Nikhil and Nusrat Relationship : ওর জন্য কী করেছি না করেছি সব ও জানে, নুসরতের বিবৃতির পাল্টা নিখিলের
ওর জন্য কী করেছি না করেছি সব ও জানে। নুসরতের বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে বললেন নিখিল জৈন।
কলকাতা : নুসরতের বিবৃতি নিয়ে বিশেষ কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন নিখিল জৈন। তিনি শুধু বললেন, সব কিছুই আদালতে রয়েছে। তাই কিছু বলতে চাই না। আমি ওর জন্য কী করেছি না করেছি সব ও জানে। ওর অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না।
নুসরত নিখিলের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে এই গুঞ্জন অনেকদিনের। গত শুক্রবার সকাল থেকে নেটদুনিয়া তোলপাড় হয় আরও একটা খবরে, নুসরত জাহান নাকি অন্ত:সত্ত্বা ! এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় গুঞ্জন। কারণ নিখিল-নুসরতের সম্পর্ক যে তলানিতে, সে কথা ইতিমধ্যেই আঁচ করেছে নেটদুনিয়া। ইনস্টাগ্রামে একে অপরকে আনফলো করে দিয়েছেন উভয়েই। অন্যদিকে অভিনেতা যশ ও নুসরতের সম্পর্ক নিয়ে প্রচুর জলঘোলা হয়েছে।
নুসরতের মা হওয়ার গুঞ্জন নিয়ে নিখিল জৈন এর আগে জানিয়েছিলেন, তাঁর জীবন সম্পর্কে আমার কোনও মতামত নেই। তিনি আমার জীবনে নেই, ভবিষ্যতেও থাকবেন না। ‘এসওএস কলকাতা’র পর থেকে, ৭ মাস আগেই তাঁর থেকে নিজেকে আলাদা করে নিয়েছি। কারণটা, আপনারা সবাই জানেন। আইনিভাবেও আমি তাঁর থেকে আলাদা হয়ে যাব। আমি জানি না, তাঁর জীবনে কী হচ্ছে। জানি না, কার সঙ্গে তিনি থাকছেন। আসছে কার সন্তান। তবে, নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, এই সন্তান আমার নয়। আমি একজন খুব সহজ সরল মানুষ। এবং চিরাচরিত মূল্যবোধে বিশ্বাসী। ছলনা ও বিশ্বাসঘাতকতা শব্দগুলো আমার পারিবারিক অভিধানে নেই। আমরা চিরকালের জন্য আলাদা হয়ে গেছি। ভবিষ্যতের জন্য ভগবান তাঁকে আশীর্বাদ করুন।
নুসরত জাহানের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছেন নিখিল জৈন। তিনি আবেদনে বলেছেন, নুসরত জাহানকে আদালতে এসে বলতে হবে একসঙ্গে থাকতে চান না। সেইসঙ্গে নিখিল জৈনের পরিবার সূত্রে দাবি করা হয়, ১০ সেপ্টেম্বর সন্তানের জন্ম দিতে পারেন নুসরত জাহান। তবে সেইসময় নুসরত জাহানের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এই পরিস্থিতিতে আজ বিবৃতি জারি করে নুসরত বলেন, আইন অনুযায়ী ওটা বিয়েই নয়। কিন্তু, এক ধরনের সম্পর্ক। বলা যেতে পারে, লিভ-ইন রিলেশনশিপ। কাজেই ডিভোর্সের প্রশ্নই ওঠে না। বহু আগে আমাদের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, এনিয়ে আমি কিছু বলিনি। কারণ, আমি ব্যক্তিগত জীবন নিজের মধ্যেই রাখতে চাইছিলাম।
এর পাশাপাশি তিনি যোগ করেন, আমি ব্যবসা বা অবসর যাপনের জন্য যেখানেই যাই না কেন তা নিয়ে কারও ভাবার দরকার নেই, বিশেষ করে তাঁর, যাঁর সঙ্গে আমার বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। আমার সমস্ত খরচ বরাবর আমিই বহন করি। "কেউ একজন" যেমনটা বলেছেন, তেমনটা নয়। আরও জানাতে চাই, আমার বোনের পড়াশোনা বা আমার পরিবারের খরচ আমি নিজেই চালাচ্ছি। প্রথম দিন থেকেই তা করছি, কারণ এটা আমার কর্তব্য। যাঁর সাথে আমার আর কোনও সম্পর্ক নেই, তাঁর ক্রেডিট কার্ডের আমার কোনও প্রয়োজন নেই। যিনি নিজেকে "ধনী" ও আমার দ্বারা "ব্যবহৃত হয়েছেন" বলছেন, তিনিই অবৈধভাবে আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিয়েছেন। রাত-বিরেতে, এমনকী বিচ্ছেদের পরও অবৈধভাবে টাকা তুলেছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। খুব শীঘ্রই এনিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হবে।