Mamata Banerjee Oath Taking: বুধবার সকাল পৌনে ১১টায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে ডাকলেন রাজ্যপাল
এদিন সন্ধেয় রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাদের মধ্যে ঘণ্টাখানেক আলোচনাও হয়।
কলকাতা : বুধ সকালে শুরু নতুন ইনিংস। আগামী বুধবার ৫ মে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বারের জন্য শপথ নিতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমোকে বুধবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে শপথ নেওয়ার জন্য রাজভবনে ডেকেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপাল নিজেই ট্যুইট করে যে খবর জানিয়েছেন।
রাজ্যপাল ট্যুইটারে লেখেন, 'সপ্তদশ বঙ্গ বিধানসভার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেত্রী বেছে নেওয়ার ভিত্তিতে তাঁকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করার জন্য ৫ মে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে রাজভবনে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।' বর্তমান কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবারের মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে একেবারে সীমিত সংখ্যক অতিথি উপস্থিত থাকবেন বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
এর আগে সোমবার দুপুরেই আলোচনায় বসেছিল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। যেখানে প্রত্যাশামতোই পরিষদীয় নেত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয় তৃণমূল সুপ্রিমোকে। যার কিছুটা পরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সিদের সঙ্গে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বঙ্গে ফের একবার বিপুল ব্যবধানে ক্ষমতায় আসার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সস্ত্রীক অভিনন্দন জানান রাজ্যপাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেন পুস্পস্তবকও।
ঘণ্টাখানেকের মতো সময় ধরে রাজ্যপালের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে আলোচনাপর্ব চলে। যে আলোচনা ও অভ্যর্থনা পর্বের ছবি সোশ্যাল মাধ্যমে শেয়ার করেছেন রাজ্যপাল।
পাশাপাশি পরের দিকে আরও একটি ট্যুইটে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় উল্লেখ করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘণ্টাখানেকের বেশি আলোচনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দ্রুত রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা সামাল দেওয়ার জন্য তিনি আবেদন জানিয়েছেন বলেও জানান রাজ্যপাল। জগদীপ ধনখড় লেখেন, ভোট পরবর্তী হিংসা, ভাঙচুর, লুট ও মৃত্যু রুখতে সরকার যাতে দ্রুত ভূমিকা নেয় সেটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেছি।
গোটা রাজ্যে যেভাবে ভোট পরবর্তী হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে, তা হতাশাজনক। একাধিক মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন, তাদের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই গুরুতর আহত।
সোমবার দুপুরেই রাজ্যে বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকরা ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হচ্ছেন বলে রাজ্যপালের কাছে গিয়েছিল বিজেপির প্রতিনিধি দল। রাজ্যপাল রাজ্যের পুলিশকর্তাদের সঙ্গেও যে বিষয়ে বৈঠক করেছেন।