Panchayat Election : সিপিএম-কংগ্রেসের তোলা মমতা-মোদি সেটিং তত্ত্ব কি পঞ্চায়েত ভোটে প্রভাব ফেলবে ?
Opinion Poll : কোন ইস্যু ভোটের বাক্সে কতটা প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন ভোটাররা ? তাঁদের মতামতের ভিত্তিতে কী তথ্য উঠে এল জনমত সমীক্ষায় ?
কলকাতা : মাঝে আর কয়েকদিন। তারপরই রাজ্য়ে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023)। গ্রাম বাংলার ভবিষ্য়ৎ নির্ধারণ করতে, লাইনে দাঁড়াবেন ভোটাররা। ইতিমধ্য়েই নিজেদের মতো যুক্তি-তক্কের অস্ত্রে শান দিয়ে, প্রচারে নেমে পড়েছেন সব দলের হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীরা। কিন্তু, যাঁদের ওপর নির্ভর করছে পঞ্চায়েত ভোটের রায়, সেই ভোটাররা কী ভাবছেন ? তার আঁচ পেতে রাজ্য়জুড়ে জনমত সমীক্ষা (Opinion) চালিয়েছে আন্তর্জাতিক খ্য়াতিসম্পন্ন এই সমীক্ষক সংস্থা সি ভোটার (C Voter)। যেখানে খোঁজার চেষ্টা হয়েছিল, বিভিন্ন ইস্যু ঠিক কতটা প্রভাব ফেলেছে ভোটারদের মনে ? কোন ইস্যু ভোটের বাক্সে কতটা প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন ভোটাররা ? তাঁদের মতামতের ভিত্তিতে কী তথ্য উঠে এল জনমত সমীক্ষায় ?
জানতে চাওয়া হয়েছিল সিপিএম-কংগ্রেসের তোলা মমতা-মোদি সেটিং তত্ত্ব কি পঞ্চায়েত ভোটে প্রভাব ফেলবে ? যে প্রশ্নের উত্তরে হ্যাঁ বলেছেন ৩২ শতাংশ। তবে ৪৭ শতাংশই মনে করছেন, গ্রাম বাংলার ভোটে এই তত্ত্ব সেভাবে কোনও প্রভাবই ফেলতে পারবে না। বলতে পারব না জানিয়েছেন ২১ শতাংশ । এমনটাই উঠে এসেছে সি ভোটারের সমীক্ষায়।
রাজ্য়ের সবকটি জেলা পরিষদের সব কটি কেন্দ্রে পৌঁছে ১০ হাজার ৫৪৮ জনের জনের সঙ্গে কথা বলেছেন সমীক্ষকরা। সমীক্ষা চালানো হয়েছে ১৫ জুন থেকে ২৬ জনের মধ্য়ে। এই সমীক্ষায় মার্জিন অফ এরর প্লাস মাইনাস ৫ শতাংশ। কিন্তু জনমত সমীক্ষা হোক কিংবা বুথ ফেরত সমীক্ষা, কোনওটাই শেষ কথা নয়। গণতন্ত্রে শেষ কথা হল মানুষ ব্য়ালট বক্সে কিংবা ভোটযন্ত্রে কী রায় দিয়েছে। সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। সম্পূর্ণভাবে যা গোপনীয়। আর তাই বাক্স কিংবা যন্ত্র খুললে তবেই বোঝা যায়, মানুষ কী চেয়েছে। তাই কখনও সমীক্ষা সম্পূর্ণ রূপে সঠিক প্রমাণিত হয়, কখনও আংশিক আবার কখনও আসল ফলের ঠিক উল্টোটাও হয়। কারণ বহুক্ষেত্রেই ভয়-ভীতি কিংবা অন্য়ান্য় নানা কারণে মানুষ সমীক্ষকদের সামনে মনের কথা প্রকাশ করে না। তাই পঞ্চায়েতে ভোটের ফলাফলে আসলে কী হবে, তা জানাও যেমন এই সমীক্ষার মধ্য়ে দিয়ে সম্ভব নয়, তেমনই কাউকে প্রভাবিত করার কোনও চেষ্টাও সমীক্ষক সংস্থা করে না। আর তারা যে পরিসংখ্য়ান দেয়, তা হবহু আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরি মাত্র। দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্য়ম হিসাবে আমাদের আসল অপেক্ষা ১১ জুলাই অবধি। সেদিনই জানা যাবে গ্রাম বাংলা গেল কার দখলে।