Panchayat Election Result: ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা! বিধায়ক নৌশাদের গাড়িই রুখল পুলিশ
Nawshad Siddiqui: তৃণমূল এবং পুলিশ মিলে তাঁকে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নৌশাদ।
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, রাজারহাট: ভাঙড়ে যাওয়ার আগেই রাজারহাটে আটকানো হল ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকে। আজ ভাঙড়ে নিহত দলীয় কর্মীদের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল নৌশাদের। ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে ভাঙড়ে, সেইকারণেই ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিন ভাঙড়ে যাওয়ার সময়েই রাস্তায় আটকে দেওয়া হয় নৌশাদের গাড়ি। ভাঙড় থেকে কয়েক কিলোমিটার আগে একটি নাকাপয়েন্ট রয়েছে, সেখানেই আটকে রাখা হয়েছে নৌশাদের গাড়ি। রাস্তার উপর ব্যারিকেড করে রয়েছে পুলিশ। গাড়িতে বসেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নৌশাদ। তৃণমূল এবং পুলিশ মিলে তাঁকে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ডিসি নিউটাউন জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে ভাঙড়ে। সেই অর্ডার রয়েছে পুলিশের হাতে। সেখানে একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। কাউকে কাউকে ছাড় দেওয়ার নির্দেশও রয়েছে। তাঁদের ছাড়া হচ্ছে। এবিপি আনন্দের প্রশ্নের উত্তরে জেলা পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সেই তালিকায় ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির নাম নেই।
এদিকে নৌশাদের অভিযোগ, ভাঙড়ে আইএসএফ প্রার্থী জাহানারা খাতুনের খোঁজ এখনও মেলেনি। তাঁর জয়ের পরেই ঝামেলা শুরু হয়েছিল ভাঙড়ে। গভীর রাতে গুলি চালনার ঘটনায় মারাও গিয়েছেন ৩ জন। পরিবারের তরফেও দাবি, জাহানারা খাতুন এবং তাঁর স্বামীর খোঁজ এখনও মেলেনি।
নৌশাদ সিদ্দিকি বলেন, 'আমি জানতে চাইলাম আমি বিধানসভা কেন্দ্রে যেতে চাই। ওঁরা বললেন যে তালিকা আছে, তাতে নাম না থাকলে যেতে পারব না। গতকালই ভাঙড়ে বড় বড় নেতারা ঘুরে বেরিয়েছেন। প্ররোচনামূলক বক্তব্য রেখেছেন। আমি তো বরাবর শান্তির কথা বলেছি। ভাঙড়বাসী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আমি বলব ভাঙড়বাসী যে প্ররোচনায় পা না দেন।'
ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকেই অশান্ত হয়েছে ভাঙড়। রাজনৈতিক হিংসার জেরে একাধিক প্রাণহানি হয়েছে। ভোটগণনার দিনেও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। গুলিচালনার ঘটনায় প্রাণ যায় ৩ জনের। আইএসএফ প্রার্থী জাহানারা খাতুন এবং তাঁর স্বামী গণনার দিন রাত থেকে নিখোঁজ বলে অভিযোগ। তৃণমূলের তরফ থেকে ভাঙড়ে অশান্তির ঘটনায় দায়ী করা হয়েছে নৌশাদ সিদ্দিকি এবং আইএসএফ-কে। পাল্টা তৃণমূলের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন নৌশাদ এবং বামেরা। নৌশাদের সংযোজন, '১৪৪ আছে, বিরোধীদের ঢুকতে দিচ্ছে না। সেখানে শওকত সাহেব আছেন। ঘুরছেন, সাংবাদিক বৈঠক করছেন। উনি এখানকার ভোটার নয়। এখানকার জনপ্রতিনিধিও নন।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন