Shershah Movie Update : 'শের শাহ' ছবিতে কিয়ারা আডবাণীর ফার্স্ট লুক প্রকাশ
'শের শাহ' প্রধানত কার্গিলের যুদ্ধে শহিদ হওয়া ক্যাপ্টেন বাত্রার জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি। যিনি কার্গিলের যুদ্ধে তাঁর সহযোগী অফিসারকে বাঁচাতে শহিদ হন।
মুম্বই: আগামী ১২ অগাস্ট অ্যামজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তি পাচ্ছে সিদ্ধার্থ মলহোত্র এবং কিয়ারা আডবাণী অভিনীত ছবি 'শের শাহ'। ছবিটি অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও ইন্ডিয়া এবং কর্ণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশন যৌথভাবে প্রযোজনা করছে। ছবিতে কিয়ারা আডবাণীর ফার্স্ট লুক শেয়ার করেছে প্রযোজনা সংস্থা।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় 'শের শাহ' ছবির একটি পোস্টার শেয়ার করা হয়েছে ছবির প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকে। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে সিদ্ধার্থ মলহোত্রর সঙ্গে সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন কিয়ারা আডবাণী। প্রসঙ্গত, ছবিতে পরমবীর চক্র পাওয়া ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে সিদ্ধার্থ মলহোত্রকে। পাশাপাশি 'শের শাহ' ছবিতে ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার বাগদত্তা ডিম্পল চিমার ভূমিকায় অভিনয় করছেন বলিউডের জনপ্রিয় নায়িকা কিয়ারা আডবাণী।
'শের শাহ' প্রধানত কার্গিলের যুদ্ধে শহিদ হওয়া ক্যাপ্টেন বাত্রার জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি। যিনি কার্গিলের যুদ্ধে তাঁর সহযোগী অফিসারকে বাঁচাতে শহিদ হন। ডিম্পল চিমার ছিলেন ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার বাগদত্তা। ক্যাপ্টেন বাত্রা শহিদ হওয়ার পরও সারাজীবন অবিবাহিত ছিলেন। এবং নিজের জীবন ক্যাপ্টেন বাত্রার বিধবা স্ত্রী হিসেবেই কাটিয়েছিলেন। একটি সাক্ষাৎকারে ডিম্পল চিমাকে প্রশ্ন করা হয় যে, ১৯৯৫ সাল নাগাদ ক্যাপ্টেন বাত্রার সঙ্গে কেমন সময় কাটিয়েছিলেন। তিনি উত্তর দেন, '১৯৯৫ সালে চণ্ডীগড়ে পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ক্যাপ্টেন বাত্রার সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয়। আমরা দুজনেই সেখানে ইংরেজিতে এম এ পড়ছিলাম। কিন্তু দুজনের কারওই পড়া শেষ হয়নি।' ডিম্পল চিমা স্মৃতিচারণা করে জানিয়েছেন যে, প্রথমবার ইন্ডিয়ান মিলিট্রি অ্য়াকাডেমিতে নির্বাচিত হওয়ার পর ক্যাপ্টেন বাত্রা কতটা উত্তেজিত ছিলেন।
এরই সঙ্গে তিনি আরও জানান যে, তাঁর সঙ্গে ক্য়াপ্টেন বাত্রার বিয়েটা প্রায় হয়েই গিয়েছিল। ডিম্পল চিমা জানান, তাঁরা প্রায়ই মনসা দেবীর মন্দিরে এবং গুরুদ্বারে যেতেন। একদিন এমনই মন্দিরের চারপাশে ঘুরছেন তাঁরা। সামনে তিনি এবং তাঁর পিছনে ক্য়াপ্টেন বাত্রা। হঠাৎই ক্যাপ্টেন বাত্রা বলে ওঠেন, 'অভিনন্দন মিসেস বাত্রা। তুমি কি বুঝতে পেরেছো, এই নিয়ে আমরা চারবার পরিক্রমা করলাম।' এরপরই তিনি আবেগে অভিভূত হয়ে যান। আর ক্যাপ্টেন বাত্রার প্রতি তাঁর ভালোবাসা অনেকটা বেড়ে যায়।
ডিম্পল চিমা আরও বলেন, 'একদিন দেখা করার সময়ে আমি ওকে বিয়ের কথা বলি। ও কোনও উত্তর না দিয়েই মানিব্যাগ থেকে একটা ব্লেড বের করে। এরপর নিজের বুড়ো আঙুল কেটে, সেই রক্ত দিয়ে আমার সিঁথি রাঙিয়ে দেয়। যদিও পরে সেই ঘটনা নিয়ে আমি ওকে রাগাতাম যে পুরো ঘটনা তো সিনেমার মতো ছিল।'
ক্যাপ্টেন বিত্রম বাত্র শহিদ হন ৭ জুলাই ১৯৯৯ সালে। কিন্তু ক্যাপ্টেন বাত্রার মৃত্যুর পর কেন আর বিয়ে করেননি তিনি? ডিম্পল চিমা বলেন, 'কীভাবে আমি আমার অনুভূতি ব্যাখ্যা করব। গত এতগুলো বছরে কখনও তো অনুভবই করিনি যে ও আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। আমি জানি আমার হৃদয় বলে যে ওর সঙ্গে আমার ফের দেখা হবে। আর সেটা সময়ের অপেক্ষা মাত্র।'