস্বরূপ নিন্মোক্ত তালিকা থেকে নিজের জন্য যেকোনো একটি নখি জমা দিন। জন্মতারিখ এবং/অথবা জন্মস্থানের প্রমাণস্বরূপ নিন্মোক্ত তালিকা থেকে পিতার জন্য যেকোনো একটি নখি জমা দিন। জন্মতারিখ এবং/অথবা জন্মস্থানের প্রমাণস্বরূপ নিন্মোক্ত তালিকা থেকে মাতার জন্য যেকোনো একটি নথি জমা দিন। বাবা বা মা-এর মধ্যে যদি একজন ভারতীয় না হয়ে থাকে তাহলে আপনার জন্মের সময় তাঁর বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসার একটি প্রতিলিপি জমা দিন।
ভারতের বাইবে জন্মগ্রহণকারী (বিদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস কর্তৃক জারি করা জন্ম নিবন্ধীকরণের শংসাপত্র পেশ করুন):
যারা নিবন্ধীকরণের মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকত্ব অর্জন করেছেন (নাগরিকত্ব নিবন্ধীকরণের শংসাপত্র পেশ করুন):
যে নথিগুলি জমা দিতে হবে তাঁর একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা (সামগ্রিক নয়) (নিজের, বাবার ও মায়ের কথা যদি
উপরে উল্লেখ করা থাকে তাহলে প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা স্ব-প্রত্যয়িত নথি জমা দিতে হবে):
১. যে কোনো পরিচয়পত্র/ পেনশন পেমেন্ট অর্ডার যেটি কেন্দ্রীয় সরকার/ রাজ্য সরকার/ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার যেকোনো নিয়মিত কর্মী/ পেনশনপ্রাপককে দেওয়া হয়েছে,
২. যে কোনো পরিচয়পত্র/ শংসাপত্র/ নথি যেটি ০১/০৭/১৯৮৭-এই তারিখের পূর্বে সরকার/ স্থানীয় কর্তৃপক্ষ/ব্যাঙ্ক/ ডাকঘর/ ভারতীয় জীবনবিমা নিগম/ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত,
৩. উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া জন্মের শংসাপত্র,
৪. পাসপোর্ট।
৫. স্বীকৃত পর্ষদ/ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত ম্যাট্রিকুলেশন/ শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র।
৬. রাজ্যের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত স্থায়ী বাসস্থানের শংসাপত্র।
৭. বনভূমি অধিকার শংসাপত্র।
৮. উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায়/ তপশিলি জাতি/ তপশিলি উপজাতি বা অন্য অনগ্রসর জাতির শংসাপত্র।
৯. নাগরিকদের জাতীয় রেজিস্টার (যে সমস্ত ক্ষেত্রে এটা রয়েছে)।
১০. রাজ্য/স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দ্বারা তৈরি পারিবারিক রেজিস্টার।
১১. কোনো জমি/ বাড়ি বরাদ্দের সরকারি শংসাপত্র।
১২. আধারের জন্য কমিশনের ০৯.০৯.২০২৫ তারিখের নির্দেশ নং 23/2025-ERS/Vol.I। প্রযোজ্য হবে।
১৩. ০১.০৭.২৫ অনুযায়ী বিহারের এস.আই.আর-এর নির্বাচক তালিকার নির্যাস























