Panchayat Election Opinion Poll : শিক্ষক ও পুর নিয়োগ দুর্নীতির জেরে কি তৃণমূলের পঞ্চায়েত ভোটের ফল খারাপ হতে পারে ?
C Voter : রাজ্যের নাগরিকদের ৫৮ শতাংশ-ই মনে করছেন দুর্নীতি প্রভাব ফেলবে পঞ্চায়েত ভোটের বাক্সে। যদিও ৩০ শতাংশ মনে করছেন শিক্ষক ও পুর নিয়োগ দুর্নীতির জেরে তৃণমূলের পঞ্চায়েত ভোটের ফল খারাপ হবে না।

কলকাতা : বাংলার নির্বাচনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বেকারত্ব থেকেছে সবথেকে বড় ইস্যু। এবারে সেটিকে ছাপিয়ে গিয়েছে দুর্নীতির ইস্যু। তেমনটাই ইঙ্গিত সি ভোটারের (C Voter) সমীক্ষায়। শিক্ষক ও পুর নিয়োগ দুর্নীতির জের কতটা প্রভাব ফেলতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) ফলাফলে ? দুর্নীতির জেরে কি তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত ভোটের ফল খারাপ হতে পারে ? কী তথ্য উঠে এল জনমত সমীক্ষায় ?
রাজ্যের নাগরিকদের ৫৮ শতাংশ-ই মনে করছেন দুর্নীতি প্রভাব ফেলবে পঞ্চায়েত ভোটের বাক্সে। যদিও ৩০ শতাংশ মনে করছেন শিক্ষক ও পুর নিয়োগ দুর্নীতির জেরে তৃণমূলের পঞ্চায়েত ভোটের ফল খারাপ হবে না। যে প্রশ্নের উত্তরে ১২ শতাংশ বলেছেন বলতে পারব না। প্রসঙ্গত, রাজ্য়ের সবকটি জেলা পরিষদের সব কটি কেন্দ্রে পৌঁছে ১০ হাজার ৫৪৮ জনের জনের সঙ্গে কথা বলেছেন সমীক্ষকরা। সমীক্ষা চালানো হয়েছে ১৫ জুন থেকে ২৬ জনের মধ্য়ে। এই সমীক্ষায় মার্জিন অফ এরর প্লাস মাইনাস ৫ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটে সবচেয়ে বড় ফ্য়াক্টর কী হতে পারে ?
দুর্নীতি 25%
বেকারত্ব 21%
সরকারি প্রকল্প 9%
আইনশৃঙ্খলা 9%
পরিশ্রুত পানীয় জল 7%
রাস্তা/বিদ্য়ুৎ/নিকাশি 6%
মূল্য়বৃদ্ধি 5%
সরকারি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য় পরিষেবা 4%
বলতে পারব না 14%
(তথ্য - C Voter)
কিন্তু জনমত সমীক্ষা হোক কিংবা বুথ ফেরত সমীক্ষা, কোনওটাই শেষ কথা নয়। গণতন্ত্রে শেষ কথা হল মানুষ ব্য়ালট বক্সে কিংবা ভোটযন্ত্রে কী রায় দিয়েছে। সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। সমপূর্ণভাবে যা গোপনীয়। আর তাই বাক্স কিংবা যন্ত্র খুললে তবেই বোঝা যায়, মানুষ কী চেয়েছে। তাই কখনও সমীক্ষা সম্পূর্ণ রূপে সঠিক প্রমাণিত হয়, কখনও আংশিক আবার কখনও আসল ফলের ঠিক উল্টোটাও হয়। কারণ বহুক্ষেত্রেই ভয়-ভীতি কিংবা অন্য়ান্য় নানা কারণে মানুষ সমীক্ষকদের সামনে মনের কথা প্রকাশ করে না। তাই পঞ্চায়েতে ভোটের ফলাফলে আসলে কী হবে, তা জানাও যেমন এই সমীক্ষার মধ্য়ে দিয়ে সম্ভব নয়, তেমনই কাউকে প্রভাবিত করার কোনও চেষ্টাও সমীক্ষক সংস্থা করে না। আর তারা যে পরিসংখ্য়ান দেয়, তা হবহু আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরি মাত্র। দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্য়ম হিসাবে আমাদের আসল অপেক্ষা ১১ জুলাই অবধি। সেদিনই জানা যাবে গ্রাম বাংলা গেল কার দখলে।
আরও পড়ুন- জেলা পরিষদে কোথাও কি ভাল ফল করতে পারবে বিরোধীরা? কী বলছে C-Voter এর সমীক্ষা ?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
