Panchayat Elections 2023: ভাঙড় পঞ্চায়েত সমিতির ১৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী TMC, আদালতে যাচ্ছেন নৌশাদ
Bhangar News: কমিশনের নির্দেশে বাম, আইএসএফ প্রার্থীদের একাধিক মনোনয়ন বাতিল। নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে বাতিল মনোনয়ন।
ভাঙড়: ভাঙড় ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির ১৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল (TMC)। ৩০ আসনের মধ্যে ১৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী।কমিশনের নির্দেশে বাম, আইএসএফ (ISF) প্রার্থীদের একাধিক মনোনয়ন বাতিল। নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে বাতিল মনোনয়ন। আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন নৌশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique)।
মনোনয়ন-পর্বে ভাঙড়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ছবি ধরা পড়লেও লাস্ট ল্যাপে অনেকটাই পিছিয়ে বিরোধীরা। নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বাম, আইএসএফ প্রার্থীদের একাধিক মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির ৩০টি আসনের মধ্যে ১৪টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল (Panchayat Elections 2023)।
বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতেও একই ফল। ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ বিষয়টি নিয়ে আজই আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। মনোনয়নের শেষ দিনে, বিরোধী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছিল তৃণমূল। যদিও ISF এবং বামেরা জানায়, অশান্তির দরুণই দুপুর ৩টের পর মনোনয়ন জমা দিতে সক্ষম হন তাদের প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন: Panchayat Election: 'এই রাজনীতি আমার মতো মানুষের জন্য নয়...' আক্ষেপ তৃণমূল বিধায়কের
মনোনয়ন পর্বে ব্যাপক অশান্তি দেখা যায় ভাঙড়ে। মুহুর্মুমু বোমাবাজি, গুলির শব্দও শোনা যায়। লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে রাস্তায় নামতে দেখা যায় শাসকদলের কর্মী-সমর্থকদের। বিরোধীদের তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেন বলে ওঠে অভিযোগ। এমনকি ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও, জোড়াফুল কর্মীরা বুথ কার্যত ঘিরে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ করে ISF.
একাধিক ISF কর্মীকে মনোনয়ন জমাদিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন খোদ নৌশাদ। দুই দলের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষও বাধে। তাতে ঘটে যায় প্রাণহানিও। শেষ মেশ মনোনয়ন দিতে না পারা ISF কর্মীদের মনোনয়ন দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে নির্দেশ দেয় আদালত। তার পরও যদিও থামেনি অশান্তি। তার জন্য আরাবুল ইসলাম এবং তাঁর ছেলে হাকিমুল ইসলামকে দায়ী করেছিলেন নৌশাদ।
তবে শুধু ভাঙড়ই নয়, এবারও ২০১৮-র পুনরাবৃত্তি হতে দেখা যাচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের ধারা অব্যাহত তৃণমূলের। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি বিধানসভার ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২টিতেই বিনা যুদ্ধে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। এর মধ্যে সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের ৫টি ও ২ নম্বর ব্লকের ৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করেছে শাসকদল। মিনাখাঁ ব্লকের কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতও ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল।