Weather Update : সুন্দরবনে উত্তাল সমুদ্র, আছড়ে পড়ছে সুউচ্চ ঢেউ, জল-স্থল একাকার
High Tide In Sundarban : জলস্তর এতটাই বেড়ে গিয়েছে, লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে সমুদ্রের জল। পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে বারণ করা হচ্ছে।
গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : নিম্নচাপের ( Depression ) বৃষ্টিতে রক্ষা নেই, দোসর পূর্ণিমার ভরা কটাল। জোড়া ফলায় সকাল থেকে সুন্দরবন ( Sundarban ) এলাকায় বৃষ্টির দাপট বেড়েছে। সমুদ্র উথাল-পাথাল। মাথা-সমান ঢেউ আছড়ে পড়ছে স্থলে। সাধারণ দিনে যে জায়গাগুলি অ্যামিউজমেন্ট পার্ক বা মাঠ, সেগুলি এখন শুধুই সমুদ্র। জলস্তর এতটাই বেড়ে গিয়েছে, লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে সমুদ্রের জল। পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে বারণ করা হচ্ছে। আর সাগরও এতটাই উত্তাল যে, কেউ সাহস করে এগোচ্ছেনও না।
উত্তাল সমুদ্র, জল-স্থল একাকার
উপকূল এলাকায় বইছে ঝোড়ো হাওয়া, উত্তাল সমুদ্র। মৎস্যজীবীদের পাশাপাশি, পর্যটকদেরও সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসের জেরে নামখানা ব্লকের মৌসুনী দ্বীপে বালিয়াড়া ও সল্টঘেরি এলাকায় বাঁধ উপছে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে। উপকূল এলাকায় বেশ কিছু বাড়ি জলমগ্ন। কোথায় রাস্তা ? কোথায় মাঠ ? চারিদিকে শুধুই জল !
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুসারে, সমুদ্রে জল বাড়ার কথা তো ছিলই। নদী ও সমুদ্রের জলস্তর বাড়লে সাগর, নামখানা ও পাথরপ্রতিমা ব্লকের একাধিক মাটির বাঁধ ভেঙে জল ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে। ব্যাহত হতে পারে অস্থায়ী বাঁধ তৈরির কাজ।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাকদ্বীপ ও ডায়মন্ড হারবারে মহকুমা শাসকের দফতর, সুন্দরবনের মথুরাপুর ২ নম্বর, কাকদ্বীপ, নামখানা, সাগর ও পাথরপ্রতিমা ব্লক অফিসে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। পরিস্থিতি বুঝে প্রয়োজনে কাকদ্বীপ মহকুমা এলাকায় ফেরি সার্ভিস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেবে প্রশাসন। সাগরের মুড়িগঙ্গা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের চকফুলডুবি মন্দিরতলায় নির্মীয়মাণ নদীর বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে।
গার্ডওয়াল টপকে হুগলি নদীর জল ঢুকতে শুরু করায়, ভাসছে ডায়মন্ড হারবারের পিকনিক স্পট কেল্লার মাঠ।
আরও পড়ুন :
শহরের কোথায় বৃষ্টি হল সবথেকে বেশি ? কোথায় সবথেকে বেশি জমল জল?
অন্যদিকে, রাতভর বৃষ্টিতে জল থই-থই পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল। মেন বিল্ডিংয়ের একতলায় জেনারেল ওয়ার্ড জলমগ্ন।জল ঢুকেছে অন্যান্য ওয়ার্ডেও। বেহাল নিকাশি। কোথাও আবার হাসপাতালের ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ছে। সেই জল ঠেলেই রোগী দেখছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে রোগীকে দেখতে এসে সমস্যায় পড়ছেন আত্মীয়-পরিজনেরাও। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন