Panchayat Election: পুরুলিয়া জেলা পরিষদের ভোটে কার পাল্লা ভারী? কী বলছে C Voter-র সমীক্ষা?
Opinion Poll By C Voter: সি ভোটার সমীক্ষা অনুযায়ী পুরুলিয়া জেলা পরিষদের মোট আসন ৪৫টি। সমীক্ষা কী বলছে? কাদের পাল্লা ভারী?
পুরুলিয়া: এই জেলা পরিষদের আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কার পাল্লা ভারী? সি ভোটার সমীক্ষা অনুযায়ী এই জেলা পরিষদের মোট আসন ৪৫টি। সমীক্ষা বলছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ২৩-৩৩টি আসন পেতে পারে। বিজেপি পেতে পারে ৫-১১ টি আসন। বাম-কংগ্রেস জোট পেতে পারে ৫-৯টি আসন। ২০১৮ পঞ্চায়েত ভোটে কী ফল হয়েছিল একবার দেখে নেওয়া যাক -
পঞ্চায়েত ভোট - ২০১৮
মোট আসন: ৩৮
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাপ্ত আসন: ২৬
বিজেপির প্রাপ্ত আসন: ৯
কংগ্রেসের প্রাপ্ত আসন: ৩
আর মাত্র নদিন পরই রাজ্য়ে পঞ্চায়েত ভোট। গ্রাম বাংলার ভবিষ্য়ৎ নির্ধারণ করতে, লাইনে দাঁড়াবেন ভোটাররা। ইতিমধ্য়েই নিজেদের মতো যুক্তি-তক্কের অস্ত্রে শান দিয়ে, প্রচারে নেমে পড়েছেন সব দলের হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীরা।
কিন্তু জনমত সমীক্ষা হোক কিংবা বুথ ফেরত সমীক্ষা...কোনওটাই শেষ কথা নয়! গণতন্ত্রে শেষ কথা হল মানুষ ব্য়ালট বক্সে কিংবা ভোটযন্ত্রে কী রায় দিয়েছে।...সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। সমপূর্ণভাবে যা গোপনীয়। আর তাই বাক্স কিংবা যন্ত্র খুললে তবেই বোঝা যায়, মানুষ কী চেয়েছে। তাই কখনও সমীক্ষা সম্পূর্ণ রূপে সঠিক
প্রমাণিত হয়, কখনও আংশিক আবার কখনও আসল ফলের ঠিক উল্টোটাও হয়। কারণ বহুক্ষেত্রেই ভয়-ভীতি কিংবা অন্য়ান্য় নানা কারণে মানুষ সমীক্ষকদের সামনে মনের কথা প্রকাশ করে না। তাই পঞ্চায়েতে ভোটের ফলাফলে আসলে কী হবে, তা জানাও যেমন এই সমীক্ষার মধ্য়ে দিয়ে সম্ভব নয়, তেমনই কাউকে প্রভাবিত করার কোনও চেষ্টাও সমীক্ষক সংস্থা করে না। আর তারা যে পরিসংখ্য়ান দেয়, তা হবহু আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরি মাত্র। দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্য়ম হিসাবে আমাদের আসল অপেক্ষা ১১ জুলাই অবধি। সেদিনই জানা যাবে গ্রাম বাংলা গেল কার দখলে।
কিন্তু, যাঁদের ওপর নির্ভর করছে পঞ্চায়েত ভোটের রায়, সেই ভোটাররা কী ভাবছেন? তার আঁচ পেতে রাজ্য়জুড়ে জনমত সমীক্ষা চালিয়েছে আন্তর্জাতিক খ্য়াতিসম্পন্ন এই সমীক্ষক সংস্থা সি ভোটার। এরাজ্য়ের সবকটি জেলা পরিষদের সব কটি কেন্দ্রে পৌঁছে ১০ হাজার ৫৪৮ জনের জনের সঙ্গে কথা বলেছেন সমীক্ষকরা। সমীক্ষা চালানো হয়েছে ১৫ জুন থেকে ২৬ জনের মধ্য়ে।
এই সমীক্ষায় মার্জিন অফ এরর প্লাস মাইনাস ৫ শতাংশ। এই সমীক্ষা কোনও রাজনৈতিক ভবিষ্য়দ্বাণী নয়। শুধু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ভোটারদের ভাবনার আভাস পাওয়ার চেষ্টা। যে কাজ আন্তর্জাতিক খ্য়াতি সম্পন্ন সংস্থা সি ভোটার প্রায় তিন দশক ধরে করে আসছে।