Bapi Lahiri Demise: মনখারাপে নয়, 'ইয়াদ আ রাহা হ্যায়'-এর ছন্দে বাপি লাহিড়িকে শ্রদ্ধার্ঘ্য গণেশ আচার্যর
সঙ্গীতশিল্পীকে কী সত্যিই এমন নতমুখে স্মরণ করা যায়? যাঁর গানের ছন্দে পা মেলাতে বাধ্য হত আট থেকে আশি, তাঁর মৃত্যু কি এমন বেসুরো হতে পারে! কিংবদন্তিকে অন্যভাবে শ্রদ্ধা জানালেন বলিউড অভিনেতা গণেশ আচার্য
মুম্বই: গতকাল অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar) লিখেছিলেন, 'আপনি অনেকের নাচ করবার কারণ। আমারও।' এই লেখা ছিল বাপি লাহিড়ির (Bappi Lahiri) উদ্দেশে। গতকাল সকালে যেন ছন্দ হারাল সঙ্গীত জগত। 'ডিস্কো ডান্সার'-এর শ্রষ্টার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ টলিউড থেকে বলিউড। কিন্তু সঙ্গীতশিল্পীকে কী সত্যিই এমন নতমুখে স্মরণ করা যায়? যাঁর গানের ছন্দে পা মেলাতে বাধ্য হত আট থেকে আশি, তাঁর মৃত্যু কি এমন বেসুরো হতে পারে! কিংবদন্তিকে অনবদ্য উপায়ে শ্রদ্ধা জানালেন বলিউড অভিনেতা গণেশ আচার্য (Ganesh Acharya)।
বাপি লাহিড়ির গলায় 'ইয়াদ আ রাহা হ্যায় তেরা পেয়ার' গানটি শুনে সুরে ভাসেননি এমন মানুষ মেলা দুষ্কর। সেই গানের সুরেই এবার পা মেলালেন মেলালেন গণেশ আচার্য্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক মিনিটের ছোট্ট ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। সেখানে প্রথমেই বাপি লাহিড়ির একটি সাদা কালো ছবি আসে। এরপর তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে গানের তালে পা মেলাল গণেশ। তাঁর নাচ আর বাপি লাহিড়ির কিংবদন্তি সেই গানে নস্ট্যালজিয়ায় ভাসে নেটদুনিয়া। কমেন্ট বক্সে উপচে পড়ে ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা। ক্যাপশানে তিনি লিখেছেন, 'শান্তিতে ঘুমোন বাপি দা।'
আরও পড়ুন: 'একসঙ্গে করা কাজ আর স্মৃতিগুলোর মৃত্যু নেই', বাপি লাহিড়ির স্মৃতিচারণায় অমিতাভ বচ্চন
কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী বাপি লাহিড়ির (Bappi Lahiri) প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা দেশের মানুষ। তাঁর অগণিত অনুরাগীদের মন ভারাক্রান্ত। নেট মাধ্যমে সাধারণ নেট নাগরিক থেকে তারকারা শোকজ্ঞাপন করছেন। বাপি লাহিড়ির প্রয়াণে (Bappi Lahiri Passes Away) শোকপ্রকাশ করেছেন অভিনেতা অভিষেক বচ্চন (Abhishek Bachchan)। এদিন নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে বাপি লাহিড়ির একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, 'সোনালি গৌরবে বিশ্রাম নিন বাপি দা। আপনার সৃষ্টি করা সঙ্গীতের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।'
কভি আলবিদা না কহেনা...। এই গানের সুরস্রষ্টাকে চোখের জলে বিদায় জানাল মুম্বই। সকাল ১০টা নাগাদ জুহুর লাহিড়ি হাউস থেকে শুরু হয় অন্তিম যাত্রা। ফুলে সাজানো ট্রাকে নিয়ে ডিস্কো কিংয়ের মরদেহের সঙ্গে ছিলেন আত্মীয়-পরিজনেরা। শেষ যাত্রায় সামিল হন অগণিত মানুষ। জুহুর বাড়ি থেকে ভিলে পার্লের পবনহংস শ্মশানের দূরত্ব আড়াই কিলোমিটার। সময় লাগে মাত্র ১০ মিনিট। সেই পথই এদিন পেরোতে সময় লাগল প্রায় একঘণ্টা। বাপি লাহিড়ির শেষকৃত্যে হাজির শক্তি কাপুর, ইলা অরুণ, অলকা ইয়াগনিক, মিকা সিং, বিন্দু দারা সিংয়েরা।