Panchayat Election: ভোটের বাকি ৪ দিন, কোথায় মোতায়েন ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী? শুরু বৈঠক
Central Force Deployment:পঞ্চায়েত ভোটের ৪ দিন আগে অবশেষে ৪৮৫ কোম্পানি মোতায়েন নিয়ে বৈঠকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। রাজীব সিনহার সঙ্গে বৈঠক বিএসএফের আইজি ও রাজ্য পুলিশের আইজি।
কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের ৪ দিন আগে অবশেষে ৪৮৫ কোম্পানি মোতায়েন নিয়ে বৈঠকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার (State Election Commissioner Rajiva Sinha)। রাজীব সিনহার সঙ্গে বৈঠক বিএসএফের (BSF) আইজি ও রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) আইজি। ইতিমধ্য়ে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য কন্ট্রোল রুম চালু করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
হাইকোর্টে কী জানায় কমিশন?
গত কাল, সোমবার অর্থাৎ ভোটের মাত্র পাঁচ দিন আগে কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয়, রাজ্যে ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। সঙ্গে এও জানানো হয়, যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দাবি মতো ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই পঞ্চায়েত নির্বাচন করা হবে। বাহিনী-বিতর্ক এবার পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়া থেকেই শিরোনামে। একপ্রস্ত আইনি টানাপড়েনের পর গত মঙ্গলবার, রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছিল, আরও ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী তারা পাঠাচ্ছে। কোথায় কোন বাহিনীর কত জওয়ান থাকবেন তাও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাজ্য়ে, ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের প্রায় ৭৪ হাজার আসনে ৬১ হাজার ৬৩৬টি বুথে ৮ জুলাই নির্বাচন হবে। ২২ জেলাতেই CRPF, BSF, CISF মিলিয়ে মিশিয়ে মোতায়েন করা হবে। সেই অনুযায়ী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ১১ জেলায় CRPF, ৬ জেলায় CISF ও ৯টি জেলায় BSF-কে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভোটের মাত্র চার দিন আগে ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে এই বৈঠক বাস্তব উদ্দেশ্য কতটা পূরণ করতে পারবে, তা নিয়ে সন্দেহ থাকছেই। তার উপর যে ভাবে, হিংসা-অশান্তির ধারা জারি রয়েছে তাতে সেই সংশয় আরও জোরাল হয়েছে। তবে, রাজ্য পুলিশের ডিজি মালব্য অবশ্য জানিয়েছেন, সার্বিক ভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তাঁর কথায়, 'কিছু ঘটনা ঘটেছে। ভোট ছাড়াও এসব ঘটনা ঘটে।' পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছে, আরও দাবি তাঁর। বাস্তব ছবিটা কি তাই?
অশান্তি কুলপি, মাঝেরআইটে...
এদিন হেলিয়াগাছিতে আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বোমাবাজির পাশাপাশি ইট, খালি সোডার বোতলও ছোড়া হয় অভিযোগ। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন আইএসএফ কর্মী। উত্তেজনা হটুগঞ্জ বাজারেও। গত কাল অর্থাৎ সোমবার রাতে আবার মাঝেরআইট এলাকায় বোমাবাজির খবর মিলেছে। বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুরেরও খবর পাওয়া যায়। এই এলাকারই বাসিন্দা ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। শোনা যাচ্ছে, এলাকার রাশ হাতে রাখা নিয়েই দু'পক্ষের মধ্যে গত কাল রাতে বোমাবাজি হয়। সব মিলিয়ে হিংসার রেশ এখনও কমছে না, অন্তত এমনই ছবি বেশ কিছু জায়গায়।