Panchayat Poll 2023: রাজ্যে ভোট-হিংসায় ফের মৃত্যু, গোয়ালপোখর থেকে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার

Panchayat Election 2023: কংগ্রেসের দাবি, নিহত ব্যক্তি তাদের সক্রিয় কর্মী। এর আগে সন্ধে ৬টা নাগাদ এই এলাকা থেকেই কংগ্রেস কর্মী মহম্মদ জামিরুদ্দিনের দেহ উদ্ধার হয়।

ফাইল ছবি

সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) গোয়ালপোখর ব্লকের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আরও একজনের দেহ উদ্ধার হল। মৃতের নাম সামসুল হক। গতকাল রাত ১১টা নাগাদ জাগিরবস্তির নয়াহাট এলাকা থেকে সামসুলের ত্রিপলে জড়ানো ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

রাজ্যে ভোট-হিংসায় ফের মৃত্যু: কংগ্রেসের দাবি, নিহত ব্যক্তি তাদের সক্রিয় কর্মী। এর আগে সন্ধে ৬টা নাগাদ এই এলাকা থেকেই কংগ্রেস কর্মী মহম্মদ জামিরুদ্দিনের দেহ উদ্ধার হয়। দুটি মৃত্যুতেই অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। যদিও নিহত ২ জনকে তাদের সমর্থক বলে দাবি করেছে শাসকদল। এই নিয়ে ভোটের দিন বাংলায় হিংসার বলি ১৬ জন। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর ৩১ দিনে মৃত্যু হল ৩৬ জনের। 

লাগাতার হানাহানি। মুহুর্মুহু পড়ল বোমা। চলল গুলি। জখম বহু। ব্যালট লুঠ, বুথ জ্যামের অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে। রক্তস্নাত ২০২৩-এর পঞ্চায়েত ভোট।উত্তর থেকে দক্ষিণ, জেলায় জেলায় অশান্তির ছবি। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই দিকে দিকে অব্যাহত হিংসা। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll 2023) বাংলা যেন কার্যত কুরুক্ষেত্র। ভোট ঘোষণা থেকে ভোটের আগের রাত পর্যন্ত, অর্থাৎ ভোট পর্বের আগে এক মাসে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। আর ভোটের দিনও পরপর খুনের ঘটনা ঘটে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, শুধুমাত্র ভোটের দিন মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। কোচবিহারে খুন বিজেপির পোলিং এজেন্ট। খড়গ্রাম-রেজিনগর-মানিকচক- চাপড়ায় খুন ৪ তৃণমূল কর্মী। আউশগ্রামে মৃত্যু সিপিএম কর্মীর। কোচবিহারে খুন বিজেপি কর্মী। দিনহাটায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু। খড়গ্রাম-রেজিনগর-মানিকচক-চাপড়া, বাসন্তী, কাটোয়া- খুন ৬ তৃণমূল কর্মী। লালগোলা-আউশগ্রামে সিপিএম, নওদায় কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু। ভোটের পরেও মালদার বৈষ্ণবনগরে খুন তৃণমূল কর্মী। কুলতলিতে পুকুর থেকে তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। আর এবার উত্তর দিনাজপুর থেকে আরও একজনের দেহ উদ্ধার হল।

ভোট-পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া থানার রামপুরে বিজেপির পথ অবরোধ ঘিরে ধুন্ধুমার। ভোট সন্ত্রাসের প্রতিবাদে রামপুরে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক ও পরে রামপুর-চাকুলিয়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় সরকারি বাস। আহত হন বাসের চালক। বিজেপির অভিযোগ, গতকাল রাতে একের পর এক বুথ দখল করে তৃণমূল। পুলিশ-প্রশাসন নিষ্ক্রিয় ছিল বলে অভিযোগ। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের ফেলে যাওয়া গাড়িতেই আগুন লাগানো হয়। অভিযোগ অস্বীকার শাসকদলের। 

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন

https://t.me/abpanandaofficial