Panchayat Election 2023: কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে অনলাইন মনোনয়ন-একাধিক দাবিতে হাইকোর্টে কংগ্রেস
Adhir Chowdhury:আজই প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে মামলা দায়েরের অনুমতি চাইবেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আবেদন জানাতে চলেছেন তিনি। মনোনয়নপত্র যাতে অনলাইনে পেশ করা যায়, সেই বন্দোবস্ত করুক রাজ্য নির্বাচন কমিশন, আর্জি মামলায়। বিডিও বা এসডিও-র কাছে মনোনয়নপত্র পেশ করতে সমস্যা হলে কমিশন বা জেলা বিচারকের কাছে পেশ করার যেন সুযোগ মেলে, আর্জি মামলায়। আজই প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে মামলা দায়েরের অনুমতি চাইবেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী।
পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্য পুলিশ নাকি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে ভোটের নিরাপত্তায় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। এই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট করেনি রাজ্য় নির্বাচন কমিশন। যদিও তিনি বলেছেন, 'রাজ্য় পুলিশের ওপরে ভরসা রাখা উচিত। কারণ, রাজ্য় সরকারের যে আধিকারিকরা রয়েছেন, তাঁরাই আমাদের সঙ্গে থাকেন। রাজ্য় নির্বাচন ক্ষেত্রে রাজ্য়ের যে আধিকারিকরা রয়েছেন, পুলিশকর্মী হোক, সাধারণ কর্মী হোক, তাঁদের ওপর তো আমাদের আস্থা রাখতেই হবে।'
অনলাইনে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া যাবে কিনা, সেই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য় নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিন্হা বলেছেন,'আমরা এখনও এই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। কারণ হচ্ছে যে, আপনাকে বললাম, আজকে শুধু আমরা প্রেস অ্য়ানাউন্সমেন্ট করছি। সমস্তরকম যে প্রস্তাব এসেছে বিভিন্ন মহল থেকে, সেটা আমরা আলোচনা করব। রাজ্য় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করব। তারপর সঠিক সিদ্ধান্ত সময়মতো আমরা নেব।' তাহলে গতবারের মতো নিরাপত্তার কারণে যে হোয়াটসঅ্যাপেও মনোনয়ন পত্র নেওয়া হয়েছিল সেটা কি হবে? উত্তরে রাজ্য় নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিন্হা জানান বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্য়বস্থা নেওয়া হয়েছিল। সেরকম বিশেষ পরিস্থিতি এবার এলে ভেবে দেখা হবে।
কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য় সুজন চক্রবর্তীর তোপ, 'নির্বাচন কমিশন শাসকদলের কথায় চলতে চাইছে। প্রস্তুতি ঠিক নেই দেখেও, অপ্রস্তুতি সত্ত্বেও এই নির্বাচন তাড়াহুড়ো করে করতে চাইছে শাসকদলের অ্যাডভ্যান্টেজের জন্য। কিন্তু মনে করিয়ে দিই এটা ২০২৩ সাল, ২০১৮ সাল নয়।' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য়ের প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'কোনও এলাকায় উন্নয়ন দেখে যদি সাধারণ মানুষ মনে করেন তৃণমূল ছাড়া আর কিছু নয়। বিরোধীরা যদি প্রার্থী না পায়, আমরা তো প্রার্থী খুঁজে আনতে পারব না। কিন্তু কোনও বিরোধী প্রার্থী যদি মনোনয়ন জমা সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের সাহায্য চায় তাহলে আমরা সেটা করব।' তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেছিলেন, 'প্রার্থী না থাকলে মনোনয়ন দেবে কোথা থেকে। বিরোধীরা কোথাও প্রার্থী দিতে না পারলে বলবেন। আমি নিয়ে গিয়ে দেব'