Jacqueline Fernandez: কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন জ্যাকলিন?
সম্প্রতি বেশ কিছু সূত্রে দাবি করা হয়েছে যে, জিজ্ঞাসাবাদে অভিনেত্রী জানিয়েছেন যে, তিনি বিয়ে করতে চেয়েছিলেন সুকেশকে।
মুম্বই: চেন্নাই নিবাসী সুকেশ চন্দ্রশেখরের (Sukesh Chandrasekhar) বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন দিল্লির এক ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ ছিল, এক বছরে তাঁর থেকে ২০০ কোটি টাকা প্রতারণা করেছে সুকেশ চন্দ্রশেখর। সেই মামলাতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে (Jacqueline Fernandez)। ৩০ অগাস্ট ইডির দফতরে প্রায় ৫ ঘণ্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল জ্যাকলিনকে। অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলে ইডি-র হাতে আসে বহু জরুরি তথ্য । এর পরিপ্রেক্ষিতে সেই সময় এক বিবৃতিতে অভিনেত্রীর মুখপাত্র বলেন, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজনকে সাক্ষী হিসেবে ডাকছে ইডি। তিনি এর আগে বিবৃতি রেকর্ড করেছেন। সম্প্রতি বেশ কিছু সূত্রে দাবি করা হয়েছে যে, জিজ্ঞাসাবাদে অভিনেত্রী জানিয়েছেন যে, তিনি বিয়ে করতে চেয়েছিলেন সুকেশকে।
সুকেশ চন্দ্রশেখর 'স্বপ্নের পুরুষ' ছিল জ্যাকলিনের?
২০০ কোটি টাকা আর্থিক তছরূপের মামলায় বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সামনে আসছে একাধিক তথ্য। প্রথমে দাবি করা হয়েছিল যে, কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে ডেটিং করতেন অভিনেত্রী। এরপর দুজনের একাধিক ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ছড়িয়ে পড়ে নেট দুনিয়ায়। সুকেশের সঙ্গে ছবি ভাইরাল হওয়ায় অস্বস্ত্বিতে পড়েন জ্যাকলিন। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে বিবৃতি দিয়ে নিজের অবস্থার কথা জানান। পাশাপাশি অনুরোধ জানান যে, তাঁর এই সমস্ত ছবি যেন না ছড়ানো হয়। এখন অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, প্রতারক সুকেশকে বিয়েও করতে চেয়েছিলেন তিনি। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, সুকেশ চন্দ্রশেখর ছিল তাঁর 'স্বপ্নের পুরুষ'। স্পেশাল কমিশনার অফ পুলিশ ইওডব্লিউ রবীন্দ্র যাদব জানান যে, সুকেশের আর্থিক প্রতারণার কথা প্রকাশ্যে আসার পরও তার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে গিয়েছেন জ্যাকলিন। অন্যদিকে, নোরা ফতেহি সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
আরও পড়ুন - Ali Asgar: কপিল শর্মার সঙ্গে কি ফের কাজ করবেন? আলি আসগর যা বললেন...
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে আর্থিক তছরুপ মামলায় অভিযুক্ত করা হয় অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে। ২০০ কোটি টাকার তছরুপের ঘটনায় অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে এবার অভিযুক্ত অভিনেত্রীও। দিল্লির একটি আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেয় ইডি (Enforcement Directorate)। এর আগে অভিনেত্রীর সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছিল ইডি। পাশাপাশি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে এপ্রিলে অভিনেত্রীর ৭ কোটি টাকার সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছিল এজেন্সি। জ্যাকলিন ইডি-কে দোষাপোরও করেছেন। তাঁর বক্তব্য, নোরা ফতেহি (Nora Fatehi) সহ আরও একাধিক তারকা মূল অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের থেকে উপহার পেয়েছেন যাঁদের সাক্ষী করা হচ্ছে, কিন্তু তাঁকে এখানে অভিযুক্ত হিসেবে টেনে আনা হচ্ছে। তদন্তকারী সংস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। অভিনেত্রী আরও দাবি করেছেন যে চন্দ্রশেখরকে বারবার প্রত্যাখ্যান করা সত্ত্বেও জোর করে তাঁকে উপহার দিয়ে ভরিয়ে দিতেন।