Jawad Affect: মাঠেই ভিজছে ধান, পণ্ড আলু চাষ; টানা বৃষ্টির জেরে মাথায় হাত চাষীদের
এই সময়ই ধান কাটা হয়। তারই মধ্যে বৃষ্টি। যার জেরে কাটার পরও মাঠেই ভিজছে ধান। ধান তোলার পরই চাষ হয় আলুর। অনেকেরই সেই জমি তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টির জেরে সব পণ্ড! আশঙ্কায় চাষিরা।
সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) ‘জওয়াদ’ (Jawad)-এর ঝোড়ো ধাক্কা সামলাতে হয়নি বঙ্গকে। তবে তার প্রভাবে চলছে টানা বৃষ্টি। আর তার জেরেই ক্ষতির আশঙ্কায় পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapur) কৃষকরা। ধান কেটেও ঘরে তুলতে পারেননি অনেকে। বৃষ্টির জেরে জমি তৈরি করেও আলু বসাতে না পারায় মাথায় হাত তাঁদের।
ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’(Jawad)-এর প্রভাব নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক করা হয়েছিল কৃষকদের। কিন্তু সেই সতর্কবার্তা সত্ত্বেও, পুরোপুরি ঠেকানো গেল না চাষে ক্ষতি, বলছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapur) কৃষকরা। এ জেলার গড়বেতা (Garbeta), চন্দ্রকোণা রোড (Chandrakona Road), ঘাটাল (Ghatal), শালবনি (Salboni)-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ধান, আলুর পাশাপাশি সবজির চাষ হয়।
এই সময়ই ধান কাটা হয়। তারই মধ্যে বৃষ্টি। যার জেরে কাটার পরও মাঠেই ভিজছে ধান। ধান তোলার পরই চাষ হয় আলুর। অনেকেরই সেই জমি তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টির জেরে সব পণ্ড! আশঙ্কায় চাষিরা।
গড়বেতার কৃষক সুবোধ হাজরা জানিয়েছেন, অন্য বছর এ সময় ধান তুলে আলু লাগানো হয়ে যায়। হঠাৎ বৃষ্টিতে কিছু ধান কেটেছি। সবটা তুলতে পারিনি। আলু লাগানো যাবে না। ক্ষতির সম্ভবনা।
চন্দ্রকোণা রোডের কৃষক অশোক সামন্তর কথায়, ধানের পাশআপাশি সবজি চাষ করেছিলাম। কপি, বেগুন বসিয়েছিলাম। বেগুনটা নষ্ট হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে বৃষ্টি থামার অপেক্ষায় কৃষকরা। বৃষ্টি বাড়লে, ফসলের ক্ষতি বাড়বে বলেই তাঁদের আশঙ্কা।
উল্লেখ্য ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) জওয়াদ (Jawad) পরিণত হয়েছে নিম্নচাপে (Depression)। তার জেরে দিনভর বৃষ্টিতে ভিজল কলকাতা (Kolkata)। কালও রয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। দুর্যোগ মোকাবিলায় তৎপর হয়েছে কলকাতা পুরসভা। তৈরি দমকলও। পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে কন্ট্রোল রুম খুলে নজরদারি বিদ্যুৎ দফতরের।
ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) আশঙ্কা না থাকলেও, নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি। কোথাও ভেঙে পড়ল গাছ, নদীতে বাড়ল জলস্তর। দুর্যোগ মোকাবিলায়, আগে থেকেই তৈরি কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipality)। সচল কন্ট্রোল রুম। পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে ২৪ ঘণ্টা খোলা বিদ্যুৎ দফতরও। ঝড় হয়নি। সকাল থেকে মাঝারি বৃষ্টি। তাতেই গাছ ভেঙে পড়ে কলকাতার ২৭ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে। সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হলেও, রবিবার সকাল পর্যন্ত রয়েছে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা।
ধর্মতলায় পুরসভার কন্ট্রোল রুম থেকে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়। কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলী বিদায়ী চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, যদি এমন বৃষ্টি হয়, সেই ওয়েল বহনক্ষমতা নিয়ে নেবে। খুব ভারী বৃষ্টি না হলে জল জমবে না। সবসময় কথা বলছি। ফোনে সাজেশন দিচ্ছি।লো লাইং এলাকায় পাম্প রেডি রাখতে বলেছি।