বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়ে দেদার খাওয়া-দাওয়া, বাড়ি ফেরার টাকাও ছিল না প্রিয়ঙ্কার
কথা ছিল, রাত সাড়ে দশটার মধ্যে বাড়ি ফিরতে হবে। কিন্তু খাওয়া দাওয়া, ঘোরাঘুরি করতে করতে হঠাৎ খেয়াল হয়, সবার কাছেই টাকা ফুরিয়ে গিয়েছে। বাড়ি ফেরার টাকা নেই। তারপর?
কলকাতা: দশম শ্রেণীতে উঠে প্রথম অনুমতি পেয়েছিলেন পুজোয় ঠাকুর দেখার। একদল বন্ধুদের সঙ্গে সারা সন্ধে কলকাতা ঘোরা, খাওয়া দাওয়া.. কথা ছিল, রাত সাড়ে দশটার মধ্যে বাড়ি ফিরতে হবে। কিন্তু খাওয়া দাওয়া, ঘোরাঘুরি করতে করতে হঠাৎ খেয়াল হয়, সবার কাছেই টাকা ফুরিয়ে গিয়েছে। বাড়ি ফেরার টাকা নেই। তারপর? এবিপি লাইভকে ছোটবেলার পুজোর গল্প শোনালেন প্রিয়ঙ্কা সরকার।
বেহালার বাড়িই তখন ছিল প্রিয়ঙ্কার ঠিকানা। সেখানে কেমন করে কাটত পুজোর দিনগুলো? প্রিয়ঙ্কা বলছেন, 'প্রথম প্রথম মা-বাবার সঙ্গে ঠাকুর দেখতে যেতাম। তখন বায়না করতাম, যতটা বেশি ঠাকুর দেখা যায়। ছুটির পর স্কুলে গিয়ে বন্ধুরা মিলে হোনা হত, কে কতগুলো ঠাকুর দেখেছে। সবার থেকে বেশি ঠাকুর দেখার একটা প্রতিযোগীতা চলতই।
ক্লাস টেনে উঠে প্রথম বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে বেরনোর অনুমতি পেলাম। গোটা কলকাতা ঘুরলাম, খাওয়া দাওয়া করলাম। কথা ছিল রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে বাড়ি ফিরবই। হঠাৎ খেয়াল করলাম, খাওয়া দাওয়া করে সব টাকা শেষ করে ফেলেছি। বাড়ি ফেরার টাকা নেই আর। শেষে একটা ট্যাক্সি ভাড়া করে তাতেই সব্বাই উঠে পড়লাম। বাবা বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। ফিরে গিয়ে সেই ট্যাক্সিকে টাকা দেওয়া হল। সেদিন মনে হয়েছিল, এই জন্যই এতদিন মা-বাবা একা ঠাকুর দেখতে যাওয়ার অনুমতি দেননি। কারণ আমাদের সেই বুদ্ধিটাই হয়নি এখনও।'
কাজের থেকে ছুটি পেলে এখন প্রিয়ঙ্কার পুজো কাটে ছোট্ট সহজের সঙ্গেই। মায়ের মত ঠাকুর গোনে সহজও। সবকিছু সামলে নিজের জন্য কী করে সময় বের করেন প্রিয়ঙ্কা? নায়িকা বলছেন, কেবল পুজো নয়, সারা বছরই আমি সামান্য হলেও নিজের জন্য সময় বের করে নিই। এখন সুস্থ থাকাটা খুব জরুরি। শরীর সুস্থ থাকলে তবেই সুন্দর দেখাবে। আর আমি নিজে নিউলেয়ারের বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করি। আমাদের ব্যস্ত রুটিনে নিজের ত্বকের খেয়াল রাখার জন্য অবশ্যই একটু ভালো জিনিস বেছে নিতে হবে।'