Dilip Ghosh: সাদা শাড়ি নয়, সাদা দাড়িকে চায় বাংলার মানুষ: দিলীপ ঘোষ
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘সাদা শাড়ির দিন শেষ। সাদা দাড়ির দিন এসেছে। দিদিমনির হাওয়াই চপ্পল আর সাদা শাড়ি আমাদের অনেক বোকা বানিয়েছে। আর সাদা শাড়ি নয়, এ বার সাদা দাড়ি চলবে।’’
পূর্ব বর্ধমান: পাঁচ দফার ভোট শেষ ৷ বাকি আরও তিন দফা ৷ কোভিড পরিস্থিতি হোক বা যাই ঘটুক না কেন ৷ প্রচারের লড়াইয়ে একে অপরকে টেক্কা দিতে কোনও দলই পিছিয়ে নেই ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখেই ভোটে প্রচার কাজ চালাচ্ছে বিজেপি ৷ রবিবার পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে এক জনসভায় দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, আর সাদা শাড়ি নয় ৷ সাদা দাড়িকেই চায় বাংলার মানুষ ৷ সেখানকার বিজেপি প্রার্থী মহেন্দ্রনাথ কোঁয়ারের সমর্থনে গিয়েই এমন মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ ৷
তিনি বলেন,‘‘সাদা শাড়ির দিন শেষ। সাদা দাড়ির দিন এসেছে। দিদিমনির হাওয়াই চপ্পল আর সাদা শাড়ি আমাদের অনেক বোকা বানিয়েছে। আর সাদা শাড়ি নয়, এ বার সাদা দাড়ি চলবে । সাদা দাড়ি এবার সোনার বাংলা গড়বে।’’
বক্তব্যের শুরু থেকেই এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “দিদি বলেছিল খেলা হবে। আমরা ভেবেছিলাম কী না কী খেলা হবে! এখন বলছে হুইল চেয়ার ঠ্যালা হবে! দিদি বলেছিলেন, একসঙ্গে ভোট করে নাও। শেষে দেখা গেল দিদিই পালিয়ে গিয়েছেন। ম্যাচ শেষ হতে এখনও অনেকটা সময় বাকি। আমরা বলছি ফুলটাইম খেলা হবে। যতক্ষণ না খেলা শেষ হচ্ছে, মাঠ ছাড়ব না।’’
এদিকে করোনা পরিস্থিতির কথা বিচার করে কলকাতা শহরে আর কোনও ভোট প্রচার কর্মসূচি করবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । শুধুমাত্র ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার এর শেষ দিন ২৬ এপ্রিল তিনি একটি 'সিম্বলিক মিটিং' করবেন । করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তিনি বিভিন্ন জেলায় তাঁর যাবতীয় কর্মসূচির সময় কমিয়ে ফেলছেন। শহরের বাইরে সমস্ত জনসভা ও কর্মসূচি আধ ঘণ্টার মধ্যেই শেষ করবেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর । রবিবার রাত ১১.৫৭ মিনিটে এই বার্তা দেন ডেরেক ও'ব্রায়েন। যদিও আগেই এই পথে হেঁটেছে বামেরা । সিপিএমের পক্ষ থেকে বাকি দফাগুলির ভোটপ্রচারে আর কোনও বড় সভা, মিটিং, মিছিল না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জনগণের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটপ্রচার ও সোশ্যাল মাধ্যমকেই তারা ভোটপ্রার্থনার মাধ্যম করতে চাইছেন। বুধবার সন্ধেয় আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সাংবাদিক সম্মেলন করে বামেদের আর বড় কোনও জন-সমাবেশ পরের দফার ভোটগুলোর আগে না করার সিদ্ধান্ত জানান মহম্মদ সেলিম। পরে সিপিএমের পক্ষ থেকে তাদের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমেও জানিয়ে দেওয়া হয় সেই সিদ্ধান্তের কথা।