Suvendu Adhikari: 'সন্ধে ৬টায় কমিশনের দফতরে তালা', কমিশনারকে ফোনে 'হুমকি' শুভেন্দুর
Panchayat Election:কত রক্ত চাই বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর।
কলকাতা: ভোটে বেলাগাম সন্ত্রাস, কমিশনারকে ফোন করে 'হুমকি' শুভেন্দুর। সন্ধে ৬টায় কমিশনের দফতরে গিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি। কত রক্ত চাই বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর।
ভোটের দিন তুমুল অশান্তি নিয়ে সকালেই সরব হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন বেলা যত গড়িয়েছে ততই অশান্তির ছবি বেড়েছে। একাধিক প্রাণহানি হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে 'রাক্ষসতন্ত্রের' উদযাপন চলছে বলে আক্রমণ করেছেন তিনি। এই আবহে দুপুরেই একবার কালীঘাট যাওয়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। বিরোধী দলনেতা বলেন, 'গুলি করুক, চলো কালীঘাট, ইটগুলো খুলে নিয়ে আসি।' বাংলায় ৩৫৬ অথবা ৩৫৫ জারি করার দাবি করেন শুভেন্দু। 'বাংলাকে বাঁচাতে, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে যা করতে হয় করব', হুঙ্কার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি আরও বলেন, 'এখানে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করতে হলে ৩৫৬ অথবা নির্বাচনের সময় ৩৫৫ করে যদি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে ইমপার্শিয়াল বা নিউট্রাল না করেন, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে কোনও ভোট হতে পারে না।'
দিনভর রক্তপাত, বোমা-গুলি! একের পর এক মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছল। কোথাও প্রাণ বাঁচানোর প্রার্থনা করলেন পুলিশকর্মী। কোথাও কোথাও কান্নায় ভেঙে পড়লেন ভোটকর্মী। কোথাও ছিঁড়ে ফেলা হল ব্যালট পেপার। কোথাও ব্যালট বক্স তুলে ফেলে দেওয়া হয় পুকুরে বা নিয়ে পালিয়ে গেলেন কেউ। যখন ভোটের সময়ে এমন ছবি সামনে আসছে তখন ভোট নিয়ে কী বলেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা? এই পঞ্চায়েত ভোট যে শান্তিপূর্ণ হয়নি, কার্যত তা মেনে নিয়েছেন রাজীব সিনহা। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কি বলা সম্ভব এই নির্বাচনকে? প্রশ্নের উত্তরে রাজীব বলেন, 'গন্ডগোল, অশান্তির খবর এসেছে। মানুষ নিজের মতামতের নিরিখে অভিযোগ জানান। সেগুলি খতিয়ে দেখতে হবে। সবকিছু শান্তিপূর্ণ হয়েছে বাল সম্ভব নয়। আবার শুধু অশান্তিই হয়েছে, এমনই বলা যায় না।' তিনি বলেন, 'ঘন ঘন অভিযোগ আসছে। এ নিয়ে নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান দেওয়া সম্ভব নয়। কমিশন সমাধানও করছে। অপরাধ ঘটলে প্রথমে মামলা দায়ের হয়। তার পর তদন্ত এবং গ্রেফতারি। আশাকরি পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।'
এই দিনই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে ঢুকে বিজেপি বিক্ষোভ দেখিয়েছে। আচমকা নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ এড়িয়ে ভিতরে ঢুকে পড়েন কয়েকজন বিজেপি কর্মী। নির্বাচন কমিশনের ঘরের দরজাতেও পৌঁছে যান একজন বিজেপি কর্মী। পরে পুলিশ তাঁকে পাকড়াও করে টেনে-হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপরেই বিকেলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ফোন করে হুঁশিয়ারি দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।