WB election 2021: ক্যান্সারে আক্রান্ত খড়গপুর, প্রচারে বেরিয়ে দাবি বিজেপি প্রার্থী হিরণের
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর সদর বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী হিরণময় চট্টোপাধ্যায় আজ বিকেলে খড়গপুর সদরের মালঞ্চ এলাকায় প্রচার করেন। প্রচারে বেরিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
বিশ্বজিৎ দাস, খড়গপুর: খড়গপুর শহর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে। প্রচারে বেরিয়ে এমনটাই দাবি বিজেপির তারকা প্রার্থী হিরণের। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর সদর বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী হিরণময় চট্টোপাধ্যায় আজ বিকেলে খড়গপুর সদরের মালঞ্চ এলাকায় প্রচার করেন। প্রচারে বেরিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
হিরণ বলেন, চারিদিকে দেখছেন খড়গপুর শহরের অবস্থা শ্মশানে পরিণত হয়েছে। শহর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গেছে। জল নেই, রাস্তা নেই, মাটির বাড়ি মানুষ হাহাকার করছে। মানুষের এসব অবস্থা দেখে চোখে জল চলে আসছে। মানুষ বলছে জল দিন, জল দিন, জল দিন। আর যুবসমাজ বলছে কাজ দিন, কাজ দিন, কাজ দিন। দেখে মনে হচ্ছে ক্যান্সারের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। এই ক্যান্সার আক্রান্ত খড়গপুর শহরকে আমরা সুস্থ করার চেষ্টা করব। মানুষ প্লাবন বইয়ে দিয়েছে। মানুষ শুধু ১ তারিখের জন্য অপেক্ষা করে আছে।
আগামী ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় খড়গপুর সদর আসনে ভোটগ্রহণ। জল্পনা থাকলেও সাংসদ দিলীপ ঘোষকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করেনি বিজেপি। খড়গপুর সদর আসনে অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে টিকিট দিয়েছে বিজেপি। একই গাড়িতে একসঙ্গে দেখাও গিয়েছে তাঁদের। নিজের খাস তালুকে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে র্যালি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। খড়গপুরের গোলবাজার এলাকার রামমন্দির থেকে র্যালি করে খড়গপুর মহকুমা শাসকের অফিসে মনোননয়ন জমা দেন হিরণ। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। শুধু তাই নয় গত রবিবার হিরণের সমর্থনে খড়গপুরে রোড শো করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই রোড শো থেকে অমিত শাহ বলেন, বাংলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরেই আসবে আসল পরিবর্তন।
উল্লেখ্য, এদিন নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই ইস্তেহার প্রকাশ করেন। বিজেপি-র ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, কিষাণ সম্মান নিধিতে বকেয়া ১৮ হাজার টাকা ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার। তারপর বছরে ১০ হাজার টাকা প্রতিবছর দেওয়া হবে। মৎস্যজীবীদের বছরে ৬ হাজার টাকা অনুদান। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের প্রত্যেক গরিবকে আনা হবে। অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হবে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ৫ টাকায় ৩ বেলার আহারের ব্যবস্থা হবে। একইসঙ্গে মহিলাদের জন্য একাধিক ঘোষণা করা হয়েছে ইস্তেহারে।