WB Election: ভোট শুরু হল বলে, তার আগে ফিরে দেখা ষোলো
West Bengal Assembly Elections 2021: এবারের ভোটে ফের ক্ষমতা দখল করবে তৃণমূল? না কি বাজিমাত করবে বিজেপি? প্রভাব ফেলতে পারবে সংযুক্ত বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট?
কলকাতা: ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। সেবার কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করে তৃণমূল। পরে অবশ্য জোট ভেঙে সরকার থেকে বেরিয়ে যায় কংগ্রেস। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর ২০১৬ সালে ফের বিধানসভা নির্বাচন হয়। সেবারের ভোটে তৃণমূল একা লড়াই করে। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস জোট বেঁধে ভোটে লড়ে। তবে এই জোট নির্বাচনের ফলে কোনও প্রভাবই ফেলতে পারেনি। ২০০-রও বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফেরে তৃণমূল। ফের মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তিনি হ্যাটট্রিকের অপেক্ষায়। এবার অবশ্য রাজ্যে ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে। একদিকে শাসক দল তৃণমূল, অন্যদিকে বিজেপি আর বাম-কংগ্রেসের জোট। বহুদিন পর এরাজ্যে তিনটি আলাদা শক্তি বিধানসভা ভোটে লড়াই করছে। ভোটের ফল কী হবে, সেটা সময়ই বলে দেবে। রাজ্যের মানুষই ঠিক করবেন তাঁরা কাদের ভোট দেবেন। তার আগে ফিরে দেখা যাক ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে কী ফল হয়েছিল।
২০১৬ সালের ভোট শুরু হয় ৪ এপ্রিল এবং শেষ হয় ৫ মে। ফল প্রকাশিত হয় ১৯ মে। রাজ্যের মোট ২৯৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে যায় ২১১টি আসন। কংগ্রেস জেতে ৪৪টি আসনে। সিপিএম পায় ২৬টি আসন। বামফ্রন্টের শরিক দলগুলির মধ্যে আরএসপি পায় ৩টি আসন, ফরওয়ার্ড ব্লক পায় ২টি আসন, সিপিআই পায় একটি আসন। বিজেপি জেতে ৩টি আসনে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাও ৩টি আসন পায়। একটি আসনে নির্দল প্রার্থী জেতেন।
শেষ হাসি হাসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই?
ভোট শতাংশের হিসেবে তৃণমূল পায় ৪৪.৯১ শতাংশ ভোট। আসন কম পেলেও, ভোট শতাংশের হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে ছিল সিপিএম। বামফ্রন্টের প্রধান শরিক দলের পক্ষে ছিল ১৯.৭৫ শতাংশ ভোট। কংগ্রেস পায় ১২.২৫ শতাংশ ভোট। বিজেপি পায় ১০.১৬ শতাংশ ভোট। আর কোনও দলই শতাংশের হিসেবে দুই অঙ্কের ভোট পায়নি।
বাজিমাত করবে বিজেপি?
২০১৬ সালের ভোটে কলকাতার ১১টি আসনের সবগুলিই যায় তৃণমূলের দখলে। উত্তর ২৪ পরগনায় ৩৩টি আসনের মধ্যে ২৭টিতেই জয় পায় তৃণমূল। ৩টি করে আসন পায় বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩১টি আসনের মধ্যে ২৯টিই জেতে তৃণমূল। ২টি আসনে জয় পায় বামফ্রন্ট। হাওড়ায় ১৬টি আসনের মধ্যে ১৫টি জেতে তৃণমূল, একটি পায় কংগ্রেস। হুগলিতে ১৮টি আসনের মধ্যে ১৬টিই জেতে তৃণমূল, একটি করে জেতে কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট। পূর্ব মেদিনীপুরে ১৬টি আসনের মধ্যে ১৩টি পায় তৃণমূল এবং ৩টি পায় বামফ্রন্ট। পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৯টি আসনের মধ্য়ে ১৭টিতেই জয় পায় তৃণমূল। একটি করে আসন পায় কংগ্রেস ও বিজেপি। অবিভক্ত বর্ধমানে ২৫টি আসনের মধ্যে ১৯টি পায় তৃণমূল। ৫টি আসন পায় বামফ্রন্ট এবং ১টি পায় কংগ্রেস। বীরভূমে ১১টি আসনের মধ্যে ৯টি পায় তৃণমূল। ১টি করে পায় কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট। মালদায় ১২টি আসনের মধ্যে ৮টি জেতে কংগ্রেস। ১টি করে পায় তৃণমূল, বাম, বিজেপি। মুর্শিদাবাদে ২২টি আসনের মধ্যে ১৪টি পায় কংগ্রেস। ৪টি করে আসন পায় তৃণমূল ও বামেরা। নদিয়ায় ১৭টি আসনের মধ্যে ১৩টি পায় তৃণমূল। কংগ্রেস ৩টি এবং বামেরা একটি আসন পায়।
তৃণমূল-বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট? ছবি সৌজন্যে পিটিআই
এবার কী হবে? বাজিমাত করতে পারবে গেরুয়া শিবির, না কি পিকে-র ট্যুইট মিলে যাবে ২ মে? অপেক্ষা আর প্রায় মাস দু’য়ের।