(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Debangshu Bhattacharya: নন্দীগ্রামে দেবাংশুকে দেখে 'চোর' স্লোগান, ধাক্কা দেওয়ারও অভিযোগ
Debangshu Bhattacharya in Nandigram: দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বচসা বেধে যায়। দেবাংশুকে ধাক্কাও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
নন্দীগ্রাম: নির্বাচনী প্রচার ঘিরে এবার উত্তেজনা নন্দীগ্রামে। সেখানে প্রচারে গেলে তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যকে দেখে 'চোর', 'চোর' স্লোগান ওঠে। বিজেপি-র তরফে 'চোর', 'চোর' ধ্বনি তোলা হয়। পাল্টা ধ্বনি তোলে তৃণমূলও, তাতে দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বচসা বেধে যায়। দেবাংশুকে ধাক্কাও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে বেনজির পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। (Debangshu Bhattacharya)
বুধবার নন্দীগ্রামে প্রচারে বেরিয়েছিলেন দেবাংশু। দলীয় কর্মীর মোটর সাইকেলের পিছনে বসে গ্রামে গ্রামে ঘুরছিলেন। সেই সময়ই ঝামেলা বাধে। ঘটনাস্থল থেকে যে ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, একজনের মোটর সাইকেলের পিছনে বসে আছেন দেবাংশু। দু'একজন তাঁর সঙ্গে কিছু ক্ষণ কথা বলেন। এর পর যেই এগোতে শুরু করেন দেবাংশু, তাঁকে লক্ষ্য করে 'চোর', 'চোর' ধ্বনি ওঠে। (Debangshu Bhattacharya in Nandigram)
গ্রামের সরু রাস্তা ধরে এগোচ্ছিলেন দেবাংশু এবং তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা, যার একদিকে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন কিছু মহিলা-পুরুষ। তাঁদের কারও হাতে ধরা ছিল বিজেপি-র পদ্ম-পতাকা, কেউ আবার মাথায় পরেছিলেন গেরুয়া, পদ্ম আঁকা টুপি। দেবাংশুকে দেখে উত্তেজনা বেড়ে যায়। একদিকে, 'দেবাংশু চোর', 'মমতা চোর' বলে ধ্বনি দেন কেউ কেউ, তার পাল্টা তৃণমূলের কর্মীরা 'শুভেন্দু চোর' ধ্বনি তোলেন। দু'পক্ষের মধ্যে বচসা বেধে যায়। এক পুলিশকর্মীকে এগিয়ে এসে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়।
এর আগে, নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের একটি গ্রামে গিয়েও 'চোর', 'চোর' স্লোগান শুনতে হয়েছিল দেবাংশুকে। এদিন তিনি ১নম্বর ব্লকের ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার সারছিলেন। এক কর্মী-সমর্থকের বাড়ি যাওয়ার সময় এদিন উত্তেজনা বাধে। এমনকি কটূক্তিও করা হয় বলে অভিযোগ। ওই দলীয় কর্মীর বাড়ি থেকে ফেরার পথেও দেবাংশুর উপর একদল চড়াও হয় এবং দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তিও বাধে বলে অভিযোগ।
বিষয়টি প্রশাসনকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন দেবাংশু। তিনি বলেন, "শুধু 'চোর' বা 'জয় শ্রীরাম' নয়, সে তো মৌখিক কথা। আমাদের গাড়ির উপর থাপ্পড় মারা হয়েছে, ধাক্কাধাক্কি করা হয়েছে, রীতিমতো হামলা করেছে। আমরা এ নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হব, প্রশাসন যদি কিছু না করে, তাহলে যতদূর যেতে হয় যাব। বিজেপি-র এটাই সংস্কৃতি। আমরা একই আচরণ শুরু করলে ওরা পারবে সামলাতে? আমরা সেই পথে হাঁটি না হসে দুর্বল মনে করার কারণ নেই। আমি ওঁদের প্রণাম করেছি। আমাদের সেটাই সংস্কৃতি। বাকি দেখা যাক।"
বিক্ষোভকারীদের হাতে যদিও বিজেপি-র পতাকা এবং মাথায় বিজেপি-র প্রতীকচিহ্ন বসানো চুপি দেখা গিয়েছে, কিন্তু গেরুয়া শিবিরের দাবি, তাদের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। সাধারণ মানুষ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন তাঁকে। চারিদিকে যা ঘটছে, তারই প্রতিফলন দেখা গিয়েছে বলে দাবি বিজেপি-র।