Recruitment Scam: এবার CBSE-তে নিয়োগ দুর্নীতি, ১৫ লাখের বিনিময়ে পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব; গ্রেফতার ৪
CBSE Recruitment Scam: দিল্লির গ্রেটার কৈলাশ থানার এসএইচও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩১৮(৪), ৩১৯(২) ধারায় মামলা দায়ের করেন এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

CBSE Recruitment Exam: সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন সংস্থায় সুপারিনটেন্ডেন্ট এবং জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগের পরীক্ষায় এবার দুর্নীতির পর্দাফাঁস। দিল্লি পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে এই ঘটনায়। সরকারি চাকরি পাওয়ার স্বপ্ন দেখে যে পড়ুয়ারা পরিশ্রম করে পড়াশোনা করে পরীক্ষায় (CBSE Recruitment) বসেন তাদের প্রতি প্রতারণা করার অপরাধে ৪ প্রতারককে (Recruitment Scam) গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তারা এবং সেই মত ভুয়ো পরিচয়ে পরীক্ষাও দিয়েছিলেন।
বেশ কিছু নথি ও গ্যাজেট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ শুধু যে এই প্রতারকদের গ্রেফতার করেছে তাই নয়, তাদের কাছ থেকে ৪টি ব্লুটুথ ডিভাইস, ৪টি মোবাইল, ২টি ল্যাপটপ, ১টি গাড়ি এবং ওএমআর শিট, এন্ট্রি পাস, অ্যাটেন্ডেন্স শিটও উদ্ধার করেছে।
এভাবে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ
দিল্লির সাউথ ডিস্ট্রিক্টের ডিসিপি অঙ্কিত চৌহান বলেছেন ২০ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে সিআর পার্ক থানার একটি টিম জিকে ২ পরীক্ষার তদারকি করছিল। এরপরে সেই পরীক্ষা কেন্দ্রের সুপারিনটেন্ডেন্ট জানান যে একজন পরীক্ষার্থীর স্থানে অন্য একজন পরীক্ষা দিতে এসেছে। তদন্ত করে দেখা যায় যে নীতীন নামের এক ব্যক্তি তাঁর হয়ে পরীক্ষা দিতে পাঠিয়েছিলেন শচীন নামের এক পরীক্ষার্থীকে।
দিল্লি পুলিশ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে শচীনকে ডেকে পাঠায় এবং তাঁর কাছাকাছি উপস্থিত নীতীনকেও ধরে ফেলে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাদের মুখ থেকে জানা যায় তাদের অন্য দুই সহযোগী শ্যাম সুন্দর এবং বলবিন্দরের নাম। পরে এই দুই ব্যক্তিকেও গ্রেটার কৈলাশ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
১৫ লক্ষ টাকায় চুক্তি হয়েছিল
দিল্লির গ্রেটার কৈলাশ থানার এসএইচও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩১৮(৪), ৩১৯(২) ধারায় মামলা দায়ের করেন এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এই সময়য় চার অভিযুক্ত জানান যে নীতীন শ্যাম সুন্দরের সঙ্গে ১৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চুক্তি করেছিলেন যাতে তাঁর এই চাকরিটি স্থায়ী হয়। শ্যাম এই চুক্তিটি করেছিলেন বলবিন্দরের সঙ্গে যিনি ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে শচীনকে ভুয়ো পরীক্ষার্থী বানিয়ে পরীক্ষায় বসিয়েছিল। এই গোটা দলটি বছরের পর বছর ধরে এই ধরনের প্রতারণামূলক কাজ করে আসছে। এর আগেও শচীন নামের এই ব্যক্তি অন্যদের হয়ে পরীক্ষায় বসেছেন। রাজস্থানের একটি মামলাতেও পুলিশ শচীনকে খুঁজছিল।
কারা কারা অভিযুক্ত ?
দিল্লি পুলিশ যে চারজনকে গ্রেফতার করেছে তাদের মধ্যে আছেন হরিয়ানার বাসিন্দা স্নাতক উত্তীর্ণ শচীন (২৬), নীতীন (২৮) এবং বলবিন্দর (২৭)। এর মধ্যে শচীন ভুয়ো পরীক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষা দেওয়ার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। নীতীন একজন বিটেক স্নাতক এবং চাকরি পাওয়ার জন্য সে অসততার পথ বেছে নিয়েছে। এর মধ্যে বলবিন্দর মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতেন। হরিয়ানার গ্রুপ ডি-তে চাকরি করার সময় থেকেই তিনি এই কেলেঙ্কারির অংশ হয়ে ওঠেন। চতুর্থ ব্যক্তি হিসেবে আটক করা হয়েছে ২৯ বছর বয়সী শ্যাম সুন্দরকে। তিনিই যুবকদের সঙ্গে টাকার বিনিময়ে চুক্তি করতেন।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI






















