Bhotbhoti: প্রেক্ষাগৃহ পাচ্ছে না 'ভটভটি', প্রতিবাদ করে কী প্রশ্ন তুললেন শ্রীলেখা মিত্র?
Sreelekha Mitra: ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা আগামীকাল। কিন্তু প্রেক্ষাগৃহ পাচ্ছে না 'ভটভটি'। আর তাই এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদে সামিল হলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।
কলকাতা: আগামীকাল অর্থাৎ ১১ অগাস্ট মুক্তি পাবে পরিচালক তথাগত মুখোপাধ্যায়ের (Tathagata Mukherjee) বহু প্রতীক্ষিত ছবি 'ভটভটি' (Bhotbhoti)। ইতিমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে ছবির ট্রেলার। যাতে দেখা যাচ্ছে, গঙ্গার ধারের জাহাজ বস্তিতে বাস এর তরুণের। নাম ভটভটি। তার কল্পনার রঙে গঙ্গার নিচে সেজে ওঠে এক রূপকথার জগৎ। সেখানে রাজপ্রাসাদ আছে, ঝিকিমিকি আলো আছে, আর আছে জলপরী। সেই স্বপ্নই সত্যি হয়ে যায় যখন ভটভটি দেখা পায় এরিয়েলের। ভটভটির ভূমিকায় দেখা যাবে ঋষভ বসু (Rishav Basu)-কে। আর এরিয়েলের ভূমিকায় দেখা যাবে বিবৃতি চট্টোপাধ্যায় (Bibriti Chatterjee)-কে। ছবিতে বিবৃতি আর তথাগত ছাড়াও রয়েছেন দীপঙ্কর দে (Dipankar Dey), মমতা শঙ্কর (Mamata Shankar), রজতাভ দত্ত (Rajatava Dutta) ও অনির্বাণ চক্রবর্তী (Anirban Chakraborty)। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন তথাগত নিজে ও দেবলীনা দত্ত (Debleena Dutt)।
'ভটভটি'র প্রেক্ষাগৃহ না পাওয়া নিয়ে শ্রীলেখা মিত্র প্রতিক্রিয়া-
ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা আগামীকাল। কিন্তু প্রেক্ষাগৃহ পাচ্ছে না 'ভটভটি'। আর তাই এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদে সামিল হলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। এদিন তিনি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, 'তথাগত মুখোপাধ্যায়, দেবলীনা দত্ত, বিবৃতি চট্টোপাধ্যায়ের অভিনীত ছবি সিনেমা হল পাচ্ছে না শুধুমাত্র ক্ষমতার অপব্যবহারে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছবিটা ভালো হয়েছে। তথার আগের কাজ তার সাক্ষ্যবহন করে। তাঁবেদারের আর সিন্ডিকেটের ভিড়ে ছবি যদি হল না পায় তাহলে ওই বঙ্গভূষণ, বিভীষণেরা জিতে যাবে একে অপরের পিঠ চাপড়ে। আপনারাও কি তাই চান? RIP বাংলা সিনেমা।'
আরও পড়ুন - Aamir Khan: অনলাইনে কোন গেম খেলেন আমির খান?
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে ছবির প্রথম গান। 'জলপরীর গান' নিয়ে পরিচালকের মত, 'গানটির প্রথম লাইন, 'রূপকথার পথচলার নেই কোথায় শেষ জানা।' এই গানের মূল ভাব এই বাক্যে রয়েছে। মূলত একটি ট্রাভেল সং এটি। এই গানে ছবির মূল দুই চরিত্রের একটা সফর লেন্সবন্দি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁদের হাবভাব আচরণে চরিত্রদুটির বৈশিষ্ট্যও প্রকাশ পাচ্ছে। এই গানে শুধু দুই মানুষের রোম্যান্স নয়, প্রকৃতির মধ্যে মানুষের অবস্থান দেখানোর চেষ্টা হয়েছে। মরুভূমিতে দুটো ফুল ফুটলে যেমন হয়, তেমনই আমার ইচ্ছে ছিল যে অক্টোবরের প্রখর রোদে দৃশ্যগুলো শ্যুট করার। কিন্তু অদ্ভূতভাবে সেই বছর, ২০১৯ সালে ওই সময়ে বৃষ্টি নামে। তাতে পশ্চিমবঙ্গের গ্রামবাংলার অন্য সৌন্দর্য্য় ক্যামেরায় ধরতে পেরেছি। বর্ষাভেজা গ্রাম বাংলার পথে দুটো মানুষ তাঁদের পথ খুঁজে চলেছে ক্রমাগত, সেটাই এই গানের মূল উপজীব্য।'