Ayesha Jhulka: পোষ্য কুকুরের রহস্যমৃত্যু! আইনি প্রক্রিয়ায় বিলম্ব, ৪ বছর পুরনো মামলা নিয়ে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ আয়েশা জুলকা
Ayesha Jhulka Update: ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অভিনেত্রীর৬ বছর বয়সী চারপেয়ে সারমেয়কে তাঁর লোনাভলা বাংলোয় রহস্যজনক পরিবেশে মৃত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া যায়। নানা কারণে অভিযোগ ওঠে কেয়ারটেকারের বিরুদ্ধে।
নয়াদিল্লি: ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে, লোনাভলার বাংলোয় রহস্যজনক মৃত্যু হয় তাঁর পোষ্য কুকুরের (Mysterious Death Of Pet Dog)। চার বছর আগের ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেন অভিনেত্রী আয়েশা জুলকা (Ayesh Jhulka)। এবার তিনি বম্বে হাইকোর্টের কাছে গেলেন। মামলায় তাঁর বাংলোর কেয়ারটেকার রাম আন্দ্রের বিরুদ্ধে তোলা হয়েছে অভিযোগ। ২০২১ সালে চার্জশিট পেশ হওয়া সত্ত্বেও মামলার শুনানি পিছিয়ে যায় বহুবার। পুণের মাভালের ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে এই মামলা চলছেই।
আয়েশা জুলকার সারমেয়র 'রহস্যমৃত্যু' মামলা
২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অভিনেত্রীর৬ বছর বয়সী চারপেয়ে সারমেয়কে তাঁর লোনাভলা বাংলোয় রহস্যজনক পরিবেশে মৃত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া যায়। 'জো জিতা ওহি সিকন্দর' বা 'কুরবান'-এর মতো ছবি খ্যাত আয়েশা জুলকার পোষ্য প্রীতি সকলেরই জানা।
আয়েশা জুলকা তাঁর পোষা কুকুরের মৃত্যুতে রাম আন্দ্রের জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহজনক হয়ে ওঠেন যখন রকির মৃত্যুর ব্যাখ্যায় নানা অসঙ্গতি দেখা দেয়। আন্দ্রের কথা অনুযায়ী, জলের ট্যাঙ্কে ডুবে মৃত্যু হয় সারমেয়র। যদিও ময়না তদন্তের রিপোর্ট বলছে কুকুরটির মৃত্যু শ্বাসরোধ করে হয়েছে। আন্দ্রের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২৯ ধারার (হত্যার চেষ্টা, পশুকে পঙ্গু করা) অধীনে একটি মামলা করা হয়।
এই ঘটনায় পরবর্তীকালে রাম আন্দ্রেকে গ্রেফতার করা হয় এবং জামিনে মুক্তিও পায় সে। পরবর্তীকালে এই মামলা পিছিয়ে যায় এবং জুলকা তাঁর আইনজীবী হর্ষদ গারুড়ের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেন। ফরেন্সিক রিপোর্ট, যা তখনও পুলিশ জমা দেয়নি, তার প্রয়োজনীয়তাও উল্লেখ করেন।
মামলাটির এখন কী অবস্থা?
গত শুক্রবারের শুনানিতে, বিচারপতি রেবতী মোহিত ডেরে এবং মঞ্জুষা দেশপান্ডের বেঞ্চ আয়েশা জুলকাকে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য একটি সিঙ্গেল বেঞ্চের কাছে আপিল করার নির্দেশ দেন।
আয়েশা জুলকা একাধিক হিন্দি, বাংলা, কন্নড়, তেলুগু ছবিতে কাজ করেছেন। তিন দশক ধরে সিনে দুনিয়ায় সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন তিনি। ৬০টিরও বেশি ছবিতে কাজ করেছেন।
আর্মি পরিবারের সন্তান আয়েশা। ১৯৮৩ সালের 'ক্যায়সে ক্যায়সে লোগ' ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ শুরু তাঁর। ৯০-এর একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন তিনি, যার পর কাজের থেকে বিরতি নেন। এরপর ২০০৫ সালের 'সোচা না থা' ও অন্যান্য নানা ছবিতে কাজ করেছেন। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল, 'হ্যাপি ফ্যামিলি: কন্ডিশনস অ্যাপ্লাই' ছবিতে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।