করোনার কোপ, পশ্চিমবঙ্গে সব সভা বাতিল করলেন রাহুল
ট্যুইট করে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ
দিল্লি : দেশে করোনার গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী । রোজই সংক্রমণের রেকর্ড হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জমায়েত এড়াতে বলছেন চিকিৎসকরা। সেকথা মাথায় রেখেই রাজ্যে আসন্ন রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ বাতিল করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। আজ টুইট করে একথা জানান তিনি। প্রসঙ্গত, আগামী ২২ এপ্রিল ষষ্ঠ দফার ভোটের আগে মালদা ও মুর্শিদাবাদে সভা করার কথা ছিল তাঁর।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত ২ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ জন। যা একদিনে রেকর্ড। এনিয়ে মোট আক্রান্ত ১.৪৭ কোটি। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৫০১ জনের। এই পরিস্থিতিতে কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে চিকিৎসকদের। করোনা রুখতে কেন্দ্রীয় এবং বিভিন্ন রাজ্য সরকারের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তাতেও বাগে আনা যাচ্ছে না সংক্রমণকে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গে ভোটপর্বের সবে পাঁচ দফা হয়েছে। এখনও বাকি তিন দফা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশে ভিড় হচ্ছে। যার জেরে লাগামছাড়া সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টাতেও বাংলায় ৭৭১৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। সামগ্রিক এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই রাজ্যে সভা-সমাবেশ বাতিল করলেন রাহুল গাঁধী।
আজ একটি টুইট করে তিনি জানান, "করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর দিয়ে, পশ্চিমবঙ্গে আমি আমার সমস্ত সভা বাতিল করছি। এই পরিস্থিতিতে বড় সমাবেশ করার ফল কী হতে পারে তা চিন্তা করে দেখার জন্য সব রাজনৈতিক নেতাকে উপদেশ দিচ্ছি।"
এদকে গতকালই আসানসোলে তাঁর সভায় বিশাল জমায়েত নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলেছিলেন, "লোকসভা ভোটের সময় আপনাদের ভোট চাইতে এখানে দুবার এসেছিলাম। শেষবার বাবুলজি(বাবুল সুপ্রিয়)-র জন্য ভোট চাইতে এসেছিলাম। প্রথমবার নিজের জন্য ভোট চেয়েছিলাম। কিন্তু, তখন এর এক-চতুর্থাংশ লোক ছিল। কিন্তু আজ, সব দিক দিয়ে বহু সংখ্যক মানুষকে দেখতে পাচ্ছি। আজ আপনারা আপনাদের ক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছেন। এবং সব জায়গায় আপনাদের ঢেউ দেখতে পাচ্ছি।"
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়ে আজই টুইটারে সরব হন রাহুল। লেখেন, এত অসুস্থ মানুষ এবং এই হারে মৃত্যুও এই প্রথম।
এদিকে করোনায় উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সত্ত্বেও, কমিশন বাকি দফার ভোট একসঙ্গে না করায় সরব হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তেহট্টের জনসভা থেকে তিনি বলেন,'তৃণমূল বলেছিল বাকি দফা একসঙ্গে করে দিতে। একসঙ্গে বাকি দফার ভোট করলে করোনা ছড়াত না। বিজেপির কথা শুনে কমিশন প্রচারের সময়সীমা কমাল। কিন্তু ভোট একদফায় শেষ করল না।'