James Rensone: খোলাখুলি কথা বলতেন মানসিক অবসাদ নিয়ে, সেই হলি অভিনেতাই নিলেন চরম সিদ্ধান্ত!
Hollywood tragedy: সম্ভবত অভিনেতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরেই পুলিশকে গোটা বিষয়টা জানান। সবটা জানার পরে শুরু হয় খোঁজ

কলকাতা: হলিউডে আরও এক অঘটনের খবর। রহস্যজনকভাবে প্রয়াত হয়েছেন ‘দ্য ওয়্যার অ্যান্ড ইট: চ্যাপ্টার ২’-খ্যাত অভিনেতা জেম্স রেনসোন (James Rensone)। মৃত্যুকালে অভিনেতার বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৬ বছর। লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি মেডিকেল পরীক্ষার পরে পুলিশ জানিয়েছে, গলায় ফাঁস লেখে অভিনেতার মৃত্যু হয়েছে। কোনও স্বাভাবিক কারণে মৃত্যু হয়নি অভিনেতার। জানা যাচ্ছে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ শুক্রবারই অভিনেতার মৃত্যু হয়েছে।
সম্ভবত অভিনেতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরেই পুলিশকে গোটা বিষয়টা জানান। সবটা জানার পরে শুরু হয় খোঁজ। পুলিশ গিয়ে অভিনেতার বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তে অবশ্য় শরীরে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। পুলিশি তদন্তে খুনের ষড়যন্ত্র বা অস্বাভাবিকতার বিষয় উঠে আসেনি বলে জানা যাচ্ছে। তাঁর অভিনয় জীবন খুব একটা দীর্ঘ না হলেও, দর্শকদের মনে ছাপ ফেলতে সক্ষম হয়েছিলেন জেম্স রেনসোন। জেম্সের মৃত্যুর ঠিক পরেই তাঁর স্ত্রী জেমি ম্যাকফির পুরনো একটি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। অভিনেতার মৃত্যুর ঠিক ২ দিন আগে এই পোস্ট করেছিলেন জেমি। ‘ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স অন মেন্টাল ইলনেস’-এর সমর্থনে একটি তহবিল সংগ্রহ করার পোস্ট দিয়েছিলেন তিনি।
পর্দার বাইরে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও খোলামেলা আলোচনা করতেন জেম্স রেনসোন। কিছুদিন আগে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জেম্স রেনসোন তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছিলেন। জানিয়েছিলেন, তাঁকে বিভিন্ন মানসিক ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। একটা সময়ে জেম্স রেনসোন নাকি মাদকাসক্ত ছিলেন। সেই অভ্যাস পরিত্যাগ করার জন্য তাঁকে যথেষ্ট মানসিক ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছিলেন, ছোটবেলায় তিনি বিভিন্নরকম নির্যাতনের স্বীকার হয়েছিলেন। এটি তাঁর মনে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলেছিল। সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ও যথেষ্ট কষ্ট করতে হয়েছিল তাঁকে।
তিনি নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এতটা খোলামেলা আলোচনা করেছিলেন যে তা অনুরাগীদের ছুঁয়ে গিয়েছিল। সাধারণত এই ধরণের আলোচনা গোপনেই রাখতে চান যে কোনও অভিনেতা অভিনেত্রী। তবে জেম্স রেনসোনের এই কথাগুলি দর্শকদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ায় অবাকই হয়েছিলেন সবাই। তবে মানসিক অবসাদ কী পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেননি অভিনেতা? গোটা ঘটনায় পুলিশ বলছেন, অভিনেতা আত্মহত্যার পথই বেছে নিয়েছেন। তবে তিনি কেন এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন, সেই উত্তরই এখন খুঁজে চলেছেন অনুরাগীরা।






















