Idhika Paul: রং নম্বরের ফোন থেকে শুরু প্রেম, ইধিকাকে উপহার পাঠাতেন কোনও গোপন প্রেমিক!
Idhika Paul Exclusive: দুই বাংলার ছবির কাজ, ব্যস্ততা সব সরিয়ে রেখে, প্রেমের একাল-সেকাল ফিরে দেখলেন ইধিকা পাল। সাক্ষী রইল এবিপি লাইভ।
তোর্ষা ভট্টাচার্য্য, কলকাতা: তাঁর জীবনে নাকি প্রেম নেই! তাই লাল ব্লেজার পরবেন ভেবেও, শেষে তিনি সেজেছিলেন সাদা হাইনেক সোয়েটারে। মেসি বান আর ন্যুড মেকআপের মধ্যেও ঝলমল করছিল তাঁর উজ্জ্বল চোখ আর মিষ্টি হাসি। ভালবাসার দিনে পুরনো ভালবাসার স্মৃতি হাতড়াতে মন্দ লাগে না। দুই বাংলার ছবির কাজ, ব্যস্ততা সব সরিয়ে রেখে, প্রেমের একাল-সেকাল ফিরে দেখলেন ইধিকা পাল (Idhika Paul)। সাক্ষী রইল এবিপি লাইভ (ABP Live)।
প্রশ্ন: ইধিকা যখন ‘রিমলি’ বা ‘রঞ্জা’ হননি... তখন তাঁর কাছে কেমন প্রেম প্রস্তাব আসত?
ইধিকা পাল: স্কুলজীবনে আমার কাছে প্রেমপ্রস্তাব এসেছে হাতে গোনা। স্কুলে বোধহয় কেউ আমায় প্রপোজ করার মতো মনেই করত না। বরং উল্টোটাই বেশি হত। আমার বন্ধুদের পছন্দ হলে, সেই বার্তা পাঠানো হত আমার মাধ্যমে। তবে কলেজে পড়তে বেশ কিছু প্রেমপ্রস্তাব এসেছে। তবে 'রঞ্জা' বা 'রিমলি' হওয়ার পরে আমার কাছে প্রেম নিবেদন করতে আর কেউ আসে না।
প্রশ্ন: বাস্তবে যদি কোনও নায়কের সঙ্গে প্রেম করার সুযোগ পান, তাহলে ইধিকা কার সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে চাইবেন?
ইধিকা: নায়ক কি না বলতে পারব না.. তবে একজনকে ভীষণ ডেট করতে চাইতাম। তিনি মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ক্যাপ্টেন কুল- অধিনায়ক। আমার ভীষণ প্রিয়। উনি ভীষণ কুল, অর্গানাইসজ, স্মার্ট.. একসময় ভাবতাম ওঁর সঙ্গেই প্রেম করব। সেটা অবশ্য সম্ভব হয়নি। আর নায়ক বললে.. (একটু ভেবে নিয়ে) শাহিদ কপূর। যদিও ওও বিবাহিত (হাসি)।
প্রশ্ন: জীবনের প্রথম পাওয়া প্রেম প্রস্তাব মনে আছে?
ইধিকা: এটা নিয়ে একটা খুব মজার স্মৃতি আছে। প্রথম প্রেমপত্র পেয়েছিলাম ক্লাস ২-তে। আমারই এক ক্লাসমেটের থেকে। আমার জন্মদিনের সময় কার্ডে লিখে দিয়েছিল, 'আই লাভ ইউ। আমার প্রেমিকা হবে?' সেই সময়ে অবশ্য চিঠিটা মায়ের হাতে পড়ে। তখন আমি আর ও দুজনেই বকুনি খেয়েছিলাম। এখন ভাবলে মিষ্টি লাগে। তারপরে আর কেউ আমায় কোনও প্রস্তাব দেয়নি। ব্যাড লাক।
প্রশ্ন: ছোট থেকে প্রেমিক হিসেবে কোনও চরিত্রকে কল্পনা করেন?
ইধিকা: (একটু ভেবে)... 'কল হো না হো'-র শাহরুখ খান।
প্রশ্ন: ছোটবেলার ভ্যালেন্টাইন?
ইধিকা: (হেসে ফেলে) ছোটবেলায় আমার প্রেম করার একটা দারুণ গল্প আছে। আমি তখন এইট বা নাইনে পড়ি। সেই সময়ে খুব চল ছিল 'Phone A Friend'-এর। এটা সেই সময়ে যাঁরা করেছে অনেকেই জানেন। হঠাৎ কেউ একটা ফোন করে বলত, রং নম্বর থেকে ফোন করেছি। তারপরে হয়তো বলত তোমার গলার স্বরটা দারুণ। তারপরে কথা চলত। এভাবেই প্রথম প্রেমটা হয়েছিল। তবে সেই প্রেম ফোনেই শুরু আর ফোনেই শেষ। দুজন-দুজনকে চিনি না, জানি না। কখনও দেখিনি। সেই বছরই ভ্যালেন্টাইন্স ডে নিয়ে একটা ক্রেজ ছিল। ব্যাস...
প্রশ্ন: প্রেম করতে গিয়ে বাড়িতে ধরা পড়েছেন?
ইধিকা: বহুবার। সত্যি বলতে.. প্রত্যেকবার। আমি ভীষণ বাজে মিথ্যে সাজাতে পারতাম আর মা সহজেই ধরে ফেলতেন। বকা খেয়েছি, মার খেয়েছি। তারপরে ব্রেক আপও হয়ে গিয়েছে।
প্রশ্ন: ইধিকার চোখে কেমন হবেন আদর্শ প্রেমিক?
ইধিকা: আমার তো মনে হয় আদর্শ প্রেমিক পৃথিবীতে কিছু হয় না। আমরা যখনই ভাবি আমাদের একটা মানুষের মধ্যে এই এই গুণ থাকতে হবে, তখন আমরা ঠিক তার উল্টো মানুষেরই প্রেমে পড়ি। তবে আমার মনে হয়, আমার পছন্দের মানুষ হয়তো খুব ভাল কথা বলবেন, বুদ্ধিদীপ্ত হতে হবে আর অবশ্যই, সৎ হতে হবে।
প্রশ্ন: প্রেম করে বিয়ে নাকি বিয়ে করে প্রেম?
ইধিকা: প্রেম করে বিয়ে। একটা মানুষকে না চিনে, না জেনে তার সঙ্গে জীবন কাটিয়ে দেওয়ার মত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। তবে প্রেম করেও যে একটা মানুষকে পুরোটা চিনে ফেলব তাও হয় না।
প্রশ্ন: ফ্যানেদের থেকে পাওয়া এমন কোনও প্রেমপ্রস্তাব যেটা মনে আছে?
ইধিকা: আসলে ফ্যানেরা সবসময় যাই করুক না কেন, তাতে এত ভালবাসা মিশে থাকে যে প্রত্যেকটাই ভীষণ স্পেশাল হয়। ভ্যালেন্টাইন্স ডে-জন্মদিনে আমি ফুল, কেক, চকোলেট পেয়ে থাকি। তবে আমার একজন গোপন প্রেমিক ছিল। অদ্ভুতভাবে সে বুঝত আমার কখনও কী প্রয়োজন। আমি যে স্টুডিওতে শ্যুট করতাম, সেখানে কখনও কোল্ড কফি, কখনও চকোলেট পাঠাত।
প্রশ্ন: ইধিকার অভিধানে ভালবাসা মানে?
ইধিকা: (হাসতে হাসতে) কী কঠিন প্রশ্ন। এরপরে মনে হয় জয়েন্টে বসে পড়া সোজা। খুব কঠিন কাজ। ভালবাসার কোনও সঙ্গা হয় না, একটা শব্দে প্রকাশও করা যায় না। আমার মনে হয়, কোনও মানুষকে ভালবেসে, বিশ্বাস করে, ভরসা রেখে ভাল থাকাটাই ভালবাসা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।