WB Election 2021: ঘাসফুল না পদ্ম? দলীয় পতাকা তৈরির ব্যস্ততা হাওড়ায়
প্রতিবার ভোটের আগেই হাওড়ার উনসানিতে পতাকা তৈরির কারখানায় কর্মীদের ব্যস্ততা চরমে ওঠে। এবারেও তার ব্যতিক্রম নেই। কর্মীরা কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি সব দলেরই অর্ডার অনুযায়ী দলীয় পতাকা তৈরি করছে। কর্মীরা সকাল ৮টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত বিভিন্ন সাইজের পতাকা তৈরি করছেন।
সুনীত হালদার, হাওড়া: ব্যস্ত কারখানার মালিক থেকে কর্মীরা। কেউ তাড়া দিয়ে বলছে, তৃণমূলটা তাড়াতাড়ি ছাপিয়ে দাও। কেউ আবার বলে যাচ্ছে, আজ বিকেলের মধ্যেই বিজেপির অর্ডার অনুযায়ী সাপ্লাই দিতে হবে। কিন্তু কর্মীদের মাথায় চিন্তার ভাঁজ, কোনটা আগে করবেন, ঘাসফুল না পদ্ম?
নির্বাচন কমিশন ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে হাওড়ায় দলীয় পতাকা তৈরীর কারিগরদের ব্যস্ততা তুঙ্গে। কার্যত নাওয়া খাওয়ার সময় পাচ্ছেন না এইসব কারিগরেরা। কারখানার মালিকরা জানিয়েছেন ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের চেয়ে এবারের নির্বাচনে তাঁদের অর্ডার অনেক বেশি। তাই ভোটের মুখে বাড়তি লাভ হওয়ায় খুশি কারিগররা।
প্রতিবার ভোটের আগেই হাওড়ার উনসানিতে পতাকা তৈরির কারখানায় কর্মীদের ব্যস্ততা চরমে ওঠে। এবারেও তার ব্যতিক্রম নেই। কর্মীরা কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি সব দলেরই অর্ডার অনুযায়ী দলীয় পতাকা তৈরি করছে। কর্মীরা সকাল ৮টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত বিভিন্ন সাইজের পতাকা তৈরি করছেন।
এইসব দলীয় পতাকা এখান থেকে চলে যাচ্ছে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। এর পাশাপাশি কলকাতার বড়বাজারেও তাঁরা সরবরাহ করছেন। গতবছর লকডাউনের কারণে তাদের ব্যবসায় প্রচন্ড ক্ষতি হয়। পকেটে খাবার কেনার টাকা ছিল না। কিন্তু ভোটের মুখে কাজের চাপ বাড়ায় এখন তাঁদের মুখে চওড়া হাসি। কারখানার মালিকরা জানিয়েছেন রাজনৈতিক দলের বিধায়ক, জেলা সভাপতি এবং দলীয় নেতাদের দেওয়া অর্ডার অনুযায়ী তারা পতাকা তৈরি করেন।
ভোট আসে ভোট যায়। এদের হাতে তৈরি পতাকা রাজনৈতিক দলের প্রচারের হাতিয়ার হলেও ভোটের পর তাদের কেউ খবর রাখেন না। তাই ভোটের সময় বাড়তি একটু আয় ছাড়া বদলায় না এদের ভাগ্য। একবুক আক্ষেপ নিয়ে তাঁরা নীরবে কাজ করে চলেন।