শুভেন্দু সভা করে ফিরে যেতেই 'বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর, মারধর'
Panchayat Poll Update : হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে তাদের কর্মীদের কোপানোর অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি : নির্বাচন ( Panchayat Poll 2023 ) যতই এগিয়ে আসছে ততই উত্তেজনা বাড়ছে জেলায় জেলায়। শুভেন্দু অধিকারী ( Suvendu Adhikari ) এলাকায় সভা করে ফিরে যেতেই ধূপগুড়ির মধ্য খট্টিমারি এলাকায় বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর করা হল বাড়ি । আহত হলেন দুই পক্ষের ৪ জন !
সূত্রের দাবি, আহতদের মধ্যে তিনজন বিজেপি কর্মী, যার মধ্যে একজন বুথ সভাপতি। মারের হাত রেহাই পেলেন না ৭৫ বছর বয়সী বিজেপি নেতার বৃদ্ধ বাবাও ! অন্যদিকে পাল্টা হামলার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূলও। দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ১ তৃণমুল কর্মীও। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাঁশ লাঠি লোহার রড নিয়ে রাতের বেলা হামলা চালায়। ভাঙচুর করা হয় বিজেপির কর্মী সমর্থকদের বাড়ি। পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে তাদের কর্মীদের কোপানোর অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। আহত উভয়পক্ষের ৪ জন। ধূপগুড়ি থানায় দু’পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে।
আরও পড়ুন: 'দেউচা পাঁচামিতে ১ লক্ষ মানুষের কাজ', অনুব্রত-গড়ে ভোট-আশ্বাস মমতার
সোমবার রাতে বিজেপি নেতা চন্দন রায় বাড়ি ফিরছিলেন । অভিযোগ, সেই সময় তাঁকে আটকে তৃণমূলের লোকেরা মারধর করে। সেই খবর পেয়ে তাঁর বাবা সর্বেশ্বর রায় বাঁচাতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। রাতেই আহত দের উদ্ধার করে ধূপগুড়ি গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হামলার ঘটনায় ধূপগুড়ি থানায় দু পক্ষের তরফেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে খবর। এই ঘটনার পর উত্তেজনা ছড়ায় ধূপগুড়ি ব্লকের ঝারআলতা ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকায়। খবর পেয়ে রাতেই এলাকায় পৌঁছোয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
দুয়ারে পঞ্চায়েত ভোট। কার্যত মিনি বিধানসভা নির্বাচন। আর তাই প্রচারে খামতি রাখছে না কোনও দলই।সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাচ্ছে সবাই। সেইসঙ্গে চলছে অভিযোগ-কটাক্ষ-পাল্টা বিদ্রুপের বন্য়া।ধূপগুড়ির সভা থেকে সোমবার নানা ইস্যুতে তৃণমূলকে বেঁধেন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে আক্রমণ শানান শুভেন্দু।
শুভেন্দুর হুঙ্কার
তিনি এদিন বলেন, ' পিসির ক্ষমতা নেই উত্তরবঙ্গে এত বড় মিটিং করার। চোর মুক্ত বাংলা, আমাদের স্লোগান।
পিসি ভাইপো ভোট দিতে পারবে না, আমি পারবো। tmc মানে কী? চোর। চাকরি লুঠ করে ভোট লুঠ করতে চাইছে তৃণমূল। সঙ্গে আছে কমিশন। ভোট হচ্ছে পুলিশ বনাম জনগণের। একটা মিথ্যা মামলা করলে আমার কাছে পাঠাবেন। মামলা করবো। '