IAS Success Story : আস্থা রাখতে পারে এমন মানুষজনই ঘিরে থাকুক
IAS Success Story of Anupama Anjali: ২০১৮ সালের ২৭ এপ্রিল। সন্ধে। ২০১৭ সালের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার ফল ঘোষণা হল। IAS অফিসারদের সরকারি খাতায় অনুপমা অঞ্জলির নাম তোলার বিষয়টিও পাকাপোক্ত হয়ে গেল সেদিন। গোটা দেশে ক্রম ৩৮৬।
নয়াদিল্লি : একাগ্রতা আর কঠোর পরিশ্রম। সাফল্য পেতে এর কোনও বিকল্প নেই। সাফল্যের শীর্ষস্তরে পৌঁছতে নেই কোনও শর্টকার্ট। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের মুখেই নানা সময়ে উঠে এসেছে এই কথা। প্রতিযোগিতা যেখানে চরম, সেখানে সফল হতে যে পরিশ্রমের চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছতে হবে তা আর নতুন কী ! আর সেই প্রতিযোগিতার নাম যদি হয় IAS,তাহলে প্রস্তুতির জন্য পরিশ্রম ঠিক কতটা হতে হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে কি? IAS-র দরজা পেরোতে সফল হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের লড়াইয়ের গল্প কঠিন রাস্তাটা সুগম করে দিতে পারে। আজ থাকল অনুপমা অঞ্জলির লড়াইয়ের IAS জার্নি।
বাড়ি ভোপাল। পড়াশোনা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। বাবা IPS অফিসার। পড়াশোনা করতে করতেই UPSC-র প্রস্তুতি নেওয়ার কথা মাথায় আসে অনুপমার। বাড়ি থেকে পরীক্ষার পরিবেশ পেয়েছেন। বাবা-দাদুর থেকে পেয়েছেন অনুপ্রেরণা। বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি তাঁকে। দ্বিতীয়বারের প্রচেষ্টাতেই হয়ে যায় স্বপ্নপূরণ। প্রস্তুতি শুরু করার সময় অনুপমার মনে হয়েছে, পরীক্ষা শক্ত, দীর্ঘ-প্রস্তুতি সাপেক্ষ। প্রথমবারের চেষ্টাতেই প্রিলিমিনারিতে সফল হন। আর ঠিক করে নেন, পরের বার আরও ভালো তাঁকে করতেই হবে। অনুপমার সাফল্যের পিছনে বিশ্বাসগুলির মধ্যে অন্যতম, আস্থা রাখতে পারে- এমন মানুষগুলো চারপাশে থাকুক আর বন্ধুমহল হোক ছোট। অনুপমার মতে, এই প্রস্তুতি পরীক্ষার্থীর আবেগ-বুদ্ধির, ধৈর্যের পরীক্ষাও বটে। তাই সবসময় মোটিভেটেড থাকতে হবে।
পরীক্ষার তিনমাস আগে প্রিলিমিনারির প্রস্তুতিকে ধ্যানজ্ঞান করে নিয়েছিলেন অনুপমা। চল্লিশ থেকে পঞ্চাশটা টেস্ট দিয়েছেন সেই সময়ে। শুধু তাই নয়, রিভিজ়নও চালিয়ে গিয়েছেন সমান তালে। কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সে নজর রাখতেন নিয়মিত। প্রতি মাসে প্রবন্ধ লিখতেন একটা করে। শিক্ষকদের তা দেখাতেন এবং তাঁদের মতামত নিতেন। অপশনাল ছিল অ্যানথ্রপলজি। একবছর এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পড়েছেন।
অনুপমার পরামর্শ
- যত বেশি সম্ভব টেস্ট দিতে পরীক্ষার্থীদের পরামর্শ দিচ্ছেন অনুপমা।
- পরীক্ষা প্রস্তুতির সময় নেতিবাচক ভাবনা মাথা থেকে বের করে দিতে হবে। চেষ্টা করতে হবে ইতিবাচক থাকার।
- নিজেকে নিজের মোটিভেটর হিসেবে উঠে আসতে হবে।
- নিজের প্রয়োজন বুঝে, স্টাডি সার্কল বুঝে প্রয়োজনীয় ব্রেক নিতে হবে। প্রয়োজনে মেডিটেশন করা যেতে পারে।
- নিশ্চিত করতে হবে, সকালটা যেন শুরু হয় পজিটিভ এনার্জি দিয়ে। কথা বলতে হবে নিজের সঙ্গে। বলতে হবে- সারাদিনে কতটা এগোতে হবে নিজের কাজে।
তথ্যসূত্র - এবিপি লাইভ হিন্দি
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI