CRPF, BSF, CISF Exam: ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত, এই প্রথম সিআরপিএফ-বিএসএফ-সিআইএসএফ- এ নিয়োগের পরীক্ষা হবে আঞ্চলিক ভাষায় !
Jobs And Recruitments: এই প্রথম আধাসামরিক বাহিনীতে কনস্টেবল (জেনারেল ডিউটি) পদে নিয়োগের পরীক্ষা হতে চলেছে ১৩টি আঞ্চলিক ভাষায়। উদ্যোগ নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং স্টাফ সিলেকশন কমিশন।
CRPF, BSF, CISF Exam: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (Ministry Of Home Affairs) তরফে ঘোষণা করা হয়েছে আধাসামরিক বাহিনীতে (Paramilitary Forces) নিয়োগের ক্ষেত্রে এবার পরীক্ষা নেওয়া হবে আঞ্চলিক ভাষায়। অর্থাৎ সিআরপিএফ (CRPF), বিএসএফ (BSF) এবং সিআইএসএফ (CISF) - এই তিন বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ১৩টি আঞ্চলিক ভাষায় (13 Regional Languages) পরীক্ষা নেওয়া হবে। এই তালিকায় থাকছে কন্নড় ভাষাও। এই প্রথমবার এভাবে আঞ্চলিক ভাষায় পরীক্ষা নেওয়া হবে। আর পরীক্ষা হতে চলেছে ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চের মধ্যে। প্রায় ৪৮ লক্ষ প্রার্থী এবার পরীক্ষায় বসতে চলেছেন। কনস্টেবল (জেনারেল ডিউটি) (Constable General Duty) পদের জন্য পরীক্ষা দেবেন তাঁরা। ভারতের ১২৮টি শহর জুড়ে হবে পরীক্ষা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। গত বছর এপ্রিল মাসে ঘোষণা করা হয়েছিল যে ইংরেজি এবং হিন্দি ছাড়া অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষাতেও পরীক্ষা নেওয়া হবে। এবার তারই বাস্তবায়ন হতে চলেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের উদ্যোগেই এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে যাতে কেন্দ্রীয় স্বশস্ত্র পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায় সেই জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি আঞ্চলিক ভাষাগুলিকেও আরও গুরুত্ব দেওয়া হবে।
এবার জেনে নেওয়া যাক কোন ১৩টি আঞ্চলিক ভাষায় পরীক্ষা নেওয়া হবে
অহমিয়া, বাংলা, গুজরাটি, মারাঠিম মালয়ালম, কন্নড়, তামিল, তেলুগু, ওড়িয়া, উর্দু, পাঞ্জাবি, মণিপুরি এবং কোঙ্কনি- হিন্দি এবং ইংরেজি ছাড়াও এই ১৩টি আঞ্চলিক ভাষায় তৈরি হয়েছে প্রশ্নপত্র। কনস্টেবল (জেনারেল ডিউটি) পদের জন্য যে প্রবেশিকা পরীক্ষা হতে চলেছে তার আয়োজক হল স্টাফ সিলেকশন কমিশন। দেশের লক্ষাধিক তরুণ এই পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন এবং পরীক্ষায় বসেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং স্টাফ সিলেকশন কমিশন একটি চুক্তি সাক্ষর করেছে। আর তার মাধ্যমেই ১৩টি আঞ্চলিক ভাষায় এবার পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে এসএসসি- র তরফে একটি নোটিফিকেশনও প্রকাশ করা হয়েছে। কেদ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত এবং উদ্যোগের দরুণ দেশের প্রচুর তরুণ এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলেই অনুমান করা হচ্ছে। আঞ্চলিক ভাষা কিংবা মাতৃ ভাষায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাওয়ার ফলে এই ধরনের পরীক্ষার প্রতি আকর্ষণ এবং সেখানে ভাল ফল করার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পাবে। দেশজুড়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে বলেও আশাবাদী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং স্টাফ সিলেকশন কমিশন। পরীক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও প্রার্থীর কাছে ভাষা আর বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।
ডিসক্লেমার : পরামর্শস্বরূপ পরীক্ষার্থী/চাকরিপ্রার্থীদের উপকারহেতু এই তথ্যাদি দেওয়া হচ্ছে। তবুও, তাঁদের কাছে একান্ত অনুরোধ, আবেদন করার আগে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট, উপযুক্ত সরকারি সূত্র থেকে সরকারি নথি/বিজ্ঞপ্তি খুঁটিয়ে দেখে নিন অবশ্যই। শুভেচ্ছা।
আরও পড়ুন- ইসরোতে একগুচ্ছ পদে হতে চলেছে নিয়োগ, শূন্যপদের সংখ্যা কত? কবে পর্যন্ত আবেদন করা যাবে?
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI