Panchayat Election Opinion Poll: উত্তর দিনাজপুরে ফের উড়বে তৃণমূলের জয়ধ্বজা? কী বলছে সমীক্ষা?
Uttar Dinjapur Opinion Poll: আব্দুল করিম চৌধুরীর দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ কি প্রভাব ফেলবে পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলে? বিজেপিই বা কোন স্থানে দাঁড়িয়ে? কী বলছে সমীক্ষা?
কলকাতা: আগামী শনিবার, ৮ জুলাই পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023)। কোন দল এগিয়ে? কী বলছেন সাধারণ মানুষ? একদিকে যেমন দলের বিরুদ্ধেই কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন এগারো বারের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। এর ফল কি পড়বে তৃণমূলের ভোটের ফলাফলে? পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেমন হতে পারে উত্তর দিনাজপুরের ফলাফল? কী তথ্য উঠে এল জনমত সমীক্ষায়? গ্রাম বাংলার ভবিষ্য়ৎ নির্ধারণ করতে, লাইনে দাঁড়াবেন ভোটাররা। ইতিমধ্য়েই নিজেদের মতো যুক্তি-তক্কের অস্ত্রে শান দিয়ে, প্রচারে নেমে পড়েছেন সব দলের হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীরা। কিন্তু, যাঁদের ওপর নির্ভর করছে পঞ্চায়েত ভোটের রায়, সেই ভোটাররা কী ভাবছেন ? তার আঁচ পেতে রাজ্য়জুড়ে জনমত সমীক্ষা (Opinion) চালিয়েছে আন্তর্জাতিক খ্য়াতিসম্পন্ন এই সমীক্ষক সংস্থা সি ভোটার (C Voter)।
উত্তর দিনাজপুরে এগিয়ে কে? কী বলছে সমীক্ষা?
উত্তর দিনাজপুরের জেলা পরিষদে মোট আসন সংখ্যা ২৬টি। C VOTER-এর ওপিনিয়ন পোলের সমীক্ষা অনুযায়ী, ২৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের সম্ভাব্য আসন সংখ্যা হতে পারে ১৫ থেকে ২১টি। বিজেপির পক্ষে যেতে পারে ৫ থেকে ৯টি আসন। অন্যদিকে বাম ও কংগ্রেস জোট পেতে পারে ০ থেকে ২টি আসন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটেও উত্তর দিনাজপুরে আসন সংখ্যা ছিল ২৬টি। যার মধ্যে সিংহ ভাগ ২৩টি দলই গিয়েছিল শাসক দল তৃণমূলের হাতে। অন্যদিকে ১টি আসন গিয়েছিল বিজেপির হাতে। বাম পেয়েছিল ১টি আসন ও কংগ্রেসের ঝুলিতে ছিল শূন্যটি আসন।
রাজ্যের সবকটি জেলা পরিষদের সব কটি কেন্দ্রে পৌঁছে ১০ হাজার ৫৪৮ জনের জনের সঙ্গে কথা বলেছেন সমীক্ষকরা। সমীক্ষা চালানো হয়েছে ১৫ জুন থেকে ২৬ জনের মধ্যে। এই সমীক্ষায় মার্জিন অফ এরর প্লাস মাইনাস ৫ শতাংশ। কিন্তু জনমত সমীক্ষা হোক কিংবা বুথ ফেরত সমীক্ষা, কোনওটাই শেষ কথা নয়। গণতন্ত্রে শেষ কথা হল মানুষ ব্যালট বক্সে কিংবা ভোটযন্ত্রে কী রায় দিয়েছে। সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। সম্পূর্ণভাবে যা গোপনীয়। আর তাই বাক্স কিংবা যন্ত্র খুললে তবেই বোঝা যায়, মানুষ কী চেয়েছে। তাই কখনও সমীক্ষা সম্পূর্ণ রূপে সঠিক প্রমাণিত হয়, কখনও আংশিক আবার কখনও আসল ফলের ঠিক উল্টোটাও হয়। কারণ বহুক্ষেত্রেই ভয়-ভীতি কিংবা অন্যান্য নানা কারণে মানুষ সমীক্ষকদের সামনে মনের কথা প্রকাশ করে না। তাই পঞ্চায়েতে ভোটের ফলাফলে আসলে কী হবে, তা জানাও যেমন এই সমীক্ষার মধ্যে দিয়ে সম্ভব নয়, তেমনই কাউকে প্রভাবিত করার কোনও চেষ্টাও সমীক্ষক সংস্থা করে না। আর তারা যে পরিসংখ্যান দেয়, তা হবহু আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরি মাত্র। দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্যম হিসাবে আমাদের আসল অপেক্ষা ১১ জুলাই অবধি। সেদিনই জানা যাবে গ্রাম বাংলা গেল কার দখলে।
আরও পড়ুন: Air Conditioner: বর্ষাতে ভ্যাপসা গুমোট গরম কাটাতে চালাচ্ছেন এসি, মেশিনের খেয়াল রাখতে কী কী করবেন?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন