West Midnapur News: শুভেন্দু ‘চোর’, দিলীপ ‘পাগল’, ফের বেলাগাম মদন মিত্র, ‘কমেডিয়ান’, কটাক্ষ মেদিনীপুরের সাংসদের
West Midnapur Political News:মদনের এই বক্তব্য সম্পর্কে প্রতিক্রিয়ায় দিলীপ ঘোষ বলেছেন, শুভেন্দু মমতাকে হারিয়েছেন। সেই দুঃখে উল্টোপাল্টা বলছেন। উনি বাংলার জন্য ভাল কমেডিয়ান।
অলোক সাঁতরা, খড়্গপুর (পশ্চিম মেদিনীপুর): ‘খড়্গপুর (Khargapur) চাই, খড়্গপুর জিততেই হবে, বিশ্বাসঘাতক শুভেন্দু-কে জবাব দিতে হবে। ইয়ে খড়পপুর মুঝে চাহিয়ে! ‘ আইএনটিটিইউসি'র সভায় উপস্থিত হয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) এভাবেই পুরসভার ভোটের আগে দলীয় কর্মীদের চাগিয়ে দিয়ে গেলেন। আর, রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা তথা অবিভক্ত মেদিনীপুরের একসময়ের তৃণমূলের প্রধান সেনাপতি, বর্তমানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) 'বেনজির' আক্রমণ করতে গিয়ে ফেরা বেলাগাম মদন মিত্র! তিনি বললেন, ‘’শুভেন্দু যদি মায়ের দুধ খেয়ে থাকে, আর বাপের ব্যাটা হয়ে থাকে, নন্দীগ্রাম থেকে ইস্তফা দিক, আমিও কামারহাটি থেকে ইস্তফা দিচ্ছি, ২৯৪ টা বিধানসভার যেখানে বলবে, সেখানেই লড়ে দেখাব! শুভেন্দু'কে ওপেন চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি।"পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের রাম মন্দিরে আইএনটিটিইউসি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েএই মন্তব্য করলেন বিধায়ক মদন মিত্র।
শুধু শুভেন্দু নয়, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষকেও বেলাগাম সুরে কটাক্ষ করেন মদন মিত্র। দিলীপের উদ্দেশ্যে মদন মিত্র বলেন,’দিলীপ ঘোষকে নিয়ে কি আর বলব! ওঁর তো বারমুডা খুলে যাচ্ছে! আলো মানে ফিলিপস আর পাগলা মানে দিলীপ!’ তবে, তার আগে শুভেন্দু অধিকারী'র বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া চাইলে, শুভেন্দু অধিকারী-কে রীতিমতো তুলোধোনা করেন মদন। প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী মঙ্গলবার কলকাতার নতুন করে মেয়র নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিমকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-কে বলব ফিরহাদ হাকিম-কে ছাপ্পাশ্রী উপাধি দিতে! তারই প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার রাতে মদন মিত্র খড়্গপুরে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘শুভেন্দু'র মতো চোর-ছ্যাচ্চর-ফেরেব্বাজ আর কেউ নেই! ওঁকে আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি। মায়কা লাল হলে আমার বিরুদ্ধে লড়ে দেখা!’
মদনের এই বক্তব্য সম্পর্কে প্রতিক্রিয়ায় দিলীপ ঘোষ বলেছেন, শুভেন্দু মমতাকে হারিয়েছেন। সেই দুঃখে উল্টোপাল্টা বলছেন। উনি বাংলার জন্য ভাল কমেডিয়ান। সবাই জানেন, মদন দিনে এক কথা বলেন, আর রাতে আর এক কথা।