Panchayat Elections 2023: ৩৩ দিনে প্রাণ গেল ৪০ জনের
Panchayat Elections Violence: রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে হিংসার গ্রাফ তির্যক। কোথায় গিয়ে দাঁড়াল নিহতের সংখ্যা ?
উজ্জ্বল মুখোপাধ্য়ায়, হিন্দোল দে ও শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কলকাতা: রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Elections 2023) ঘিরে হিংসার গ্রাফ তির্যক। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই ভোট হিংসা (Panchayat Poll Violence) নিয়ে সরব হুমায়ুন, সৌগত-সহ তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিৎ। কিন্তু কোথায় গিয়ে থামবে এই হিংসা ? প্রশ্নের উত্তর আসার আগেই বঙ্গে ৩৩ দিনে প্রাণ গেল ৪০ জনের।
'যাকে ইচ্ছে তাকে ভোট দেব' বলায় নৃশংসভাবে খুন !
'যাকে ইচ্ছে তাকে ভোট দেব' বলায় নৃশংসভাবে খুন হতে হয় বলে অভিযোগ। ভোটের দিনের সন্ত্রাসের বলি হয়েছিলেন কেতুগ্রামের ভোটার।'তৃণমূলকে ভোট দিতে না চাওয়ায় পিটিয়ে, বোল্ডার দিয়ে থেঁতলে খুন'-র অভিযোগ উঠেছে।'যাকে ইচ্ছে তাকে ভোট দেব' বলায় বোল্ডার দিয়ে থেঁতলে খুনের ভয়াবহ অভিযোগ ওঠে।তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে নিহতের পরিবার। কেতুগ্রামের ওই ভোটারকে এরপর গুরুতর জখম অবস্থায় এনআরএসে ভর্তি করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালেই মৃত্যু ঘটে। ৩৩ দিনে বাংলায় ভোট-হিংসার বলি ৪০ জন। অসম থেকে ভোট দিতে বাংলায় ফিরে প্রাণ গেল ভোটারের।
'সন্ত্রাসের' ভোটে মায়েদের কোল খালি
প্রসঙ্গত, ছেলেকে ঘুম পাড়াতে গিয়ে কত রাতই না জেগে থাকেন মায়েরা। কিন্তু সেই সন্তান যখন চিরতরে ঘুমিয়ে পড়ে, তখন মায়ের জীবনও শেষ হয়ে যায়। কোচবিহারের দিনহাটা থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী। সন্ত্রাসের পঞ্চায়েত ভোট, সন্তান কেড়েছে মায়ের। নিহত ভোটারের মা বলেছেন, 'আমি আর ভোট দিতে কোনওদিন যাব না। আমার বাড়ির আর কেউই যাবে না। একজন যখন বললেন, আর কখনও দাঁড়াবেন না ভোটের লাইনে। আরেকজন সন্তান হারানোর ব্য়থা নিয়েই দাঁড়ালেন পুনর্নির্বাচনের লাইনে। শনিবার, কোচবিহারের দিনহাটায় ভোট দিতে গিয়ে খুন হন চিরঞ্জিৎ কারজি।
ছেলেই তো নিয়ে গেছে সাধ করে'
নিহত ভোটারের মা বলেন, 'ছেলেই তো নিয়ে গেছে সাধ করে। এই রকম করে বাবা। এরম করে ঘাড়ে হাত ধরে বাবা। নিজে ওই পর্যন্ত। ভোটের ওইখানে। ভোটের দিন, বুথের মধ্যেই বোমা মেরে খুন করা হয় কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের ফলিমারির বিজেপি প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট মাধব বিশ্বাসকে। চোখের জলে, পুননির্বাচনে ভোট দিলেন নিহত বিজেপির পোলিং এজেন্টের পরিবারের সদস্যরা। বুথের ভিতরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। পরিজন হারানোর শোক মিলিয়ে দিয়েছে,দিনহাটা থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরের বাসন্তীকে। বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ গ্রামে শনিবার বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় তৃণমূল প্রার্থী রফিয়া ওস্তাগরের দেওর তৃণমূল কর্মী আনিসুরের। পুননির্বাচনে ভোট দিতে আসেন তাঁর মা।নিহত তৃণমূল কর্মীর মা বলেন, 'আমার বাচ্চাটা, আমারে রেখে চলে গেছে। তার মাথায় বোমা মারল...বলছে ও নিজের মাথায় বোম মেরেছে।'
আরও পড়ুন, 'বাঙালি হিসেবে আমিও লজ্জিত', ভোট হিংসা নিয়ে এবার সরব চিরঞ্জিৎ
ভোটের দিন কংগ্রেসের হাতে আক্রান্ত হন মুর্শিদাবাদের রানিনগরে তৃণমূল কর্মী সিজারুল শেখ। রবিবার রাতে মারা যান। ভোটের দিন মারধর করা হয়। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের তৃণমূলকর্মী মইদুল শেখকে। সোমবার সকালে NRS হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। নদিয়ার কৃষ্ণনগরে । মৃত্য়ু হয়েছে সিপিএম প্রার্থীর শ্বশুরের।