West Bengal Weather : ঘনাচ্ছে দুর্যোগের মেঘ, অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সর্তকতা এই জেলাগুলিতে
West Bengal Weather Update : মৌসুমী অক্ষরেখার অবস্থানের জেরে উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে আগামী ৪৮ ঘন্টায়।

সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা : উত্তরপ্রদেশ ও সংলগ্ন বিহারে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত (cyclone) । অমৃতসর, নাজিবাবাদ, দ্বারভাঙ্গা থেকে জলপাইগুড়ির ওপর দিয়ে দক্ষিণ পূর্ব দিকে এগিয়ে মিজোরাম পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা। এর প্রভাবেই জলীয় (Rain) বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে আর তার থেকেই বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। শনিবার থেকে মৌসুমী অক্ষরেখা নিচের দিকে নামতে পারে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের।
ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা কোথায় কোথায়
মৌসুমী অক্ষরেখার অবস্থানের জেরে উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে আগামী ৪৮ ঘন্টায়। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি - এই পাঁচ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সর্তকতা। দার্জিলিং ও কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। শনিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, পাঁচ জেলাতেই অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে মালদা এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে।
বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে
মূলত মেঘলা আকাশই থাকবে দক্ষিণবঙ্গে (West Bengal Weather Update) । ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও বেশ কয়েক পশলা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। শনিবার থেকে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির (Weather Update) পরিমাণ বাড়তে পারে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। বৃষ্টি না হলে সেই সময় আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি থাকবে।
কলকাতা শহরে মূলত মেঘলা আকাশই থাকবে। দু এক পশলা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ সামান্য বাড়তে পারে। বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি চলবে। কলকাতায় শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের ২ ডিগ্রি কম। বৃহস্বিপতিবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের ২ ডিগ্রি কম। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৮১ থেকে ৯৩ শতাংশ।
দক্ষিণবঙ্গে এখনও বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। জুন মাসে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রবেশের পর থেকে উত্তরবঙ্গে দফায় দফায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে সেই তুলনায় বৃষ্টি অনেকটাই কম। জুলাই মাসে সেই ঘাটতির পরিমাণ বেশ কয়েকটি জেলায় ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। জুলাই মাসের শেষ দিকে কয়েক জেলায় ভারী বৃষ্টি ও মৌসুমী অক্ষরেখা সক্রিয় হওয়ার কারণে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি কিছুটা কমেছে। তবে এখনও সেই ঘাটতি পূরণ হয়নি। এখনও দক্ষিণবঙ্গে প্রায় ২৯ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। উত্তরবঙ্গের স্বাভাবিকের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বর্ষার চলতি মরশুমে সামগ্রিকভাবে রাজ্যে ১৩ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি।






















