Bappi Lahiri Demise: প্রিয় বাপি দা-কে খুব মিস করছেন মাধুরী দীক্ষিত
গতকাল মধ্যরাতের কিছু আগে প্রয়াত হন অন্যতম সেরা সঙ্গীতশিল্পী বাপি লাহিড়ি। অসুস্থ ছিলেন গত একটা মাস ধরে। মাঝে সোমবার দিন হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু মঙ্গলবারই আচমকা ফের শারীরিক অবনতি হয় তাঁর।
মুম্বই: ইহ জগতের মায়া ত্যাগ করে পরলোকগমন করছেন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী বাপি লাহিড়ি (Bappi Lahiri)। তাঁর প্রয়াণে আজ দেশ বিদেশের বহু মানুষের মন ভারাক্রান্ত। সাধারণ মানুষ থেকে তারকারা প্রিয় বাপি লাহিড়ির প্রয়াণে শোকাহত। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত (Madhuri Dixit Nene) ভারাক্রান্ত মনে প্রিয় বাপি দা-কে নিয়ে শোক প্রকাশ করে বলেছেন বেশ কিছু কথা
মাধুরী দীক্ষিত বলেন, 'বাপি লাহিড়ি এমন একজন মানুষ, যিনি আমাদের অবিস্মরণীয় অনেক অনেক গান উপহার দিয়েছেন। আর এদেশের সঙ্গীতে ডিস্কোকে চিনিয়েছেন, মিশিয়েছেন। বাপি দা আপনাকে সত্যিই খুব মিস করব।'
আরও পড়ুন - Bappi Lahiri Demise: দাদা আপনি অমর: কুমার শানু
গতকাল মধ্যরাতের কিছু আগে প্রয়াত হন দেশের অন্যতম সেরা সঙ্গীতশিল্পী বাপি লাহিড়ি। অসুস্থ ছিলেন গত একটা মাস ধরে। মাঝে সোমবার দিন হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু মঙ্গলবারই আচমকা ফের শারীরিক অবনতি হয় তাঁর। ফের তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। হাসপাতাল সূত্রে খবর, "বাপি লাহিড়ি এক মাস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এবং সোমবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হয় এবং তাঁর পরিবার ডাক্তার ডাকে। তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা ছিল। তাঁর মৃত্যু হয়েছিল মধ্যরাতের কিছু আগে। ওএসএ (অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া) র কারণে তাঁর মৃত্যু হয়।'
১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্ম বাপি লাহিড়ির। বাবা অপরেশ লাহিড়ি ও মা বাঁশরী লাহিড়ি দু’ জনেই ছিলেন গানের জগতের মানুষ। কিশোর কুমারের আত্মীয় বাপি ছোট থেকে বড় হয়েছেন সাঙ্গীতিক পরিবেশে। ৩ বছর বয়সে তবলা বাজানো দিয়ে শুরু। ১৯৭০ থেকে ৮০-এর দশকে হিন্দি ছায়াছবির জগতে অন্যতম জনপ্রিয় নাম বাপি লাহিড়ি। ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘চলতে চলতে’, ‘শরাবি’-তে সুর দিয়েছেন। গেয়েছেন একাধিক গান। ২০২০ সালে তাঁর শেষ গান ‘বাগি থ্রি’-র জন্য। গত বছর এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাপি লাহিড়ি। পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।