Darshana Banik Exclusive: সরস্বতী পুজোর দিন স্কুলের এক গেটে মায়েরা থাকতেন, অন্য গেটে বয়ফ্রেন্ড: দর্শনা বণিক
Darshana Banik Exclusive: কথায় বলে সরস্বতী পুজো মানে বাঙালির ভ্যালেন্টাইনস ডে। এই বিশেষ দিনে বিশেষ প্রেমের অভিজ্ঞতা আছে অভিনেত্রীর? এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে জানালেন এবিপি লাইভকে।
কলকাতা: রাত পোহালেই সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja)। ভোরবেলা হলুদ মেখে স্নান, বাসন্তী শাড়ি বা পাঞ্জাবী পরে পুজোয় অংশ নেওয়া, উপোস থেকে অঞ্জলী দেওয়া, বইপত্র মা সরস্বতীর পায়ে ছুঁইয়ে আরও একবার পরীক্ষায় ভালভাবে উতরে দেওয়ার প্রার্থনা। মা সরস্বতী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ এক চিরন্তন সম্পর্ক। ঠাকুরের কাছে আশীর্বাদের বদলে পুজোর আগে পর্যন্ত কুল না খাওয়ার প্রতিশ্রুতি। তাছাড়া সরস্বতী পুজো মানে স্কুলের পুজো থেকে ভোগ, সবই রয়েছে। স্কুলবেলায় এই দিনটি কীভাবে কাটাতেন অভিনেত্রী দর্শনা বণিক (Darshana Banik)। এবিপি লাইভকে (ABP Live) ফোনে বললেন সেই গল্প।
ছোটবেলার সরস্বতী পুজোর কথা বললেই কী মনে আসে দর্শনার? 'অবশ্যই বাড়ির পুজোর কথা তো মনে পড়েই। কিন্তু সবচেয়ে বেশি এক্সাইটিং ছিল স্কুলের পুজো। ওটা তো পুরো নিজদেরই পুজো ছিল। সেই পুজো সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়, স্কুল সাজানো, পুজোর অনুষ্ঠান সবকিছুতে কোনও না কোনওভাবে জড়িয়ে থাকতাম। মনে আছে, পুজোর আগের দিন স্কুল শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত সময় থেকে সব সাজানোর কাজ শেষ করা হত।'
সল্ট লেকের 'বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল স্কুল'-এর ছাত্রী দর্শনা। তিনি আরও বলেন, 'আমাদের স্কুলে নবম শ্রেণির ওপরেই সরস্বতী পুজোর দায়িত্ব থাকত। বেশ নীচু ক্লাস থেকেই অপেক্ষায় ছিলাম যে কবে ক্লাস নাইন হবে আর পুজোর পুরো দায়িত্বটা পাব। সরস্বতী পুজোর জন্য বিভিন্ন সংস্থা থেকে স্কুলগুলোতে পুরস্কারও দেওয়া হত। তো আমরা নবম শ্রেণিতে উঠে ঠিক করেছিলাম যাতে আমরাও কিছু পুরস্কার অন্তত পাই। আমিই প্রথম বলেছিলাম মিটিংয়ে এই কথা। কারণ তার আগের বেশ কিছু বছর আমাদের স্কুলে কোনও পুরস্কার আসেনি। সেই চেষ্টাও আমরা করেছিলাম। খুঁটিনাটি নজরে রেখেছিলাম। পুরস্কার পেয়েওছিলাম বেশ কিছু।'
কথায় বলে সরস্বতী পুজো মানে বাঙালির ভ্যালেন্টাইনস ডে। এই বিশেষ দিনে বিশেষ প্রেমের অভিজ্ঞতা আছে অভিনেত্রীর? 'আমার বন্ধুবান্ধবদের প্রেম হয়েছিল। ওদের বয়ফ্রেন্ড আসত স্কুলে এরকম দেখেছি। মানে ধরুন এই গেটে ওদের মায়েরা দাঁড়িয়ে আছেন, আর ওই গেট থেকে বয়ফ্রেন্ড ডাকছে।' হাসতে হাসতে উত্তর দর্শনার। তবে একইসঙ্গে অভিনেত্রীর সরল স্বীকারোক্তি, 'আমার স্কুল জীবনে কোনও প্রেমই হয়নি। যতটুকু অ্যাডভেঞ্চার বন্ধুদের জন্যই।'
তবে সরস্বতী পুজোর আগে কুল না খাওয়ার প্রথা কোনওদিন মেনে চলতে পারেননি দর্শনা। ছোটবেলার কথা মনে করতে করতে তিনি বলতে থাকেন, 'আমি টোপা কুলের আচার বা চাটনি ভীষণ ভালবাসি। তাই কুল নিয়ে নিষেধাজ্ঞা কোনওদিন মানতে পারিনি।'
স্কুল জীবন ছেড়ে এলেও এখনও সেই সকল বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত। তাই এই বছরও নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট জায়গায় স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করবেন দর্শনা বণিক। সেখানেই আড্ডা, খাওয়া চলবে।