![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
West Burdwan News: 'তৃণমূলের দাদাগিরিতে স্কুল তৈরিতে বাধা', সরব বিরোধীরা
ছোটদের জন্য স্কুল তৈরি করতে চান। সরকারি সংস্থা থেকে জমির লিজও পেয়েছেন। কিন্তু স্কুল তৈরিতে হাত দেওয়া যাচ্ছে না! অভিযোগ কাজ শুরু করতে গেলেই আসছে খুনের হুমকি।
![West Burdwan News: 'তৃণমূলের দাদাগিরিতে স্কুল তৈরিতে বাধা', সরব বিরোধীরা West Burdwan allegation of creating Obstacles to building schools West Burdwan News: 'তৃণমূলের দাদাগিরিতে স্কুল তৈরিতে বাধা', সরব বিরোধীরা](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/05/25/8b2d947a11acc6d886d8702559757aaf_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: তৃণমূলের (TMC) স্থানীয় নেতৃত্বের দাদাগিরিতে স্কুল তৈরির কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ। তা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে পশ্চিম বর্ধমানের (West Burdwan) দুর্গাপুরের (Durgapur) পলাশডিহাতে। পুলিশ, প্রশাসন থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীকে পর্যন্ত মেল করে অভিযোগ জানিয়েছেন স্কুল নির্মাণে উদ্যোগী দম্পতি। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
ছোটদের জন্য স্কুল তৈরি করতে চান। সরকারি সংস্থা থেকে জমির লিজও পেয়েছেন। কিন্তু স্কুল তৈরিতে হাত দেওয়া যাচ্ছে না! অভিযোগ কাজ শুরু করতে গেলেই আসছে খুনের হুমকি। স্থানীয় তৃণমূল নেতা (TMC Leader) কর্মীদের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে সরব হলেন দুর্গাপুরের পলাশডিহার বাসিন্দা চন্দ্রনাথ সামন্ত ও তাঁর স্ত্রী।
এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থও হয়েছেন এই দম্পতি। দম্পতির ঠিক কী অভিযোগ? প্রায় সাড়ে ৪ কাঠা এই জমিতে ছোটদের জন্য একটি স্কুল তৈরির উদ্যোগ নেন তাঁরা। দম্পতির দাবি, দোসরা মার্চ আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের থেকে জমির লিজও হাতে পেয়ে যান তাঁরা। কিন্তু প্রায় তিন মাস হতে চললেও, এখনও কাজ শুরু করতে পারেননি। অবিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাদাগিরিতে বন্ধ রাখতে হয়েছে কাজ।
অভিযোগকারী চন্দ্রনাথ সামন্তের কথায়, তৃণমূলেরই ছেলে সব। ডাকল। ডাকার পর বলল এডিডিএ জমি দেওয়ার কে? আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে কাজ করতে যাবে না। খুন করে ড্রেনে ঢুকিয়ে দেব। আপনার বাড়িতে হামলা চালাব। ওরা চইছে আমি কাগজ হ্যান্ডওভার করে দিই। জোর করে লিখিয়ে নেবে। অন্যকে চড়া দামে বিক্রি করবে।
অন্যদিকে, এলাকার তৃণমূল কর্মীদের একাংশের দাবি যে জমিতে স্কুল তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, সেখানেই পাট্টার দাবিদার তাঁরা। পলাশডিহার তৃণমূল কর্মী ও বাসিন্দা রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, আমরা এই এলাকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা। আমাদেরও চিঠি দেওয়া আছে এডিডিএ-কে পাট্টার জন্য। তা নিয়ে কথা বলার জন্যই উনাকে কাজ বন্ধ রাখতে বা হয়েছে।
দুইয়ের দ্বন্দ্বে বন্ধ স্কুল তৈরির কাজ। পুলিশ-প্রশাসন থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীকে পর্যন্ত মেল করে অভিযোগ জানিয়েছে সামন্ত পরিবার। দুর্গাপুর পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মানস রায়ের কথায়, সন্দেহ ছিল হয়তো কাগজপত্র ঠিকঠাক নেই। তাই আমার লোকেরা দেখতে গিয়েছিল। এডিডিএ-র সঙ্গে কথা হয়েছে। জানিয়েছে উনি জমি পেয়েছেন। এবার হয়তো কাজ শুরু হবে। ‘ জটিলতা কাটিয়ে স্কুল তৈরির কাজ কবে শুরু হয়, এখন সেটাই দেখার।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)