WB Election 2021: বাংলার নির্বাচনে পাকিস্তান প্রসঙ্গ শুভেন্দুর, পাল্টা আক্রমণ তৃণমূলের
রবিবার রাজ্যে ভোট প্রচারে এসে রামকার্ড খেলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই সুর সপ্তমে চড়িয়ে শুভেন্দুর মুখে পাকিস্তান। পাল্টা তৃণমূলের আক্রমণ, ভোটে ফায়দা তুলতে সাম্প্রদায়িক তাস খেলছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী।
বিটন চক্রবর্তী ও ঋত্বিক প্রধান, নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রামের নির্বাচনে এবার পাকিস্তানের প্রসঙ্গ। তৃণমূলকে আক্রমণ করতে গিয়ে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য, পাকিস্তান খেলায় জিতলে যারা বোমা ফাটায়। তাদের ভোট দেবেন না ঘরের ছেলেকে জেতাবেন? প্রশ্ন শুভেন্দুর। পাল্টা তৃণমূলের আক্রমণ, ভোটে হারবেন জেনে, সাম্প্রদায়িক তাস খেলতে চাইছেন শুভেন্দু।
যারা পাকিস্তান জিতলে বোমা ফাটায়, তাদের কি ভোট দেবেন? নাকি ঘরের ছেলেকে জেতাবেন? এতদিন যা শোনা যেত বিহার-উত্তরপ্রদেশ-গুজরাতে, তাই এবার শোনা গেল বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে। নন্দীগ্রামের ভোট প্রচারে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর মুখে এবার পাকিস্তান। কখনও ভেকুটিয়ায় তো কখনও হরিপুর, তৃণমূলকে বিঁধতে বারবার পাকিস্তান টানলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘নির্বাচনে মেদিনীপুরের ভূমিপুত্রকে আপনারা গ্রহণ করবেন? না সুফিয়ানের চোখ দিয়ে নন্দীগ্রামকে দেখবেন? অঞ্চলে অঞ্চলে পাকিস্তানীদের তৈরি করেছে। এখানে যেমন আমিরুল। ভীমকাটায় টায়ার জ্বালিয়ে মিছিল আটকাচ্ছে। পাকিস্তান যদি ক্রিকেট খেলায় জেতে এরা বোমা ফাটায়, মিষ্টি খায়, মাংস খায়। এই লোকগুলোর হাতে নন্দীগ্রামকে ছেড়ে দেবেন কি না আপনাকে ভাবতে হবে ৷’’
রবিবার রাজ্যে ভোট প্রচারে এসে রামকার্ড খেলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই সুর সপ্তমে চড়িয়ে শুভেন্দুর মুখে পাকিস্তান। পাল্টা তৃণমূলের আক্রমণ, ভোটে ফায়দা তুলতে সাম্প্রদায়িক তাস খেলছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী।
বঙ্গ ভোটের ‘সেন্টার কোর্টে’ এখন নন্দীগ্রাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারীর মহাযুদ্ধ। লড়াই দিতে নন্দীগ্রামের অলিগলি চষে বেড়াচ্ছেন তরুণ বামনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। পরিসংখ্যান বলছে, নন্দীগ্রাম বিধানসভায় ৩৪ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট ৷ সেই ভোটের ভরসাতেই তৃণমূল নেত্রী নন্দীগ্রামকে বেছে নিয়েছেন বলে গোড়া থেকেই অভিযোগ করে আসছে বিজেপি। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। বাংলায় নতুন হলেও, ভারতের ভোটের ময়দানে বিজেপি নেতাদের পাকিস্তানকে টেনে আনার ট্রেন্ড নতুন নয়। ২০১৫-তে বিহার বিধানসভার ভোটের প্রচারে পাকিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে এনেছিলেন অমিত শাহ। তিনি বলেছিলেন, ‘‘বিহারে বিজেপি হারলে পাকিস্তানে বাজি ফাটবে ৷’’
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ। সেখান থেকে নন্দীগ্রামের দূরত্ব ১ হাজার ৯৫৭ কিলোমিটার ৷ কিন্তু এবার সেখানকার ভোটেই উঠে এল পাকিস্তানের প্রসঙ্গ ৷