Amethi Lok Sabha Constituency: 'গান্ধী পরিবারের জয়', স্মৃতির 'হাত' থেকে অমেঠী উদ্ধারের পথে কংগ্রেস প্রার্থী
Kishori Lal Sharma : অমেঠীতে কংগ্রেস প্রার্থী করে গান্ধী-পরিবারেরই ঘনিষ্ঠ কিশোরী লাল শর্মাকে
অমেঠী : আগেরবার মান রক্ষা হয়নি। অমেঠী কেন্দ্রে শোচনীয় হার হয়েছিল রাহুল গান্ধীর। প্রায় ৫৫ হাজার ভোটে জিতেছিলেন স্মৃতি ইরানি। এবার আর এখান থেকে প্রার্থী হননি রাহুল । তিনি কেরলের ওয়েনাড় ও উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলিতে প্রার্থী হয়েছেন। যা নিয়ে কম খোঁচা দেয়নি বিজেপি তাঁকে। অমেঠীতে কংগ্রেস প্রার্থী করে গান্ধী-পরিবারেরই ঘনিষ্ঠ কিশোরী লাল শর্মাকে। সেই অস্ত্রেই এবার মাত দিতে চলেছে তারা। এখনও পর্যন্ত যা ইঙ্গিত তাতে, জয়ের পথে কংগ্রেস প্রার্থী। অর্থাৎ, গান্ধী-পরিবারের গড় পুনরুদ্ধারের পথে কংগ্রেস। স্বভাবতই উচ্ছ্বাস শিবিরে। এনিয়ে এবার নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন কেএল শর্মা। তিনি বললেন, 'এটা গান্ধী পরিবারের জয়। অমেঠীর মানুষের জয়।'
#WATCH | Uttar Pradesh | Congress candidate from Amethi, Kishori Lal Sharma leads against BJP leader Smriti Irani, he says, "This is the victory of the Gandhi family and the people of Amethi." pic.twitter.com/Cfj7Kqs6tw
— ANI (@ANI) June 4, 2024
পাঞ্জাবের লুধিয়ানার বাসিন্দা কিশোরী লাল শর্মা। গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ। তিনি কংগ্রেস দল ও রায়বরেলিতে সনিয়া গান্ধীর অনুপস্থিতিতে ম্যানেজার থেকেছেন। প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ১৯৯১ সালে তাঁর মৃত্যুর পর গান্ধী পরিবারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আরও মজবুত হয়। ১৯৮৩ সালে প্রথম অমেঠিতে আসেন কে এল শর্মা। সেই সময় থেকেই এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের হয়ে কাজ করছেন তিনি।
একনজরে আমেঠি কেন্দ্র-
২০১৯ সাল পর্যন্ত গান্ধী পরিবারের আধিপত্য বজায় ছিল আমেঠিতে। কিন্তু, সেবার বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে যান রাহুল। যা ছিল কংগ্রেসের কাছে বড়সড় ধাক্কা। প্রায় ৫৫ হাজার ভোটে জিতেছিলেন স্মৃতি। তার আগে ২০০৪ থেকে ২০১৯ সালে পর্যন্ত অমেঠির সাংসদ ছিলেন রাহুল। তাঁর বাবা প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীও অমেঠি থেকে ১৯৮১ সাল থেকে ১৯৯১ সালে তাঁর প্রয়াণকাল পর্যন্ত সাংসদ ছিলেন। ১৯৯৯ সালে এই আসনে লড়েছিলেন সনিয়া। সেবার এই কেন্দ্রে সনিয়ার জয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন কে এল শর্মা। পরে সনিয়া ২০০৪ সালে এই কেন্দ্র ছেড়ে দেন রাহুলকে। রাহুল এই মুহূর্তে কেরলের ওয়েইনাড কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ। এই আসন থেকে এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তিনি। অন্যদিকে, এবারও অমেঠি কেন্দ্র থেকেই লড়াই করেন স্মৃতি ইরানি।