WB Election 2021: বেহাল রাস্তা, ঝুঁকির যাতায়াত, প্রতিবার ভোটের আগে প্রতিশ্রুতিই সার
West Bengal Assembly Election 2021: তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। শাসক দলের আশ্বাস, ভোট মিটলেই কাজ হবে।
পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: গ্রামের রাস্তা বেহাল। প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীদের। ভুক্তভোগী এলাকাবাসীদের অভিযোগ, প্রতিবারই ভোটের সময় রাস্তার মেরামতির প্রতিশ্রুতি মেলে। অথচ তা বাস্তবায়িত হয় না। আর এনিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। শাসক দলের আশ্বাস, ভোট মিটলেই কাজ হবে।
ভোটের বাজারে এখন সব রাজনৈতিক দলের মুখেই প্রতিশ্রুতির ফোয়ারা। গত কয়েকটি ভোটের আগে এমনই অনেক প্রতিশ্রুতি পেয়েছিল বাঁকুড়ার তিলাবেদ্যা গ্রাম। বাঁকুড়া-রানিগঞ্জ জাতীয় সড়ক সংযোগকারী গ্রামের একমাত্র রাস্তা, বছরের পর বছর বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মোরাম উঠে গিয়ে বেরিয়ে পড়েছে পাথর। রাস্তার জায়গায় জায়গায় তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রতিবার ভোট এলেই রাস্তা সারাইয়ের ঝুড়ি ঝুড়ি প্রতিশ্রুতি মেলে, অথচ ভোট ফুরোলেই হাওয়ায় মিলিয়ে যায় নেতাদের কথা।
এবার বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের হয়ে লড়াইয়ে নেমেছেন টালিগঞ্জের অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটপ্রচারে তিলাবেদ্যাতে প্রচারেও এসেছেন তিনি। কিন্তু গ্রামবাসীদের আক্ষেপ, প্রার্থীকে কাছে পেয়েও, ভিড়ের চোটে মনের কথা বলতে পারেননি তাঁরা।
ভোটের মুখে এলাকাবাসীর ক্ষোভকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী নীলাদ্রি দানা। তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ টাকার দুর্নীতি করেছে, বাঁকুড়ার কাওকেই প্রার্থী পায়নি।’
পাল্টা বাঁকুড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দিলীপ অগ্রবালের দাবি, ‘টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। নির্বাচনের কারণে কাজ আটকে আছে। ভোট শেষে কাজ শুরু হবে।’
এবার ভোটের পরে কি পূরণ হবে দাবি? সেদিকেই তাকিয়ে গ্রামবাসীরা।
২৭ মার্চ ও ১ এপ্রিল এবার দু’ দফায় ভোট হচ্ছে বাঁকুড়ার ১২টি বিধানসভা আসনে। হাতে সময় কম, তাই প্রচারে ঝড় তুলছে রাজনৈতিক দলগুলি। প্রচারের অভিনবত্বে নজরকাড়ার চেষ্টা প্রার্থীদের। একদিকে, দলের নেতা সায়ন্তন বসুকে নিয়ে গ্রামের যুবকদের নিয়ে ভলিবল খেললেন ওন্দার বিজেপি প্রার্থী অমরনাথ শাখা। অন্যদিকে, হরিনাম সংকীর্তনের দল নিয়ে প্রচার সারলেন তালডাংরার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। নিজে বাজালেন ঢাক। প্রচারে নেমে একে অপরকে বিঁধছে দু’পক্ষই। বিজেপি-র অভিযোগ, তৃণমূলের খেলা হবে স্লোগান আসলে ভোটারদের ভয় দেখানোর চেষ্টা। তবে তারাও খেলতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গত ১০ বছরের উন্নয়নকে সামনে রেখেই খেলা হবে।