(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Sukanta Majumdar Assets: চার জনের সংসারে স্বামী-স্ত্রীর রোজগার, বাড়ি-গাড়ি, কত বিনিয়োগ, তথ্য জানালেন সুকান্ত
Sukanta Majumdar Affidavit: নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামা জমা দিয়েছেন সুকান্ত, তাতে নিজের সম্পত্তির খতিয়ান তুলে ধরেছেন তিনি।
কলকাতা: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেছেন। BJP সাংসদ থেকে রাজ্য সভাপতি নিযুক্ত হয়েছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar Assets)। এবারেও দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থেকে সুকান্তকে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। প্রথম দফা, অর্থাৎ আগামী ১৯ এপ্রিলই বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ, তার আগে নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামা জমা দিয়েছেন সুকান্ত, তাতে নিজের সম্পত্তির খতিয়ান তুলে ধরেছেন তিনি। (Sukanta Majumdar Affidavit)
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে সুকান্তর হলফনামার যে প্রতিলিপি তুলে ধরা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, ২০২২-২০২৩ সালে তাঁর আয় ছিল ৯ লক্ষ ৯৪ হাজার ৬২০ টাকা। ২০২১-২০২২ সালে ৯ লক্ষ ৩০ হাজার ৩২০ টাকা আয় ছিল। ২০২০-২০২১ সালে ৫ লক্ষ ৯৫ হাজার ২১০ টাকা আয় করেন তিনি। ওই তিন অর্থবর্ষে তাঁর স্ত্রী কোয়েল মজুমদারের আয় ছিল যথাক্রমে, ৬ লক্ষ ৩৩ হাজার ৪২০, ৬ লক্ষ ৬৪ হাজার এবং ৪ লক্ষ ৬৪ হাজার ২৬০ টাকা। (Lok Sabha Elections 2024) সাংসদ হিসেবে প্রাপ্ত বেতন এবং ভাতাকে নিজের রোজগারের উৎস বলে দেখিয়েছেন সুকান্ত। তাঁর স্ত্রীর আয়ের উৎস স্কুলে শিক্ষকতা করে।
বালুরঘাট থানা, তপন থানা, গঙ্গারামপুর থানা, বসিরহাট থানা, ন্যাজাট থানা, ডানকুনি থানা, হাসনাবাদ থানা, ইটাহার থানা এবং সাইবার অপরাধ দমন শাখায় তাঁর নামে দায়ের হওয়া একাধিক মামলার তথ্যও কমিশনকে দিয়েছেন সুকান্ত। বেআইনি জমায়েত, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, অরাধমূলক শাসানি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দেওয়া, সরকারি কর্মীর নির্দেশ অমান্য, সরকারি কর্মীকে হুমকি, জাত-ধর্ম-ভাষা তুলে আক্রমণ, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানা, প্রতারণার উদ্দেশের জালিয়াতি, উস্কানিমূলক মন্তব্য করে শানি বিনষ্ট, সামাজিক শান্তি নষ্ট করতে ভীতির সঞ্চার ধারায় মামলা দায়ের রয়েছে।
সম্পত্তির হিসেব দিতে গিয়ে সুকান্ত জানিয়েছেন, তাঁর হাতে এই মুহূর্তে নগর ৫০ হাজার টাকা রয়েছে। স্ত্রীর হাতে রয়েছে ২০ হাজার টাকা। ৭ লক্ষ ১০ হাজার ৩৬৯ টাকার PPF রয়েছে তাঁর। স্ত্রীর PPF রয়েছে ৮ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার। বালুরঘাট স্টেট ব্যাঙ্কের শাখায় সুকান্তর নামে ১ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা রয়েছে। মালদা UBI ব্যাঙ্কে ১২০০, দিল্লিতে SBI অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৬ লক্ষ ৩০ হাজার ৮৫৫ টাকা।
এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে স্ত্রীর নামে যথাক্রমে ২ লক্ষ ৭০ হাজার, ১৮০, ৫০ হাজার, ৫০ হাজার, ২ লক্ষ এবং ৬ লক্ষ করে টাকা রয়েছে। এক মেয়ের অ্যাকাউন্টে রয়েছে ১৫ হাজার ৭১ টাকা। সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় যথাক্রমে ৫ লক্ষ ৯৫ হাজার এবং ৪ লক্ষ ২৩ হাজার ২২৩ টাকা করে বিনিয়োগ রয়েছে দুই মেয়ের নামে।
সুকান্ত জীবনবিমা করেছেন যথাক্রমে ৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ৬৬৭, ৪৬ হাজার ৮৭৫, ৪৪ হাজার ১১৮, ৪১ হাজার ৬৬৭, ৩৯ হাজার ৪৭৪, ৩৭ হাজার ৫০০, ৩৫ হাজার ৭১৪, ৩৪ হাজার ৯১, ৩২ হাজার ৬০৯, ৩১ হাজার ২৫০, ৩০ হাজার, ২৮ হাজার ৮৪৬, ২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৭৭৮, ২৬ হাজার ৭৮৬, ২৫ হাজার ৮৬২, ২৪ হাজার ১৯৪ টাকার। শেয়ার বাজারে ২৪ হাজার ১২৩ টাকা বিনিয়োগ করেছেন সুকান্তর স্ত্রী। মিউচুয়াল ফান্ডে ২ লক্ষ ৩ হাজার ৯৩ টাকা বিনিয়োগও রয়েছে। একটি স্কুটার রয়েছে সুকান্তর। রয়েছে Baleno Delta গাড়িও, যার মূল্য যথাক্রমে ৪৫ হাজার এবং ৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৪৫০ টাকা করে। তাঁর স্ত্রীর রয়েছে WAGON R VXI BS4 গাড়ি, একটি TMS WEGO স্কুটার, যেগুলির মূল্য যথাক্রমে ৪ লক্ষ ৩৬ হাজার ৩৩০ এবং ৬০ হাজার ৫০০ টাকা।
সুকান্তর কাছে সোনা রয়েছে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের। স্ত্রীর কাছে ৯ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনা রয়েছে। এক মেয়ের সোনা রয়েছে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার। মালদার ইংরেজবাজারে স্ত্রীর সঙ্গে যৌথ ভাবে ৫৭২ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট কেনেন সুকান্ত। ২০১৭ সালে সেটি কিনতে ১৫ লক্ষ ৭২ হাজার ৫০০ টাকা খরচ করেন তাঁরা, বর্তমানে যার বাজারমূল্য ২০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। ফ্ল্যাট কিনতে ৫ লক্ষ ৬২ হাজার ৫৫৭ টাকার ঋণ নেন তাঁরা।
সুকান্ত সম্পত্তির যে খতিয়ান দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী, তাঁর মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৩৪ লক্ষ ৭৪ হাজার ৩০৫ টাকা। স্ত্রীর ৩৬ লক্ষ ২৯ হাজার ২২৬ টাকা। যথাক্রমে ৮ লক্ষ ৫০ হাজার ৭১ টাকা, ৪ লক্ষ ২৩ হাজার ২২৩ টাকার সম্পত্তি রয়েছে দুই মেয়ের। সুকান্ত এবং তাঁর স্ত্রীর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ২০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।